রেকর্ড ইনিংস গড়েও হারল বাংলাদেশ

টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়েও বড় ব্যবধানে হারতে হলো বাংলাদেশকে। স্বাগতিকদের বোলিং এলোমেলো করে দিয়ে ২০ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের সহজ জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Feb 2018, 10:30 AM
Updated : 15 Feb 2018, 02:38 PM

শ্রীলঙ্কার রেকর্ড গড়া জয়

দুই ওপেনার কুসল মেন্ডিস, দানুশকা গুনাথিলকা এনে দিলেন উড়ন্ত সূচনা। দুই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান দাসুন শানাকা ও থিসারা পেরেরা সারলেন বাকিটা।

বাংলাদেশের ১৯৩ রান ২০ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য তাড়া করে জয়।

বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম ছাড়া বাকি সবাই ছিলেন খরুচে। দলের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমানকে পর্যন্ত অনায়াসে খেলেছে অতিথিরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (জাকির ১০, সৌম্য ৫১, মুশফিক ৬৬*, মাহমুদউল্লাহ ৪৩, সাব্বির ১, আরিফুল ১*; মাদুশাঙ্কা ০/৩৯, গুনাথিলাকা ১/১৬, উদানা ১/৪৫, থিসারা ১/৩৬, দনঞ্জয়া ০/৩২, জিবন ২/২১)

শ্রীলঙ্কা: ১‌৬.৪ ওভারে ১৯৪/৪ (কুসল মেন্ডিস ৫৩, গুনাথিলাকা ৩০, থারাঙ্গা ৪, শানাকা ৪২* ডিকভেলা ১১, থিসারা ৩৯*; নাজমুল ২/২৫, সাইফ ০/৩৩, রুবেল ১/৫২, মুস্তাফিজ ০/৩২, আফিফ ১/২৬)

ফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুসল মেন্ডিস

ডিকভেলাকে ফেরালেন রুবেল

বোলিংয়ে ফিরে আঘাত হেনেছেন রুবেল হোসেন। ফিরিয়ে দিয়েছেন নিরোশান ডিকভেলাকে।

রুবেলকে পুল করতে গিয়ে মাঝ ব্যাটে খেলতে পারেননি লঙ্কান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়া ক্যাচ ফাইন লেগে তালুবন্দি করেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।

১২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১৩০/৪। ক্রিজে দাসুন শানাকার সঙ্গী থিসারা পেরেরা। জয়ের জন্য ৮ ওভারে ৬৪ রান চাই অতিথিদের।

নাজমুলের দ্বিতীয় শিকার থারাঙ্গা

উপুল থারাঙ্গাকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিয়েছেন নাজমুল ইসলাম অপু। পরপর দুই ওভারে উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ।

জায়গায় দাঁড়িয়ে বাঁহাতি স্পিনারকে ডিপ মিডউইকেট দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন থারাঙ্গা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান টাইমিং করতে পারেননি।  সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় নেন আফিফ হোসেন।

৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৯৩/৩। ক্রিকেট দাসুন শানাকার সঙ্গী নিরোশান ডিকভেলা। জয়ের জন্য শেষ ১১ ওভারে ১০৩ রান চাই অতিথিদের।

মেন্ডিসকে ফেরালেন আফিফ

নিজের প্রথম ওভারে আঘাত হানলেন আফিফ হোসেন। ফিরিয়ে দিলেন ঝড় তোলা কুসল মেন্ডিসকে।

প্রথম চার বল থেকে এসেছিল ১৩ রান। পঞ্চম বলটি লং অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন কুসল। ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। লং অফে ক্যাচ মুঠোয় নেন সৌম্য সরকার। ২৭ বলে ৫৩ রান করে ফিরে যান কুসল।

৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৯০/২। ক্রিজে উপুল থারাঙ্গার সঙ্গী দাসুন শানাকা। জয়ের জন্য ১২ ওভারে ১০৪ রান চাই অতিথিদের।

কুসল মেন্ডিসের প্রথম ফিফটি

টি-টোয়েন্টি দলেই ছিলেন না কুসল মেন্ডিস। কুসল পেরেরার চোটে জায়গা পান দলে। টি-টোয়েন্টিতে আগের আট ইনিংস মিলিয়ে করেছিলেন ৭৪ রান। এবার পেয়ে গেলেন নিজের প্রথম ফিফটি।

আফিফ হোসেনকে ছক্কা হাঁকিয়ে ২৫ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মেন্ডিস। তার আগের সেরা ছিল ২২।

গুনাথিলাকাকে ফিরিয়ে নাজমুলের প্রথম উইকেট

নিজের দ্বিতীয় ওভারে উইকেট পেয়ে গেলেন নাজমুল ইসলাম অপু। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাঁহাতি এই স্পিনারের প্রথম উইকেট।

পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাজমুল। বেরিয়ে এসে তার ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা। বলে-ব্যাটে করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। বল গ্লাভসে নিয়ে বেলস ফেলে দেন মুশফিকুর রহিম।

১৫ বলে ৩০ রান করে স্টাম্পড হয়ে ফিরে যান গুনাথিলাকা। ভাঙে কুসল মেন্ডিসের সঙ্গে ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটি।

৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫৩/১। ক্রিজে কুসল মেন্ডিসের সঙ্গী উপুল থারাঙ্গা। জয়ের জন্য আরও ১৪১ রান চাই অতিথিদের।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ

মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে ১৯৩ রান করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাদের সর্বোচ্চ।

আগের সেরা ছিল ২০১২ সালে বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করা ৫ উইকেটে ১৯০। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৩ সালে পাল্লেকেলেতে করা ৭ উইকেটে ১৮১ রান।

ক্যারিয়ারে প্রথম পঞ্চাশ ছুঁয়ে সৌম্য ফিরেন ৫১ রান করে। আগের সেরা ৫০ ছাড়িয়ে মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৬৬ রানে। দুই জনের ফিফটিতে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কাকে ১৯৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৯৩/৫ (জাকির ১০, সৌম্য ৫১, মুশফিক ৬৬*, মাহমুদউল্লাহ ৪৩, সাব্বির ১, আরিফুল ১*; মাদুশাঙ্কা ০/৩৯, গুনাথিলাকা ১/১৬, উদানা ১/৪৫, থিসারা ১/৩৬, দনঞ্জয়া ০/৩২, জিবন ২/২১)

বোল্ড সাব্বির

দ্রুত ফিরেছেন সাব্বির রহমান। তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন থিসারা পেরেরা।

লেগ স্টাম্পে থাকা ইয়র্কার লেংথের বল কিপারের পাশ দিয়ে গলিয়ে দিতে চেয়েছিলেন সাব্বির। ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। ফিরে যান বোল্ড হয়ে।

ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ

রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। বোলিংয়ে ফিরে তার উইকেট নিয়েছেন ইসুরু উদানা।

স্কুপ করতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ঠিক মতো করতে পারেননি। শর্ট ফাইন লেগে আকিলা দনঞ্জয়ার কাছে যায় সহজ ক্যাচ। ৩১ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে ৪৩ রান করে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভাঙে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি।

মুশফিকের পঞ্চাশ

২০১৩ সালের নভেম্বরের পর টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি পেলেন মুশফিকুর রহিম।

৩৭ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন মুশফিক। তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার।

মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ জুটির পঞ্চাশ

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশ দ্রুত এগোচ্ছে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে দুই জনে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।

৩২ বলে পঞ্চাশে যায় জুটির রান। সেই সঙ্গে ১৫তম ওভারে দেড়শ স্পর্শ করে বাংলাদেশের সংগ্রহ।

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫৪/৩। মুশফিক ৪৫ ও মাহমুদউল্লাহ ৩১ রানে ব্যাট করছেন।

অভিষেকে আফিফের শূন্য

অভিষেকে আফিফ হোসেন টিকলেন দুই বল। ফিরে গেলেন রানের খাতা খোলার অগেই। তিন বলে দুই উইকেট নিলেন অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার জিবন মেন্ডিস।

লেগ স্টাম্পের বল ব্যাটে খেলতে পারেননি আফিফ। ঊরুতে লাগার পর ব্যাটের ফেছনে লেগে ক্যাচ যায় নিরোশান ডিকভেলার কাছে। তৎপর উইকেটরক্ষক ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে নেন ক্যাচ।

১০.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/৩।

ফিফটির পর ফিরে গেলেন সৌম্য

সাড়ে চার বছর পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছেন জিবন মেন্ডিস। ফিরিয়ে দিয়েছেন বিপজ্জনক সৌম্য সরকারকে।

লেগ স্পিনারের বল রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন সৌম্য। লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। শট খেলতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সৌম্য। চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন দুই সতীর্থের কাঁধে ভর দিয়ে।   

৩২ বলে ৫১ রান করে ফিরেন সৌম্য। ১০.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/২।

জুটির পঞ্চাশ, দলের একশ

দ্বিতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়েছেন সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। সেই সঙ্গে ১০ ওভারে বাংলাদেশের রান গেছে তিন অঙ্কে।

দ্বিতীয় উইকেটে জুটির রান পঞ্চাশে যায় ৩৭ বলে।

১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/১। সৌম্য ৫১ ও মুশফিক ২৬ রানে অপরাজিত।

ফিরে গেলেন জাকির

সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে চতুর্থ ওভারে। বোল্ড হয়ে ফিরে গেছেন জাকির হাসান।

এক দিকে ঝড় তোলেন সৌম্য। অন্য দিকে শান্তই ছিলেন অভিষিক্ত জাকির। দানুশ গুনাথিলাকাকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে তিনি বোল্ড হলে ভাঙে ৪৯ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৯ বলে একটি চারে ১০ রান করে ফিরেন জাকির।

৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৯/১। সৌম্য ১৫ বলে ৩২ রানে অপরাজিত। ক্রিজে তার সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

মাদুশাঙ্কার অভিষেক

ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল পেসার শেহান মাদুশাঙ্কার। তরুণ পেসারের এবার অভিষেক হচ্ছে টি-টোয়েন্টিতে। ২০১৩ সালের পর প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন অলরাউন্ডার জিবন মেন্ডিস।

শ্রীলঙ্কা দল: দিনেশ চান্দিমাল, উপুল থারাঙ্গা, দানুশকা গুনাথিলকা, কুসল মেন্ডিস, থিসারা পেরেরা, নিরোশান ডিকভেলা, দাসুন শানাকা, ইসুরু উদানা, শেহান মাদুশাঙ্কা, আকিলা দনঞ্জয়া, জিবন মেন্ডিস।

চোটের জন্য নেই তামিম

শঙ্কা কাটিয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। তবে চোটের জন্য নেই তামিম ইকবাল। এ নিয়ে টানা তিনটি টি-টোয়েন্টিতে একাদশের বাইরে থাকলেন বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলা বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন পাঁচটি। চোটের জন্য আগেই ছিটকে গেছেন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। স্কোয়াডেই নেই ইমরুল কায়েস, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ।

চোট কাটিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। অভিষেক হচ্ছে আফিফ হোসেন, জাকির হাসান, আরিফুল হক ও নাজমুল ইসলাম অপুর।

বাংলাদেশ দল: সৌম্য সরকার, জাকির হাসান, সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, আরিফুল হক, আফিফ হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, নাজমুল ইসলাম অপু

বাংলাদেশ দলে চার জনের অভিষেক

স্কোয়াডের ছয় নতুন মুখের চার জনেরই অভিষেক হচ্ছে প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে। প্রথমবারের মতো দেশের হয়ে খেলবেন আফিফ হোসেন, জাকির হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু ও আরিফুল হক।

সবশেষ ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল চার জনের।

অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার আফিফকে ক্যাপ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জাকিরকে টুপি দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। বাঁহাতি স্পিনার নাজমুলকে টুপি পরিয়ে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। অলরাউন্ডার আরিফুলকে খালেদ মাহমুদ।

নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন মাহমুদউল্লাহ

ফাইনালসহ শেষ দুই ম্যাচ হেরে ছোঁয়া হয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি। ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মত দেশের মাটিতে হারতে হয়েছে টেস্ট সিরিজ। আত্মবিশ্বাস কমতির দিকে। দল চোট জর্জর। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ভাষা দলের কাছে এখনও দুর্বোধ্য। এরপরও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের এগিয়ে রাখছেন মাহমুদউল্লাহ। মূল কারণ, খেলা নিজেদের আঙিনায়।

দুই ম্যাচের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃহস্পতিবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বিকেল ৫টায়।

বাংলাদেশের ফাঁস ‘ডট বল’

১২০ বলের খেলা। প্রতিটি বলই এখানে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার সুযোগ। কিন্তু বাংলাদেশ বারবারই উল্টো চাপে ফেলে নিজেদের। ফাঁস হয়ে আসে ‘ডট বল’। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই দলকে সেই ফাঁসমুক্ত দেখতে চান মাহমুদউল্লাহ।

রঙিন পোশাকের দুই সংস্করণেই বাংলাদেশর বড় সমস্যা ডট বল। সংস্করণটি সংক্ষিপ্ত বলে টি-টোয়েন্টিতে এটি বড় প্রভাব ফেলে ম্যাচের ফলে। বাংলাদেশ অনেক সময় ইনিংসের অর্ধেক বল থেকেই করতে পারে না রান। ডট বলের চাপে পড়ে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট হারানোর নজির আছে অসংখ্য।

আরেকটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে যথারীতি আলোচনায় সেই ডট বল। নিজেদের এই দুর্বলতা মেনে নিলেন মাহমুদউল্লাহ। অধিনায়কের চাওয়া, এবার ডট বলের জাল ছিঁড়ে বের হবে দল।

ষষ্ঠ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ

ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্বের নিজস্ব একটা ঘরানা তৈরি করতে পেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। সেটিকে এবার ফুটিয়ে তুলতে চান জাতীয় দলেও। ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে যদিও কাজটা কঠিন। তবু নিজের ছাপটা রাখতে চান অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

চোট পাওয়া সাকিব আল হাসানের বদলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। নেতৃত্ব দেবেন টি-টোয়েন্টিও। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই সংস্করণেই নিজেকে আলাদা করে তুলেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।

এমনিতে অধিনায়ক হিসেবে সফল তিনি সব সংস্করণেই। তবে বেশি নজর কেড়েছেন বিপিএলে। গত কয়েক মৌসুমে বিপিএলে নেতৃত্বে তাকে দেখা গেছে দারুণ আগ্রাসী। মাঠের ভেতরে বাইরে ছিলেন অনুপ্রেরণাদায়ী। বাংলাদেশের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সতীর্থদের দিয়েছেন নিজেদের ফুটিয়ে তোলার স্বাধীনতা।

নতুনরা শ্রীলঙ্কার চেনা

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে থাকা ছয় নতুন মুখ অচেনা নয় শ্রীলঙ্কানদের। উপুল থারাঙ্গা জানিয়েছেন, বিপিএলে খেলার সুবাদে প্রথমবারের মতো দলে আসা ক্রিকেটারদের ব্যাপারে ভালো ধারণা আছে তাদের।

প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য বাংলাদেশ দলে আছেন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা জাকির হাসান, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান, আফিফ হোসেন, নাজমুল ইসলাম ও আবু জায়েদ।