বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়
আগের ম্যাচে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিল তারা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে অতিথিরা জিতেছে ৭৫ রানে।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল ৬৪ রানের। ২০০৭ সালে জোহানেসবার্গে ওই জয় পেয়েছিল তারা।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় জয়টি পাকিস্তানের। ২০০৮ সালে করাচিতে ১০২ রানে জিতেছিল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ২১০/৪ (গুনাথিলাকা ৪২, মেন্ডিস ৭০, থিসারা ৩১, থারাঙ্গা ২৫, শানাকা ৩১*, চান্দিমাল ২*; জায়েদ ১/৪৫, নাজমুল ০/২৮, মেহেদি ০/২৫, মুস্তাফিজ ১/৩৯, সাইফ ১/৪৬, সৌম্য ১/২৫)
বাংলাদেশ: ১৮.৪ ওভারে ১৩৫ (তামিম ২৯, সৌম্য ০, মুশফিক ৬, মিঠুন ৫, মাহমুদউল্লাহ ৪১, আরিফুল ২, সাইফ ২০, মেহেদি ১১, মুস্তাফিজ ৮, জায়েদ ২, নাজমুল ১*; মাদুশাঙ্কা ২/২৩, দনঞ্জয়া ১/২০, শানাকা ১/৫, থিসারা ০/৩৩, আপনসো ১/৩১, জিবন ১/৮, উদানা ১/১২, গুনাথিলাকা ২/৩)
ফল: শ্রীলঙ্কা ৭৫ রানে জয়ী
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে জয়ী শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার বড় জয়
বোলিংয়ে এসে চার বলের মধ্যে দুই উইকেট তুলে নিয়ে দলকে বড় জয় এনে দিয়েছেন দানুশকা গুনাথিলাকা। তার বলে ভুল লাইনে খেলে বোল্ড হন মুস্তাফিজুর রহমান। বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় স্টাম্পড হয়ে জায়েদের বিদায়ে ৮ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
১৮.৪ ওভারে ১৩৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারে ৭৫ রানে।
মেহেদিকে ফেরালেন শানাকা
দাসুন শানাকা ফিরিয়েছেন মেহেদি হাসানকে। ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় সীমানায় ইসুরু উদানার হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ১১ বলে একটি চারে ১১ রান করে বিদায় নেন অভিষিক্ত মেহেদি।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩২/৮। ক্রিজে মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গী আবু জায়েদ।
ফিরে গেলেন সাইফও
ইসুরু উদানাকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। সেই ওভারেই ফিরে যান ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায়।
মিডল স্টাম্পের শর্ট বল পুল করে উড়াতে চেয়েছিলেন সাইফ। কিন্তু সীমানা পার করতে পারেননি। ডিপ মিডউইকেটেচ ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার জেফরি ভান্ডারসের হাতে। ২১ বলে ২০ রান করে ফিরে যান সাইফ।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১৩/৭। ক্রিজে মেহেদি হাসানের সঙ্গী মুস্তাফিজুর রহমান।
রান আউট মাহমুদউল্লাহ
রান আউট হয়ে ফিরে গেলেন শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের বিদায়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
ইসুরু উদানার বলে আউট হতে পারতেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তার ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি বোলার। বল ছুটে যাওয়ার পর রান নিতে ছুটেন দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু কিছুটা এগিয়ে মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে দেন সাইফ। ফেরার কোনো সুযোগই ছিল না অধিনায়কের। ৩১ বলে ৪১ রান করে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ।
১৪.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১১০/৬।
বাংলাদেশের একশ
থিসারা পেরেরাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের সংগ্রহ তিন অঙ্কে নিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। একশ রানে যেতে বাংলাদেশের লেগেছে ১৩ ওভার।
১৩ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১০৩/৫। মাহমুদউল্লাহ ৩৫ ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ১৮ রানে ব্যাট করছেন। শেষ ৭ ওভারে ১০৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
এলেন আর গেলেন আরিফুল
আরিফুল হক টিকলেন মাত্র তিন বল। ফিরে গেলেন দুই সিঙ্গেল নিয়ে। তার বিদায়ে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের শেষ জুটি হারাল বাংলাদেশ।
লেগ স্পিনার জিবন মেন্ডিসের বলের লাইন বুঝতেই পারেননি আরিফুল। ভুল লাইনে খেলার মাশুল দেন এলবিডব্লিউ হয়ে।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬৯/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
ফিরে গেলেন তামিম
আশা হয়ে টিকে থাকা তামিম ইকবাল ফিরে গেলেন। বাঁহাতি ওপেনারকে বিদায় করে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি উইকেট নিয়েছেন আমিলা আপনসো।
অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনারকে কাভার দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন তামিম। টাইমিং করতে পারেননি। সীমানায় তার ক্যাচ নেন আকিলা দনঞ্জয়া। ২৩ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ২৯ রান করে ফিরে যান তামিম ইকবাল।
৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬১/৪। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আরিফুল হক।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪০
বড় রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে হারিয়েছে তিন উইকেট। রানের জন্য সংগ্রাম করছে স্বাগতিকরা।
৬ ওভারে ৩ উইকেটে ৪০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ১৭ বলে ২২ ও মাহমুদউল্লাহ ৯ বলে ৩ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৬৩ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা।
মিঠুনকে ফেরালেন মাদুশাঙ্কা
জোড়া ধাক্কায় বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দিলেন শেহান মাদুশাঙ্কা। মুশফিকুর রহিমের পর একই ওভারে তুলে নিলেন মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট।
আগের বলটাতেই আউট হতে পারতেন মিঠুন। ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি পেয়ে যান তিনি। পরের বলে বাঁচেননি। ব্যাটের কানায় লেগে মিড অনে যাওয়া সহজ ক্যাচ নেন কুসল মেন্ডিস। ৩ বলে ৫ রান করে ফিরেন মিঠুন।
৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২/৩। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।
ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরলেন মুশফিক
প্রথম বলটি ডট। পরের বলটিতে ডিপ থার্ডম্যান দিয়ে হাঁকালেন ছক্কা। তৃতীয় বলে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ।
শেহান মাদুশাঙ্কার অফ স্টাম্পের বাইরের বল পুল করে উড়াতে চেয়েছিলেন মুশফিক। টাইমিং করতে পারেননি। মিড অনে সহজ ক্যাচ যায় থিসারা পেরেরার হাতে। ৩ বলে ৬ রান করে ফিরেন মুশফিক।
শূন্য রানে ফিরলেন সৌম্য
বড় রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ওভারে ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার।
আকিলা দনঞ্জয়ার অনেক বাইরের ফুল লেংথ বল তাড়া করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন সৌম্য। পয়েন্টে ক্যাচ নেন জিবন মেন্ডিস। চার বলে শূন্য রানে ফিরেন সৌম্য।
সেই ওভারটি মেডেন নেন অফ স্পিনার দনঞ্জয়া। ফিরে যেতে পারতেন তামিম ইকবালও। বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। কাজে লাগাতে পারেননি দিনেশ চান্দিমাল।
২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮/১। ক্রিজে তামিমের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।
২১১ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
ভিত গড়ে দিলেন দুই ওপেনার কুসল মেন্ডিস ও দানুশকা গুনাথিলাকা। এরপর ক্রিজে যেই এলেন ঝড় তুললেন। তাতে বাংলাদেশকে ২১১ রানের বড় লক্ষ্য দিল শ্রীলঙ্কা।
অতিথিদের ৪ উইকেটে ২১০ রান টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত অক্টোবরে পচেফস্ট্রুমে ৪ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২২৪ রান সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার আগের সর্বোচ্চ ছিল ৫ উইকেটে ১৯৮। ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে এই রান করেছিল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ২০ ওভারে ২১০/৪ (গুনাথিলাকা ৪২, মেন্ডিস ৭০, থিসারা ৩১, থারাঙ্গা ২৫, শানাকা ৩১*, চান্দিমাল ২*; জায়েদ ১/৪৫, নাজমুল ০/২৮, মেহেদি ০/২৫, মুস্তাফিজ ১/৩৯, সাইফ ১/৪৬, সৌম্য ১/২৫)
থারাঙ্গাকে ফেরালেন সাইফ
এসেই ঝড় তোলা উপুল থারাঙ্গাকে ইনিংসের শেষ ওভারে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তাকে লং অফ দিয়ে উড়ানোর চেষ্টায় সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন থারাঙ্গা। ১২ বলে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরেন ২৫ রান করে।
মেন্ডিসকে বিদায় করলেন মুস্তাফিজ
পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নিল বাংলাদেশ। থিসারা পেরেরাকে আবু জায়েদ ফেরানোর পর মুস্তাফিজুর রহমান বিদায় করলেন কুসল মেন্ডিসকে।
ব্যাটের কানায় লেগে আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ সীমানায় মুঠোয় নেন মেহেদি হাসান। ৪২ বলে ৬টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭০ রান করে ফিরেন মেন্ডিস। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার সর্বোচ্চ।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬১/৩। ক্রিজে উপুল থারাঙ্গার সঙ্গী দাসুন শানাকা।
থিসারাকে থামালেন জায়েদ
থিসারা পেরেরার ঝড় থামিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নিয়েছেন আবু জায়েদ। ডানহাতি এই পেসার ভেঙেছেন ৫১ রানের জুটি।
লং অফ দিয়ে জায়েদকে উড়াতে চেয়েছিলেন থিসারা। টাইমিং করতে পারেননি। ক্যাচ হাতে জমান সৌম্য সরকার। ১৭ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় থিসারা ফিরেন ৩১ রান করে।
১৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৫৮/২। কুসল মেন্ডিস ৬৯ ও উপুল থারাঙ্গা ৮ রানে ব্যাট করছেন।
মেন্ডিস-থিসারার পঞ্চাশ রানের জুটি
দ্রুত রান তুলছেন কুসল মেন্ডিস, থিসারা পেরেরা। মাত্র ৪.১ ওভারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটির রান।
থিসারা ক্রিজে আসার পর একটু শান্ত হয়েছেন মেন্ডিস। রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব যেন নিজের কাঁধে তুলে থিসারা। তাদের ব্যাটে দুইশ রানের দিকে ছুটেছে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ।
শ্রীলঙ্কার একশ
কুসল মেন্ডিসের ব্যাটে দ্রুত এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। তার ফিফটিতে দ্বাদশ ওভারে তিন অঙ্কে গেছে দলটির সংগ্রহ। ক্রিজে ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশন রাখতে তিন নম্বরে থিসারা পেরেরাকে পাঠিয়েছে অতিথিরা।
১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৮। মেন্ডিস ৩৩ বলে ৫৮ ও থিসারা ২ বলে ২ রানে ব্যাট করছেন।
গুনাথিলাকাকে ফেরালেন সৌম্য
তৃতীয়বারে গেলেন দানুশকা গুনাথিলাকা। তাকে ফিরিয়ে ১১ ওভার স্থায়ী ৯৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন সৌম্য সরকার।
১৫ ও ২৮ রানে দুইবার জীবন পাওয়া গুনাথিলাকা ফিরেন ৪২ রান করে। তার ৩৭ বলের ইনিংস গড়া তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে।
নিজের প্রথম ওভারে আঘাত হানেন সৌম্য। তাকে লং অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন গুনাথিলাকা। টাইমিং করতে পারেননি। সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল।
মেন্ডিসের টানা দ্বিতীয় ফিফটি
এই সিরিজের আগে একটিও টি-টোয়েন্টি ফিফটি ছিল না কুসল মেন্ডিসের। দুই ম্যাচে দুটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন লঙ্কান ওপেনার।
শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন না মেন্ডিস। কুসল পেরেরার চোটে জায়গা পেয়ে যান দলে। প্রথম ম্যাচে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯ বলে পৌঁছান পঞ্চাশে।
ফিফটিতে যেতে ৫টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা হাঁকান মেন্ডিস।
আবার জীবন পেলেন গুনাথিলাকা
বানের স্রোতের মতো আসছে রান। তাতে বাঁধ দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়ক ছেড়েছেন দানুশকা গুনাথিলাকার ক্যাচ।
মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের স্লোয়ার বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি গুনাথিলাকা। লাফিয়ে দুই হাতে চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারেননি। সে সময় ২৮ রানে ছিলেন গুনাথিলাকা। এর আগে ১৫ রানে তামিম ইকবালের হাতে জীবন পেয়েছিলেন তিনি।
৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭৯/০। কুসল মেন্ডিস ৪৩ ও গুনাথিলাকা ৩২ রানে ব্যাট করছেন।
পাওয়ার প্লেতে ৬৩ রান
কুসল মেন্ডিস ও দানুশকা গুনাথিলাকার ব্যাটে দারুণ সূচনা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ ওভারে ৬৩ রান যোগ করেছে অতিথিরা।
মেন্ডিস ১৯ বলে ব্যাট করছেন ৩৬ রানে। গুনাথিলাকা খেলছেন ১৭ বলে ২৩ রানে।
জীবন পেলেন গুনাথিলাকা
নাজমুল ইসলাম অপুকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে ফিরে যেতে পারতেন দানুশকা গুনাথিলাকা। দারুণ চেষ্টা করেও তার ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেন তামিম ইকবাল।
বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলের বলে ড্রাইভ মাটিতে রাখতে পারেননি গুনাথিলাকা। মিড অফে ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করেছিলেন তামিম। কিন্তু হাত থেকে ছুটে যায় ক্যাচ। সে সময় ১৫ রানে ছিলেন গুনাথিলাকা।
৫ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৪৭/০। গুনাথিলাকা ২২ ও কুসল মেন্ডিস ২২ রানে অপরাজিত। দুই জনই খেলেছেন ১৫টি করে বল।
বোলিংয়ে শক্তি বাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা
সিরিজের শেষ ম্যাচের দলে একটি পরিবর্তন এনেছে শ্রীলঙ্কা। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলাকে বাদ দিয়ে দলে এনেছে আমিলা আপনসোকে। ছয়টি ওয়ানডে খেলা বাঁহাতি স্পিনার প্রথমবারের মতো খেলছেন টি-টোয়েন্টিতে।
শ্রীলঙ্কা দল: দিনেশ চান্দিমাল, উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলকা, কুসল মেন্ডিস, থিসারা পেরেরা, আমিলা আপনসো, দাসুন শানাকা, ইসুরু উদানা, শেহান মাদুশাঙ্কা, আকিলা দনঞ্জয়া, জিবন মেন্ডিস।
বাংলাদেশ দলে মেহেদি, জায়েদের অভিষেক
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান টুপি দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। আবু জায়েদকে টুপি দিয়েছে আরেক পেসার রুবেল হোসেন।
প্রথম টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন চারটি। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। ভিন্ন ভিন্ন চোটের জন্য তিনটি টি-টোয়েন্টিতে খেলতে পারেননি বাঁহাতি এই ওপেনার।
২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
প্রথম টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, জাকির হাসান ও আফিফ হোসেন।
সিলেটের শুরুতে শেষ ভালোর আশায় বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে গেছে বছর চারেক আগে। কদিন আগে টইটম্বুর গ্যালারিতে বিপিএলের সাড়া জাগানো আয়োজনও হয়ে গেল। তবু একটি কমতি ছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। নিজেদের জাতীয় দলের পা পড়েনি এখনও! এবার শেষ হচ্ছে সেই অপেক্ষার প্রহর। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে নয়নাভিরাম এই মাঠে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের পথচলা। সিলেটে শুরুর ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সুযোগ হতাশার সিরিজের শেষটা ভালো করার।
রোববার খেলা শুরু হবে বিকাল পাঁচটায়।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরে হেরে সিরিজে পিছিয়ে বাংলাদেশ। রোববার শেষ টি-টোয়েন্টি সিলেটে। ম্যাচটি শুধুই একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নয়, বাংলাদেশের জন্য কিছু পাওয়ার সুযোগও। সিলেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে স্মরণীয় করে রাখার হাতছানি, পাশাপাশি হতাশায় মোড়ানো সিরিজে অন্তত শেষটা ভালো করার সুযোগ।
কাজটি যদিও কঠিন। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শেষ ভাগ থেকে হতাশার যে স্রোত শুরু, টেস্ট সিরিজ হয়ে তা প্রবাহিত হয়েছে টি-টোয়েন্টির শুরুতেও। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড ১৯৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচও শ্রীলঙ্কা অনায়াসে জিতেছে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে।