ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে ইংল্যান্ডের নায়ক স্টোকস

কদিন আগেও ছিলেন তিনি খলনায়ক। মাঠের বাইরে মারামারির ঘটনায় ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রে। পুলিশের অভিযোগের খড়গ ঝুলছে এখনও। তবে মাঠে সেই বেন স্টোকসই ইংল্যান্ডের নায়ক। ফেরার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জেতালেন দলকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2018, 10:43 AM
Updated : 28 Feb 2018, 10:43 AM

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউ জিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সমতা ফিরিয়েছে ৫ ম্যাচ সিরিজে।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের প্রথম দিন-রাতের ম্যাচে নিউ জিল্যান্ড থমকে গিয়েছিল ২২৩ রানে। রান তাড়ায় বরাবরই ভয়ঙ্কর এই ইংল্যান্ড দল ম্যাচ জিতে নিয়েছে ৭৩ বল বাকি রেখেই।

বল হাতে ২ উইকেট, ফিল্ডিংয়ে দুটি রান আউট আর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৬৩ রান-পরিপূর্ণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচের সেরা স্টোকস।

ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত গড়া হয়ে যায় ম্যাচের প্রথম ভাগে। বোলিং ছিল ভালো-মন্দ মিশিয়ে, তবে ফিল্ডিং দুর্দান্ত। চার-চারটি রান আউট করেছে ইংলিশরা, নিজেদের যা রেকর্ড। পাশাপাশি ছিল তিনটি দারুণ ক্যাচ। একটি নিয়েছেন ডেভিড উইলি, দুটি জেসন রয়।

হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে নিউ জিল্যান্ড পায়নি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে। নেতৃত্ব দেন টিম সাউদি। উইলিয়ামসনের বদলে সুযোগ পাওয়া মার্ক চ্যাপম্যান তিনে নেমে ফেরেন ১ রানে। তার আগে ওপেনার কলিন মানরোও ফেরেন ১ রানে।

আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল নিজের সহজাত খেলার সঙ্গে আপোশ করে আগলে ছিলেন এক প্রান্ত। কিন্তু ৮৭ বলে ৫০ করে ফিরে যান তিনিও। মিডল অর্ডারে আগের ম্যাচের দুই নায়ক রস টেইলর ও টম ল্যাথাম এদিন পারেননি দলকে উদ্ধার করতে।

সাতে নেমে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম চেষ্টা করেছিলেন পাল্টা আক্রমণের। চারটি চার ও এক ছক্কায় তার ৩৮ রানের ইনিংস শেষ হয় রান আউটে।

১৪৭ রানে নিউ জিল্যান্ড হারায় ৮ উইকেট। নবম উইকেটে ৬৯ রানের জুটিতে দলকে দুইশ পার করান মিচেল স্যান্টনার ও লকি ফার্গুসন। আগের ম্যাচে ২৭ বলে ৪৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন স্যান্টনার। এদিনও হার মানেননি, ৫২ বলে অপরাজিত ছিলেন ৬৩ রানে। মূলত তার সৌজন্যেই লড়ার মত রান পায় নিউ জিল্যান্ড।

লড়াইয়ের চেষ্টা কিউইরা করেছেও। জেসন রয় ও জো রুটকে জমে বসতে দেননি ট্রেন্ট বোল্ট। তবে দারুণ সব শটে চাপটা সরিয়ে দেন জনি বেয়ারস্টো।

৩৯ বলে ৩৭ রান করা বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে পরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল নিউ জিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের রান ছিল ৩ উইকেটে ৮৬। কিন্তু ওয়েন মর্গ্যান ও স্টোকসের স্ট্রোকের দ্যুতিতে ম্লান হয়ে যায় কিউই বোলাররা।

চতুর্থ উইকেটে ৮৮ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ করে ফেরেন মর্গ্যান। স্টোকস কাজ শেষ করে ফেরেন জস বাটলারকে সঙ্গে নিয়ে। গড়েন ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।

৭ চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রানে অপরাজিত স্টোকস। ৩ ছক্কায় ২০ বলে অপরাজিত ৩৬ বাটলার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

নিউ জিল্যান্ড: ৪৯.৪ ওভারে ২২৩ (গাপটিল ৫০, মানরো ১, চ্যাপম্যান ১, টেইলর ১০, ল্যাথাম ২২, নিকোলস ১, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৮, স্যান্টনার ৬৩*, সাউদি ৬, ফার্গুসন ১৯, বোল্ট ২; উইলি ০/১৬, ওকস ২/৪২, রশিদ ০/৩২, কারান ০/৫৩, মইন ২/৩৩, স্টোকস ২/৪২)।

ইংল্যান্ড: ৩৭.৫ ওভারে ২২৫/৪ (রয় ৮, বেয়ারস্টো ৩৭, রুট ৯, মর্গ্যান ৬২, স্টোকস ৬৩*, বাটলার ৩৮*; সাউদি ০/৫৫, বোল্ট ২/৪৬, স্যান্টনার ০/৪০, ফার্গুসন ১/৪৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/১১, মানরো ১/২৩)।

ফল: ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা

ম্যান অব দা ম্যাচ: বেন স্টোকস