মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবারের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২০০ রান। দলটি এগিয়ে ৩১২ রানে।
চতুর্থ ইনিংসে কখনও তিনশ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিততে পারেনি বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল তারা ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট জর্জেসে।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশ লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে একবার। ২০১৪ সালে মিরপুরেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছিল ৩ উইকেটে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত বছর কলম্বোয় ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৪ উইকেট জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মিরাজ জানান, কলম্বোর এই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তারা।
“শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুইশ (১৯১) রান চেজ করে জিততে পারলে নিজেদের মাটিতে আমরা তিনশ ছাড়ানো চেজ করে জিততে পারব।… আমাদের লক্ষ্য তৃতীয় দিন দ্রুত ওদের দুটি উইকেট নেওয়া। আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে, ওরা যে রানই করুক তা তাড়া করে জেতার।”
মিরপুরে দুই দিন ১৪টি করে উইকেটের পতন হয়েছে। মিরাজ মনে করেন, উইকেট এখনও ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশি কঠিন হয়ে যায়নি।
“এখনো কোনো বল অনেক নিচু হয়নি। তবে উইকেটে টার্ন আছে। ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব কঠিন হয়ে যায়নি। স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারলেই ব্যাটসম্যানরা সফল হবে।”
বাংলাদেশের চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার মধ্যে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন মিরাজ। অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছিলেন, মিরপুরের উইকেটে সফল হওয়ার উপায়।
“গড়পড়তার উইকেটের চেয়ে এখানে বেশি মনোযোগ দিয়ে খেলতে হবে। এই উইকেটে মনোযোগ একটু এদিক-সেদিক হলে বাঁচার কোনো সুযোগ থাকে না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা পূর্ণ মনোযোগ ধরে রেখে খেলতে পারলে ভালো কিছু আশা করা সম্ভব।”
মিরাজ জানান, প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে গেলেও ব্যাটসম্যানদের মনোবল অটুট আছে। প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাড়াতে উন্মুখ তারা। গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে আরেকটি অধ্যায় যোগ করতে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ।
“প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা আমরা ভুলে যেতে চাই। সেই ইনিংসের ভুল থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। এখন আমাদের লক্ষ্য ওরা যত রান লক্ষ্য দেবে তা পেরিয়ে যাওয়া। আমাদের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তা করার আত্মবিশ্বাস আছে।”