শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটা জিতলে সুযোগ ছিল ড্র করার। উল্টো এই ম্যাচে আরও বাজে খেলল বাংলাদেশ। ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই ভীষণ বিবর্ণ।
শেষ ম্যাচটিতে পড়েছে যেন গোটা সিরিজেরই প্রতিফলন। হতাশায় মোড়ানো সিরিজের শেষ ম্যাচে চূড়ান্ত ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স।
অধিনায়কের দায়িত্ব থেকেই ম্যাচের পর ম্যাচ আশার কথা শুনিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু শেষ ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হারের পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের কণ্ঠে অসহায়ত্বের সুর।
“আমার মনে হয়, যে ভুলগুলা প্রতিনিয়ত করছি, তার মাশুল প্রতি ম্যাচেই দেখছি। এই জিনিসটা থেকে বের হতে হবে। এছাড়া মনে হয় না কোন পথ আছে। এ রকম খেলতে থাকলে একই ফলই হবে।”
“নির্দিষ্ট পরিকল্পনা বলেন বা ট্যাকটিকাল কিছু, মাঠে সেসব প্রয়োগ করতে হবে। খুব শীঘ্রই আমাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে এবং সেখান থেকে বের হতে হবে। নইলে আমরা বড় সমস্যায় পড়ে যাব।”
সিরিজ জুড়ে প্রায় প্রতিটি হারের পর মাহমুদউল্লাহ বলে গেছেন, পরিকল্পনার বাস্তবায়ন মাঠে করতে না পারার কথা। শেষ ম্যাচের পরও শোনালেন একই হতাশার কথা। উদাহরণ টানলেন শেষ ম্যাচের ব্যাটিং দিয়েই।
“আমার মনে হয়, ভুলগুলো আসলে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে না পারা। এর বাইরে ভুল দেখছি না। নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা থাকতে হয় আর সাহসী হতে হয়। না হলে টিকে থাকা মুশকিল টি-টোয়েন্টিতে।”
“টি-টোয়েন্টিতে ঝুঁকি নিতে হবে। পাওয়ার প্লেতে তারা বড় রান পেয়েছে। আমরা তিনটা উইকেট হারিয়েছি। এটা একটা ব্যবধান ছিল। টি-টোয়েন্টি প্রথম ছয় ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০০ চেজ করতে হলে পাওয়ার প্লেতে অবশ্যই ৬০/৬৫ রান করতে হবে। যেটা গত ম্যাচে হয়েছিল, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এবার হয়নি। সব মিলিয়ে আমার কাছে খুব হতাশার সিরিজ।”