টেইলরের সেঞ্চুরির পর স্যান্টনারের ঝড়

বিপর্যয়ে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন রস টেইলর। টম ল্যাথামের সঙ্গে গড়ে তুললেন বড় জুটি। শেষ দিকে ঝড় তুলে সময়ের দাবি মেটালেন মিচেল স্যান্টনার। ম্যাচের লাগাম অনেকবার হাতবদল হওয়ার উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারাল নিউ জিল্যান্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2018, 12:59 PM
Updated : 25 Feb 2018, 12:59 PM

৫ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। হ্যামিল্টনে রোববার ইংলিশদের ২৮৪ রান কিউইরা পেরিয়ে যায় ৪ বল বাকি রেখে।

১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে নিউ জিল্যান্ডের জয়ের নায়ক টেইলর। তবে বল হাতে দুই উইকেটের পর ২৭ বলে অপরাজিত ৪৫ রানের ইনিংসে অবদান কম নয় স্যান্টনারের।

এই ম্যাচ দিয়েই ৫ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেন স্টোকসের ফেরাটা খুব সুখকর হয়নি। দল হেরেছে; নিজে ব্যাট হতে করেছেন ১২ রান। বল হাতে দুটি উইকেট অবশ্য নিয়েছেন।

ম্যাচ জিতলেও নিউ জিল্যান্ডের রান তাড়ার শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। দশম ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় তারা ২৭ রানেই। চতুর্থ উইকেটে টেইলর ও ল্যাথাম শুধু বড় জুটিই গড়েননি, রান রেটও নিয়ে আসেন নিজেদের বাগে।

১৮২ বলে ১৭৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন দুজন। ৮৪ বলে ৭৯ রানে ল্যাথামের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।

দারুণ গতিতে ছুটতে থাকা নিউ জিল্যান্ড এরপর আবার খায় হোঁচট। ১০ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট।

এই ধাক্কা সামলেও দলকে পথে রাখেন টেইলর। ১০৭ বলে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ে পথে এগিয়ে নেওয়া ইনিংস খেলে ফেরেন ১১৬ বলে ১১৩ রানে। ইনিংসটির পথে নিউ জিল্যান্ডের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে স্পর্শ করেন ৭ হাজার ওয়ানডে রান।

শেষ দিকে রান বলের টানাপোড়েন মেটান স্যান্টনার। টিম সাউদির সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ২১ বলে।

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ক্রিস ওকসের করা ওভারের প্রথম বলেই স্যান্টনার মারেন চার। পরের বল ওয়াইড। পরের বলে ছক্কায় ম্যাচ শেষ। চারটি ছক্কা ও দুই চারে ২৭ বলে অপরাজিত ৪৫ স্যান্টনার।

স্যান্টনার এর আগে বল হাতে নেন জেসন রয় ও বেন স্টোকসের উইকেট। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড জনি বেয়ারস্টোকে হারায় শুরুতেই। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েন রয় ও জো রুট। ৪৯ রান করা রয়কে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন স্যান্টনার।

দারুণ খেলতে থাকা রুট ৭৫ বলে ৭১ করে বোল্ড হন কলিন মানরোর বলে। মিডল অর্ডারে মর্গ্যান-স্টোকনরা সুবিধা করতে পারেননি। ইংল্যান্ডকে টেনে নেন জস বাটলার।

৫টি করে চার ও ছক্কায় ৬৫ বলে ৭৯ করেন বাটলার। মূলত তার সৌজন্যেই ২৮৪ পর্যন্ত যেতে পারে ইংল্যান্ড।

সেই স্কোরে লড়াই হয়েছে তুমুল। তবে পেরে ওঠেনি ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৮৪/৮ (রয় ৪৯, বেয়ারস্টো ৪, রুট ৭১, মর্গ্যান ৮, স্টোকস ১২, বাটলার ৭৯, মইন ২৮, ওকস ১১, উইলি ১১*, কারান ০*; সাউদি ০/৪৭, বোল্ট ২/৬৪, স্যান্টনার ২/৫৪, ডি গ্র্যান্ডহোম ০/২০, সোধি ২/৬৩, মানরো ১/৩১)।

নিউ জিল্যান্ড: ৪৯.২ ওভারে ২৮৭/৭ (গাপটিল ১৩, মানরো ৬, উইলিয়ামসন ৮, টেইলর ১১৩, ল্যাথাম ৭৯, নিকোলস ০, ডি গ্র্যান্ডহোম ২, স্যান্টনার ৪৫*, সাউদি ৮*; উইলি ১/২৬, ওকস ২/৪৭, কারান ১/৬৫, স্টোকস ২/৪৩, মইন ০/৩০, রশিদ ১/৫৫, রুট ০/১৬)।

ফল: নিউ জিল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে

ম্যান অব দা ম্যাচ: রস টেইলর