ব্যাটিং ভালো করেছেন সাইফ। সেভাবে ঝড় হয়তো তুলতে পারেননি, কিন্তু যতটা পেরেছেন দলকে টেনেছেন। ৪ ইনিংসে ২৯.৩৩ গড়ে তার রান ৮৮। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৯।
কিন্তু বোলিংয়ে ভালো করতে পারেননি। ৬ ইনিংস মিলিয়ে ১০৮ বল করে দেন ১৯৯ রান। ওভার প্রতি দেন ১১.০৫ করে।
বোলিংয়ে শুরুটা খারাপ ছিল না সাইফের। গত বছর শ্রীলঙ্কায় অভিষেক ম্যাচে ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য। পরের ম্যাচে ৩ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকায় ও দেশের মাটিতে চার ম্যাচে খরুচে বোলিং করার পর তাকে নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ম্যাচে ২ ওভারে ২০ রান দেন সাইফ। পরের ম্যাচে ৪ ওভারে ৫৩। দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ২ ওভারে দেন ৩৩। পরেরটিতে ৪ ওভারে ৪৬।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানান, শেষের দিকের পারফরম্যান্সের বিবেচনায় বাদ পড়ে গেছেন সাইফ।
“সাইফের সঙ্গে অলরাউন্ডার (আবুল হাসান) রাজুও আলোচনায় এসেছিল। এখানে সাইফের পারফরম্যান্স চিন্তা করা হয়েছে। ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচে পারফরম্যান্স দেখা হয়েছে। ম্যানেজমেন্ট ওর বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এ কারণেই সে নেই।”