ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিব্রতকর হার

প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে দ্বিতীয় ইনিংসেও বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে ঢাকা টেস্ট আড়াই দিনেই হেরেছে ২১৫ রানে।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Feb 2018, 03:42 AM
Updated : 10 Feb 2018, 02:09 PM

২১৫ রানের জয় শ্রীলঙ্কার
 
তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে শ্রীলঙ্কাকে ২১৫ রানের জয় এনে দিলেন রঙ্গনা হেরাথ। ওয়াসিম আকরামকে (৪১৪) ছাড়িয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বাঁহাতি বোলার এখন তিনি। 
 
হেরাথকে উড়ানোর চেষ্টায় মিডউইকেটে দানুশকা গুনাথিলাকার হাতে ধরা পড়েন তাইজুল। ২৯.৩ ওভারে ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। এর আগে প্রথম ইনিংসে ১১০ রান অলআউট হয় দলটি।
 
অভিষেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট নেন আকিলা দনঞ্জয়া। সব মিলিয়ে ৪৪ রানে নেন ৮টি। অভিষেকে শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারের এটাই সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ২০০৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অজন্তা মেন্ডিসের ১৩২ রানে ৮ উইকেট।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৯.৩ ওভারে ১২৩ (তামিম ২, ইমরুল ১৭, মুমিনুল ৩৩, মুশফিক ২৫, লিটন ১২, মাহমুদউল্লাহ ৬, সাব্বির ১, মিরাজ ৭, রাজ্জাক ২, তাইজুল ৬, মুস্তাফিজ ৫*; লাকমল ৩-০-১১-০, দিলরুয়ান ১০-০-৩২-১, হেরাথ ১১.৩-১-৪৯-৪, দনঞ্জয়া ৫-১-২৪-৫)

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ২২৬

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১০

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২২২
 
ফল: শ্রীলঙ্কা ২১৫ রানে জয়ী
 
সিরিজ: শ্রীলঙ্কা ১-০ ব্যবধানে জয়ী

মিরাজের ছক্কা ও অক্কা
 
বিপর্যয়ের মধ্যে দনঞ্জয়াকে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রতিশোধ নিতে লঙ্কান স্পিনারের লাগল আর দুটি বল।
 
ছক্কার পরে বলেই সুযোগ দিয়েছিলেন মিরাজ। কঠিন ক্যাচটি নিতে পারেননি শর্ট লেগ ফিল্ডার। পরের বলে রক্ষা হলো না। এবার উইকেটের পেছনে ক্যাচ। মিরাজ ফিরলেন ৭ রানে। 
 
অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে দনঞ্জয়া পূর্ণ করলেন ৫ উইকেট। বাংলাদশ ৯ উইকটে ১১৩।

দ্রুত বিদায় রাজ্জাকেরও
 
ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেন আব্দুর রাজ্জাকও। দনঞ্জয়াকে স্লগ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেনি। কিন্তু পা বেরিয়ে এসেছিল ক্রিজ থেকে। লঙ্কান কিপার ডিকভেলা বেলস ওড়াতে সময় নেননি। 
 
২ রানে আউট রাজ্জাক। বাংলাদেশ এগোচ্ছে দ্রুত শেষের পথে। রান ৮ উইকেটে ১০৪।

আবার ব্যর্থ সাব্বিরও
 
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ সাব্বির রহমান। আকিলা ধনঞ্জয়ার বলটি এমন আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু সাব্বির হাফ ফরোয়ার্ড খেলে ক্যাচ দিলেন শর্ট লেগে।
 
প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফিরলেও এবার অবশ্য একটি রান করতে পেরেছেন সাব্বির। বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১০২।
 
ফিরলেন মুশফিকও
 
মাহমুদউল্লাহকে হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আরও একটি উইকেট। এবার ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। হেরাথের বলটি অবশ্য ছিল দারুণ।
 
দারুণভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া বল ব্যাটসম্যানকে টেনে এনেছিল বাইরে। টার্ন করে বল বেরিয়ে যায় মুশফিকের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে। বাকি কাজ সেরেছেন কিপার ডিকভেলা। ২৫ রানে স্টাম্পড মুশফিক। বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১০২।
 
রঙ্গনা হেরাথের টেস্ট উইকেট সংখ্যা দাঁড়াল ৪১৪। বাঁহাতি বোলার হিসেবে সর্বোচ্চ উইকেটে ছুঁলেন ওয়াসিম আকরামকে।

উইকেট বিলিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহ
 
এক ওভার বিরতিতে আঘাত হানলেন আকিলা দনঞ্জয়া। এই অফ স্পিনার ফিরিয়ে দিলেন মাহমুদউল্লাহকে। 
 
বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় প্রথম স্লিপে দিমুথ করুনারত্নের হাতে  ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। তিনি অভিষিক্ত দনঞ্জয়ার দ্বিতীয় শিকার। 
 
২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০২/৫। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী সাব্বির রহমান।

দনঞ্জয়া ফেরালেন লিটনকে
 
বোলিংয়ে এসেই উইকেট নিয়েছেন আকিলা দনঞ্জয়া। অভিষিক্ত স্পিনার ফিরিয়ে দিয়েছেন লিটন দাসকে। 
 
দনঞ্জয়ার কুইকার ডেলিভারি পিছিয়ে গিয়ে ডিফেন্স করেছিলেন লিটন। বাড়তি বাউন্সের জন্য ব্যাটে খেলতে পারেননি। গ্লাভসে লেগে ক্যাচ যায় শর্ট লেগে। সুযোগ হাতছাড়া করেননি কুসল মেন্ডিস। 
 
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৭৮ রান। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ।

মুমিনুলকে ফেরালেন হেরাথ
 
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই সাফল্য পেল শ্রীলঙ্কা। নড়বড়ে মুমিনুল হককে ফিরিয়ে দিলেন রঙ্গনা হেরাথ।
 
প্রথম ইনিংসে হেরাথকে ঠেকিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাঁহাতি স্পিনারই হয়ে উঠেছেন বড় হুমকি। মুমিনুলকে ফিরিয়ে নিয়েছেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট।
 
অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল পা বাড়িয়ে বাড়িয়ে খেলেছিলেন মুমিনুল। আরও একবার খেলতে পারেননি মাঝ ব্যাটে। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে এবার ক্যাচ যায় উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভসে।
 
৩৩ রান করে ফিরে যান মুমিনুল। ১৬.১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৬৪/৩। ক্রিজে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গী লিটন দাস।

লাঞ্চের আগে আউট তামিম-ইমরুল
 
জয়ের জন্য ৩৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম সেশনে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েসকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। 
 
তৃতীয় দিনের লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৭ রান। মুমিনুল হক ৩১ ও মুশফিকুর রহিম ২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ২৮২ রান। 
 
প্রথম চার ব্যাটসম্যানদের সবাই ভুগেছেন স্পিনে। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও দ্রুত ফিরেন তামিম। একবার জীবন পাওয়া ইমরুল বিদায় নেন হেরাথকে ছক্কা হাঁকিয়ে।
 
প্রথম ইনিংসে আলসেমি করে রান আউট হওয়া মুমিনুল রান তুলছেন দ্রুত। কিন্তু মাঝ ব্যাটে করতে পারছেন কমই। অনেকবার বল লেগেছে ব্যাটের কানায়। প্রথম ইনিংসে ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হওয়া মুশফিক এক ওভারে দুইবার চেষ্টা করেছেন রিভার্স সুইপ মারার!

ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরলেন ইমরুল
 
জীবন পাওয়া ইমরুল কায়েস কাজে লাগাতে পারলেন না সুযোগ। ফিরে গেলেন কট বিহাইন্ড হয়ে।
 
রঙ্গনা হেরাথকে বেরিয়ে এসে লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকান ইমরুল। পরের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন ডিফেন্স করতে গিয়ে। 
 
২২ বলে ১৭ রান করে ফিরেন ইমরুল। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪৯/২। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম।

জীবন পেলেন ইমরুল
 
নড়বড়ে শুরু করা ইমরুল কায়েস বেঁচে গেলেন ক্যাচ দিয়ে। সে সময় ৬ রানে ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
 
দিলরুয়ান পেরেরার অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথ বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ইমরুল। প্রথম স্লিপে কঠিন ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি দিমুথ করুনারত্নে।
 
৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৭/১। ইমরুল ৮ ও মুমিনুল হক ২৬ রানে ব্যাট করছেন।

শুরুতেই ফিরলেন তামিম
 
আগেরবার প্রথম ওভারে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। এবার দ্বিতীয় ওভারে বিদায় নিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। 
 
বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই আঘাত হানেন দিলরুয়ান পেরেরা। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বল পা বাড়িয়ে খেলেন তামিম। বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। প্যাডে আঘাত হানলে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউ নেন তামিম। কিন্তু পাল্টায়নি সিদ্ধান্ত।
 
প্রথম ইনিংসের শেষ বলে উইকেট নেওয়া দিলরুয়ানের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেন মুমিনুল হক। ক্রিজে তার সঙ্গী ইমরুল কায়েস।
 
২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮/১। মুমিনুল ৫ ও ইমরুল শূন্য রানে ব্যাট করছেন।

২২৬ রানে শ্রীলঙ্কাকে থামালেন তাইজুল
 
বোলিংয়ে এসে পরপর দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান রঙ্গনা হেরাথকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ২২৬ রানে শ্রীলঙ্কাকে থামিয়েছেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
 
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বল ডিফেন্স করতে গিয়ে পারেননি হেরাথ। ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে প্যাডে। ইনিংসে চতুর্থ উইকেট পেলেন তাইজুল। 
 
৭০ রানে অপরাজিত থাকেন দুই ইনিংসেই ফিফটি পাওয়া রোশেন সিলভা। 
 
প্রথম ইনিংসে ১১২ রানের লিড পাওয়া শ্রীলঙ্কা স্বাগতিকদের দিল ৩৩৯ রানের কঠিন লক্ষ্য।
 
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ২০০/৮) ৭৩.৫ ওভারে ২২৬ (করুনারত্নে ৩২, মেন্ডিস ৭, ধনঞ্জয়া ২৮, গুনাথিলাকা ১৭, চান্দিমাল ৩০, সিলভা ৭০*, ডিকভেলা ১০, দিলরুয়ান ৭, ধনঞ্জয়া ০, লাকমল ২১, হেরাথ ০; রাজ্জাক ১৭-২-৬০-১, মুস্তাফিজ ১৭-৩-৪৯-৩, তাইজুল ১৯.৫-২-৭৬-৪, মিরাজ ২০-৫-৩৭-২)
 
লাকমলকে ফেরালেন তাইজুল
 
মুস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় বোলিংয়ে এসেই আঘাত হেনেছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার ফিরিয়ে দিয়েছেন সুরঙ্গা লাকমলকে।
 
এক বল আগেই তাইজুলকে চার হাঁকিয়েছিলেন লাকমল। স্লগ সুইপে আবার বাউন্ডারির চেষ্টায় ফিরেন বোল্ড হয়ে। ৪১ বলে ২১ রান করে ফিরেন লাকমল। শূন্য রানে ভাঙতে পারত যে জুটি সেই জুটিতে এল ৪৮ রান।

জেতার রান হয়ে গেছে?
 
শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রোশেন সিলভার কান্ডজ্ঞান বলছে, জেতার রান হয়ে গেছে। মিরপুরে কোনো এক ইনিংসে তিনশ রান সম্ভব নয়। চতুর্থ ইনিংসে তিনশ ছাড়ানো যে কোনো স্কোর তার কাছে নিরাপদ।
 
দ্বিতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০০ রান। অতিথিরা এগিয়ে ৩১২ রানে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে। 
 
দুই ইনিংসেই ফিফটি পাওয়া সিলভা বুঝতে পারছেন না কেন রঙ্গনা হেরাথ, দিলরুয়ান পেরেরা, আকিলা দনঞ্জয়া, লাকশান সান্দাকানের মতো স্পিনার তাদের দলে থাকতে বাংলাদেশ স্পিনিং উইকেটে খেলছে। সিলভা মনে করেন, উইকেট থেকে স্পিনাররা যা সহায়তা পাচ্ছেন তাতে ঢাকা টেস্ট শেষ হতে পারে তিন দিনেই। 
 
ইতিহাস গড়ার আশায় বাংলাদেশ
 
তৃতীয় দিন সকালে বাংলাদেশের প্রথম লক্ষ্য দ্রুত শ্রীলঙ্কার শেষ দুই উইকেট তুলে নেওয়া। টেস্টে যত সময় আছে তাতে ড্র বাস্তবিক কোনো ফল নয়। স্বাগতিকদের সামনে একটাই পথ খোলা, জেতার চেষ্টা করা।
 
মেহেদী হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, প্রথম ইনিংসের ভুল ঠিকঠাক করে দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো করে জেতার ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী। কাজটা সহজ নয়। জিততে হলে রেকর্ড গড়তে হবে মাহমুদউল্লাহর দলকে। 
 
চতুর্থ ইনিংসে কখনও তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল তারা ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট জর্জেসে।
 
দেশের মাটিতে বাংলাদেশ লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে একবার। ২০১৪ সালে মিরপুরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল ৩ উইকেটে। 
 
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত বছর কলম্বোয় ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেট জিতেছিল বাংলাদেশ। মিরাজ জানান, কলম্বোর এই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তারা।
 
দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোর:
  শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬২ ওভারে ২০০/৮ (করুনারত্নে ৩২, মেন্ডিস ৭, ধনঞ্জয়া ২৮, গুনাথিলাকা ১৭, চান্দিমাল ৩০, সিলভা ৫৮*, ডিকভেলা ১০, দিলরুয়ান ৭, ধনঞ্জয়া ০, লাকমল ৭*; রাজ্জাক ১৭-২-৬০-১, মুস্তাফিজ ১২-২-৩৫-৩, তাইজুল ১৯-২-৭২-২, মিরাজ ১৪-৩-২৯-২)
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১১০
 
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ২২২