ক্রিকেটারদের কাছে ‘পিতৃসুলভ’ হতে চান ওয়ালশ

“ছেলেদের সঙ্গে আমি কাজ করব কোচ হিসেবে। একই সঙ্গে হব পিতৃসুলভ ও মেন্টর”-বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়ে ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঠিক এই কথাগুলি বলেছিলেন কোর্টনি ওয়ালশ। সময়ের পরিক্রমায় এখন তিনি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির কণ্ঠে শোনা গেল সেই শুরুর দিনের কথাগুলোই। পিতৃসুলভ নির্ভরতায় ক্রিকেটারদের করে তুলতে চান আত্মবিশ্বাসী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Feb 2018, 10:41 AM
Updated : 28 Feb 2018, 02:45 AM

গত কদিন ধরে ওয়ালশ ব্যস্ত ছিলেন পেসারদের নিয়ে বিশেষ ক্যাম্পে। এর মধ্যেই বাড়ল দায়িত্বের পরিধি। বোলিং কোচ দায়িত্ব পেলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের। শুধু পেসারদের নয়, সামলাতে হবে এখন গোটা দলই। শ্রীলঙ্কায় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিনিই বাংলাদেশের মূল কোচ।

মঙ্গলবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওয়ালশ জানালেন, নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে খুব বেশি ভাবতে হয়নি তাকে।

“এটা অন্তবর্তীকালীন দায়িত্ব। গত কিছুদিন ধরে আমাদের প্রধান কোচ নেই। আমাকে বলা হয়েছে দায়িত্বটি নিতে। খুব বেশি লম্বা আলোচনার প্রয়োজন হয়নি। আমি এখানে আছি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাব্য সেরাটাই করতে চাই। দলকে আরও ধারাবাহিক করে তুলতে চাই।”

“সুযোগটা যখন এল, আলোচনা করাটা খুব কঠিন কিছু ছিল না। আমরা এখন যেমন করছি, সেখান থেকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে চাই আমি। চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই।”

দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের কোচিংয়ের ধরনও ঠিক করে ফেলেছেন ওয়ালশ। বোলিং কোচ হিসেবে হয়ত বোলারদের টেকনিক্যাল দিকগুলো বেশি দেখতে হয়েছে, প্রধান কোচ হিসেবে খেয়াল রাখতে হবে আরও অনেক কিছু। তবে কোচিংয়ের মৌলিক দর্শন তার একই থাকবে। বোলিং কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পরের কথাগুলোই এদিন তার কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হলো আবার।

“ভূমিকাটা হবে পিতৃসুলভ। ছেলেদেরকে আত্মবিশ্বাস জোগানো। যারা ফর্মে নেই, তাদের ফর্মে ফিরতে বাড়তি যে কাজটা করতে হবে, সেটা করতে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সবাইকে এটা মনে করতে হবে যে দলে তার ভূমিকা আছে। সবাইকে দলের জন্য খেলতে হবে এবং সেজন্য যা করা দরকার, করতে হবে। এটিই হবে আমার মন্ত্র।”