ফতুল্লায় শেষ ওভারে অলআউট হওয়া মোহামেডান করেছিল ২৮৬ রান। ১টি উইকেট হাতে থাকলেও দোলেশ্বর করতে পেরেছে ২৮৬ রানই। এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এটাই প্রথম টাই।
১২২ বলে ১২৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে এগিয়ে নেন লিটন দাস। এবারের লিগের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে উপহার দেন দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
লিটনকে ফেরানো আজিমের সৌজন্যে লড়াইয়ের চেষ্টা করছিল মোহামেডান। এর পরও দোলেশ্বর ছিল জয়ের পথে। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান, হাতে তখনও ৪ উইকেট।
দোলেশ্বরের শঙ্কা তখনও খুব বেশি ছিল না। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান, হাতে ৩ উইকেট। এবার আজিমের নায়ক হওয়ার উপলক্ষ। প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট নেন এই পেসার। এর মধ্যে ছিল ১৯ বলে ২৪ রান করা জোহাইবের উইকেটও।
পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল। পঞ্চম বলে আরাফাত সানি নিলেন দুই রান। শেষ বলেও দরকার ছিল দুই। সানি নিতে পারেন এক রান। ম্যাচ টাই।
সকালে টস জিতে আগে ব্যাট করা মোহামেডান ধুঁকেছে ইনিংসের প্রথমভাগ জুড়ে। ৪ উইকেট হারায় তার ৮৯ রানে। দলের একশ ছুঁতেই লেগে যায় ২৮ ওভার।
ইনিংসের রঙ বদলানোর শুরু পঞ্চম উইকেট জুটিতে। অধিনায়ক শামসুর রহমান ও অভিজ্ঞ রকিবুল হাসান ১০৮ রানের জুটি গড়েন ১০১ বলে।
তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৭৫ করে শামসুর। লিগে দারুণ ফর্মে থাকা রকিবুল ৫ ছক্কায় ৭২ করেন ৬০ বলে।
শেষ দিকে ঝড় তোলেন বিপুল শর্মা। তিনটি করে চার ও ছক্কায় ভারতীয় অলরাউন্ডার করেন ৩১ বলে ৫৩।
রান তাড়ায় দোলেশ্বর এগোয় লিটনের ব্যাটে। ১০৪ রানে দল ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেট লিটন ও ফরহাদ হোসেন গড়েন ১২৪ রানের জুটি।
ফরহাদ ৫২ করেন ৫২ বলে। লিটন ৮ চার ও ২ ছক্কায় ১২২ বলে করেছেন ১২৯। আগের ম্যাচে করেছিলেন ৬৯। লিগের প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ১২৩ বলে ১৪৩।
উইকেট শিকারের পাশাপাশি আজিম ছিলেন খরুচেও। ২ ছক্কায় ফরহাদ রেজা করেন ১০ বলে ১৮। শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন জোহাইব। শেষ পর্যন্ত শেষ ওভারে আজিমের দুই উইকেটই জিততে দিল না দোলেশ্বরকে।
৬৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন আজিম। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তার প্রথম ৫ উইকেট। লিটনকে ছাপিয়ে ম্যাচ সেরা এই পেসারই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান: ৪৯.৫ ওভারে ২৮৬ (জনি ৩৭, রনি ১৩, আমিনুল ৯, শামসুর ৭৫, ইরফান ৬, রকিবুল ৭২, বিপুল ৫৩, এনামুল ২, অনিক ৬, তাইজুল ২, আজিম ০*; মামুন ২/৫৩, ফরহাদ রেজা ৩/৬৬, আরাফাত সানি ১/৫৩, আরাফাত ১/৩২, জোহাইব ০/৪০, ফজলে মাহমুদ ০/৬, শরিফউল্লাহ ০/৩৪)।
প্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২৮৬/৯ (ইমতিয়াজ ১০, লিটন ১২৯, ফজলে মাহমুদ ১২, মার্শাল ২২, ফরহাদ হোসেন ৫২, ফরহাদ রেজা ১৮, জোহাইব ২৪, শরিফউল্লাহ ৬, আরাফাত ০, আরাফাত সানি ৪*, মামুন ১*; বিপুল ০/৫৯, তাইজুল ০/৩৬, অনিক ৩/৫১, এনামুল ০/৫১, শামসুর ০/১৭, আজিম ৬/৬৭)।
ফল: ম্যাচ টাই
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ আজিম