শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথম টি-টোয়েন্টির জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বিসিবি। চোটের জন্য টেস্ট সিরিজে খেলতে না পারা সাকিব আল হাসান টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দেবেন দলকে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলের শেষ আসরে ১০ ম্যাচে ২৫.৭০ গড়ে ১০ উইকেট নেন মেহেদি। টি-টোয়েন্টিতে এখনও ব্যাটিংয়ে নিজের সামর্থ্য দেখাতে পারেননি। তবে ব্যাট হাতেও অবদান রাখার সামর্থ্য আছে তার।
খুলনা টাইটান্সের পেসার জায়েদ বিপিএলের গত আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০.৩৮ গড়ে নেন ১৮ উইকেট। সেরা ৪/৩৫।
একই দলের অলরাউন্ডার আরিফুল ব্যাটিংয়ে ছিলেন বেশ সফল। মিডল অর্ডারে তার ঝড়ো ব্যাটিং ছিল কার্যকর। ১১ ইনিংসে ২৯.৬২ গড়ে করেন ২৩৭ রান। তার স্ট্রাইক রেট ১৩৩.১৪।
চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দলে ফিরেছেন পেসার আবু হায়দার। বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স দলে ফিরিয়েছে তাকে।
কোনো ম্যাচ না খেলেই বাদ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মুমিনুল। ইমরুল দুই ম্যাচে করেন ১৬ রান, লিটন এক ম্যাচে ৯।
মিরাজ, তাসকিন ও শফিউল জায়গা হারান বোলিং ব্যর্থতায়। অফ স্পিনার মিরাজ ৮ ওভারে ৭৭ রান নিয়ে নেন দুই উইকেট। পেসার তাসকিন ৫ ওভারে ৬২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। আরও বিবর্ণ ছিলেন শফিউল, ২ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি তিনি।
ছন্দ হারিয়ে ওয়ানডে ও টেস্ট দল থেকে বাদ পড়া সৌম্য সরকার জায়গা ধরে রেখেছেন টি-টোয়েন্টি দলে। গত বছর টি-টোয়েন্টিতে দেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি।
আগামী বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে দুই ম্যাচের সিরিজের শেষটি।
টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, আবু হায়দার, আবু জায়েদ, আরিফুল হক, মেহেদি হাসান, জাকির হাসান, আফিফ হোসেন।