ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে ৪২ রানে জিতেছে প্রাইম ব্যাংক। ২৭২ রান তাড়ায় ২৩০ রানে গুটিয়ে গেছে অগ্রণী ব্যাংক।
টানা চার হারের পর জয়ের দেখা পেল প্রাইম ব্যাংক। টানা তৃতীয়সহ সব মিলিয়ে চার ম্যাচে হারল অগ্রণী ব্যাংক।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ফিফটিতে শুরুটা ভালো হয় প্রাইম ব্যাংকের। ৫৪ রান করে মেহেদী মারুফের বিদায়ে ভাঙে ২১ ওভার স্থায়ী ৯৪ রানের জুটি।
আরেক ওপেনার মেহরাব হোসেন জুনিয়র ফিরেন ৫২ রান করে। থিতু হয়ে বিদায় নেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা আল আমিন জুনিয়র।
গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান জাকির হাসান। বিশের ঘরে গিয়ে ফিরে যান ইউসুফ পাঠান ও নাহিদুল ইসলাম। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্যে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল হক।
ভালো শুরুর পরও এক সময়ে আড়াইশ রানই ছিল দূরের পথ। কিন্তু মাত্র ১৪ বলে পাঁচটি ছক্কা ও একটি চারে অপরাজিত ৪১ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে দলকে পৌনে তিনশ রানে নিয়ে যান দেলোয়ার।
ইনিংসের শেষ দুই বলে দুটি চার হাঁকানো রুবেল বোলিংয়ে কাঁপিয়ে দেন অগ্রণী ব্যাংককে। ১৫ রানের মধ্যে বিদায় করেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে।
রাজা আলী দারের সঙ্গে ধীমান ঘোষের ৯৫ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে অগ্রণী ব্যাংক। রাজাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ভারতীয় অলরাউন্ডার ইউসুফ। এরপর নিয়মিত উইকেট হারিয়ে আর পেরে উঠেনি দলটি।
৭৪ বলে ৭৩ রান করে ফিরে যান ধীমান। নবম উইকেটে জাহিদ জাভেদ ও মোহাম্মদ ইশাকের ৫৬ রানের ওপর ভর করে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় অগ্রণী ব্যাংক।
শেষ তিনটি উইকেট তুলে নেন দেলোয়ার। ব্যাটিং-বলে আলো ছড়িয়ে এই পেসার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৭২/৮ (মারুফ ৫৪, মেহরাব জুনিয়র ৫২, আল আমিন জুনিয়র ২৫, জাকির ০, ইউসুফ ২১, আরিফুল ৩৯, নাহিদুল ২১, দেলোয়ার ৪১*, মনির ০, রুবেল ৮*; শফিউল ২/৪৫, আল আমিন ০/৪৭, রাজ্জাক ১/৫৯, সৌম্য ০/৩২, আজমির ১/১৪, রাজা ২/৫০, সালমান ০/৯, ইশাক ০/১৪)
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৬.৫ ওভারে ২৩০ (আজমির ১, সৌম্য ৬, শাহরিয়ার ০, রাজা ৪২, ধীমান ৭৩, সালমান ৫, জাহিদ ৪৮*, রাজ্জাক ৩, শরিপুল ১০, ইশাক ৩৪, আল আমিন ০; নাহিদুল ০/২০, রুবেল ৩/৪৪, শরিপুল ২/৪৪, দেলোয়ার ৩/৪১, মনির ১/৩৪, ইউসুফ ১/৩৮, আরিফুল ০/৭)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪২ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: দেলোয়ার হোসেন