শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য প্রথম ঘোষিত দলে নতুন মুখ ছিল ৫টি-আবু জায়েদ চৌধুরী, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান, আফিফ হোসেন ও জাকির হাসান। পরে চোট পাওয়া সাকিব আল হাসানের বদলে নেওয়া হয় নতুন আরেকজন, নাজমুল ইসলাম অপুকে।
টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক তামিমের কাছে মঙ্গলবার প্রশ্ন ছিল নতুনদের নিয়ে। তামিম প্রথমে আলাদা করে বললেন দুজনের কথা।
“আমি দুই-তিন জনের নাম উল্লেখ করি। আমার কাছে মনে হয়, রাহির (আবু জায়েদ চৌধুরী) সুযোগটা খুব ভালোভাবে প্রাপ্য ছিল। কারণ দুই বছর ধরে বিপিএলে বোলিংয়ে সেরা পারফরমারদের একজন।”
“আরিফুল হকও গত দুই-তিন বছর ধরে বিপিএলে সমানভাবে ভাল খেলে যাচ্ছে। আমাদের এমন কাউকে দরকার যে কিনা সাতে নেমে বড় শট খেলতে পারে এবং খেলা শেষ করে আসতে পারে। আরিফুলের যে সামর্থ্য খুব ভালো ভাবে আছে।”
নতুনদের আরেকজন, মেহেদি এবার বিপিএলে খেলেছেন তামিমের নেতৃত্বেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। এমনিতে ব্যাটিং অলরাউন্ডার হলেও মেহেদি বিপিএলে নজর করেছেন অফ স্পিনে। মেহেদিসহ অন্য নতুনদেরও সময় দিতে বললেন তামিম।
“কেউ ভালো ক্রিকেটার মানেই এমন নয় যে শুরুতেই ভালো খেলবে। ৪ বা ৫ নম্বর ম্যাচ থেকে ভালো খেলতে পারে। যারা ওদেরকে নির্বাচন করেছেন, এটা ভেবেই নিশ্চয়ই নিয়েছেন যে তাদের সামর্থ্য আছে এই পর্যায়ে খেলার। আশা করব, তাদেরকে লম্বা সময় সুযোগ দেওয়া হবে।”
পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়ার প্রসঙ্গেই উঠে গেল আরেকটি প্রশ্ন। চলতি সিরিজেই তিন সংস্করণ মিলিয়ে দল আনা ও বাদ দেওয়া হয়েছে অনেক অনেক ক্রিকেটারকে। তামিম নিজেই জানালেন সংখ্যাটি, “৩৪ জন।” টি-টোয়েন্টির সহ-অধিনায়ক আবারও বললেন একই কথা, শুরুর ব্যর্থতায় ছুঁড়ে না ফেলে যেন সুযোগ দেওয়া হয় পর্যাপ্ত।
“দেখুন, যে কোনো ক্রিকেটার টানা দুই বা তিন বছর ঘরোয়াতে পারফর্ম করছে, জাতীয় দলে আসার পর তার একটা বা তিন-চারটা খারাপ ম্যাচ হতেই পারে। তাকে ওই সময় সরিয়ে দেওয়াটা আমার মনে হয় না কোনো সমাধান। সামর্থ্য আছে বলেই কাউকে দলে নেওয়া হয়। ওকে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে।”
“এ রকম না, আমরা অনেক অনেক খেলোয়াড় প্রস্তুত করছি। আমরা খেলোয়াড় প্রস্তুত করছি অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে... কিন্তু যখন একজন আসে, তাকে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ এখানে একটা বড় ব্যবধান থাকে। ওখানে খাপ খাইয়ে নেওয়ারও ব্যাপার আছে। যদি মনে করা হয়, বাংলাদেশের হয়ে ভালো করার সামর্থ্য কারও আছে, তাকে তাহলে যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া উচিত।”