অন্তবর্তীকালীন কোচের কাজ এমনিতেই কঠিন। ওয়ালশের জন্য কাজটি আরও কঠিন করে তুলেছে সময় ও পরিস্থিতি। দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে হারের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে দল। বাজে পারফরম্যান্সের সঙ্গে যোগ হয়েছে নানা বিতর্ক, সিদ্ধান্তহীনতা আর মাঠের ভেতরে-বাইরে অস্থিরতা।
ওয়ালশ অবশ্য মনোযোগ রাখতে চান স্রেফ মাঠের ক্রিকেটেই। শ্রীলঙ্কা সফরের আগে সময় কম। নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগও কম। ভারপ্রাপ্ত কোচ দৃষ্টি দিতে চান সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে।
“এই মুহূর্তে আমাদের বড় ঘাটতি ধারাবাহিকতায়। প্রতিভার অভাব নেই এখানে। ছেলেরা পরিশ্রমও করে। এখন যদি আমরা ধারাবাহিক হতে পারি, তাহলেই আমি খুশি থাকব। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে এটিই। এটির দিকেই সবচেয়ে বেশি জোর দেব আমি।”
“শ্রীলঙ্কায় খুব চ্যালেঞ্জিং একটি সফর আমাদের অপেক্ষায়। চ্যালেঞ্জ নিতে পিছপা হয় না এমন একজন হিসেবে আমি বলতে পারি, মানসম্পন্ন ও ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলা গুরুত্বপূর্ণ। আমি সুযোগটা (ভারপ্রাপত কোচের) পেয়ে খুশি। আমরা যাতে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলতে পারি, সেটি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব আমি।”
মঙ্গলবার রাতেই ভারতের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার কথা ওয়ালশের। মনসুর আলী খান পতৌদি স্মারক বক্তৃতার এবারের বক্তা তিনি। আগের পাঁচবারই সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটাররা ছিলেন বক্তা, প্রথম বিদেশি হিসেবে বক্তৃতা দেওয়ার সম্মান পাচ্ছেন ক্যারিবিয়ান এই কিংবদন্তি।
ভারত থেকে ফিরেই ওয়ালশ চূড়ান্ত করে ফেলবেন, কোন পথে এগোবে দল।
“সবকিছুর দিকেই চোখ রাখতে হবে আমাদের। ঠিক করতে হবে কোন ধরনের ক্রিকেট আমরা খেলতে চাই ও কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে হবে। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যেই একসঙ্গে বসে আমরা ঠিক করব কী কী করতে হবে। একটি–দুটি দিকে নয়, সব দিকেই খেয়াল রাখতে হবে আমাদের।”