বারবার রঙ পাল্টানো ম্যাচে ১ উইকেটের জয় পায় দোলেশ্বর। খেলাঘরের ১৯৯ রান শেষ বলে পেরিয়ে যায় দলটি।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খেলাঘরের। রবিউল ইসলাম রবির ৩৫ রানের পরও ৭৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি।
ভারতীয় অলরাউন্ডার অশোক মেনারিয়ার সঙ্গে ৭৪ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান মন্থর ব্যাটিংয়ে ৯১ বলে ফিফটি করা নাজিম উদ্দিন। মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান ৯৩ বলে করেন ৫১ রান। মইনুল ইসলামের সঙ্গে ৩৯ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন মেনেরিয়াও। ৬২ বলে দুটি করে ছক্কা-চারে তিনি করেন ৪৫ রান।
শেষের দিকে মইনুলের অপরাজিত ৩২ রানের ওপর ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে খেলাঘর।
৩৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দোলেশ্বরের সেরা বোলার ফরহাদ রেজা। তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো করে দোলেশ্বর। ফজলে মাহমুদের ৪২, মার্শাল আইয়ুবের ৩১ রানের ওপর ভর করে ২ উইকেটে ১৩৫ রানের দৃঢ় ভিতরে ওপর দাঁড়ায় দলটি।
এরপরই ১৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় খেলাঘর। দোলেশ্বরের বিপদ আরও বাড়িয়ে ফিরে যান সর্বোচ্চ ৪৫ রান করা ফরহাদ হোসেন। দলীয় ১৯৩ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন শরীফ উল্লাহ।
৫০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে রেজা ও তৃতীয় বলে আরাফাত সানিকে ফিরিয়ে জয়ের আশা জাগান মোহাম্মদ সাদ্দাম।
অভিষিক্ত মানিক খান ক্রিজে আসার সময় জয়ের জন্য শেষ উইকেটে ৩ বলে প্রয়োজন ৩ রান। স্নায়ু চাপ ধরে রেখে ১১ নম্বরে নেমে দলকে ঠিকানায় পৌঁছে দেন। লিগে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পায় খেলাঘর।
খেলাঘরের তানভীর ইসলাম ৩ উইকেট নেন ৪৮ রানে। দুটি করে উইকেট নেন সাদ্দাম ও মেনারিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খেলাঘর সমাজ কলাণ সমিতি: ৫০ ওভারে ১৯৯/৭ (রবি ৩৫, সাদিকুর ৬, নাফিস ৩, অমিত ১৯, নাজিম ৫১, মেনারিয়া ৪৫, মইনুল ৩২*, অঙ্কন ৩; সানি ১/৩৮, মানিক ০/৩৩, রেজা ৪/৩৭, আরাফাত ১/৩৫, নাসুম ০/২০)
প্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২০০/৯ (ইমতিয়াজ ২৩, মাহমুদ ৪২, ফরহাদ ৪৫, মার্শাল ৩১, বিশত ৩, সানি জুনিয়র ১০, শরিফউল্লাহ ২৪, রেজা ৩, সানি ৪, নাসুম ০*, মানিক ৩*; সাদ্দাম ২/২৮, মাহমুদ ১/৩৬, তানভীর ৩/৪৮, রবি ১/২৩, মেনারিয়া ২/৩৬, মইনুল ০/২৮)
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ১ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফরহাদ রেজা