নিজেদের রেকর্ড ১৯৩ রান তুলেও প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে জিতেছে লঙ্কানরা ২০ বল বাকি রেখে।
রান তাড়ার শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কা ছুটেছে ঝড়ের গতিতে। ৪.৩ ওভারেই দলের রান হয়ে যায় ৫০। প্রথম ৬ ওভারে বাউন্ডারি এসেছে ১৩টি! পরাজয়ের ময়নাতদন্তে মাহমুদউল্লাহ শুরুতে বললেন শুরুর বাজে লেংথের কথা।
“রান দুইশ, দুইশর ওপরে হলে ভালো হতো। এরপরও এটা ভালো স্কোর ছিল। কিন্তু বোলাররা ভালো লেংথে বোলিং করতে পারেনি। লাইন খারাপ ছিল না, কিন্তু লেংথ ভালো ছিল না। এ কারণে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা শুরুতে দ্রুত উইকেট নিতে পারিনি আমরা। এটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।”
“এই উইকেটে লেংথটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। উইকেট খুব ভালো ছিল। ভালোভাবে ব্যাটে আসছিল। শুরুর দিকে লেংথগুলো আমরা ঠিক করতে পারিনি। অনেক জায়গা দিয়েছি। ওরা খুব সহজে বাউন্ডারি পেয়েছে। এগুলো আমরা ভুল করেছি, যেগুলো উচিত হয়নি।”
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ যে শেষ দিকে আরও ১০-১৫ রান বেশি করতে পারেনি, সেটির কৃতিত্ব মাহমুদউল্লাহ দিলেন লঙ্কান বোলারদের। পাশাপাশি তুলনা করলেন নিজেদের বোলিংয়ের।
“ওদের বোলিং যদি দেখেন, ওরা শেষের দিকে ইয়র্কারগুলো ভালোভাবে করতে পেরেছে। আমাদের অনেক পথ খুঁজতে হয়েছে রান করতে। যদি মুশির ব্যাটিং দেখেন, স্কুপ-রিভার্স স্কুপ খেলেছে বা ব্লকের বল অফ স্টাম্পের বাইরে এসে মেরেছে। আমাদের বোলাররা সেই লেংথে বল করতে পারেনি। এজন্যই আজকে এই ফল। এই রান করে অবশ্যই আমাদের জেতা উচিত ছিল।”
১৯৩ রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কাকে ব্যাট করতে হয়েছে ১৬.৪ ওভার। এর মধ্যেই চার হয়েছে ২৩টি, ছক্কা ৮টি! এটিই বলে দিচ্ছে কতটা বাজে ছিল বাংলাদেশের বোলিং। নাজমুল অপুর করা ইনিংসের নবম ওভার ছাড়া বাউন্ডারি এসেছে সব ওভারেই।
অধিনায়কের চাওয়া, ঘাটতির দিকগুলো নিয়ে কাজ করে সামনে ঘুরে দাঁড়ানো।
“বোলিং গ্রুপ হিসেবে আমাদের বসে কাজ করতে হবে কাকে কখন কোন সময় কিভাবে বল করব। ডট বল করে কিভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারব। এ ধরনের উইকেটে ব্যাটসম্যানের শক্তি বুঝে হয়ত জুতসই বাউন্সার করতে হবে কিংবা দারুণ ইয়র্কার। এ জিনিসগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।”