শের-ই-বাংলার এই উইকেটে রান করার উপায়টা সবচেয়ে ভালো জানার কথা রোশেনেরই। দুই দল মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মিরপুর টেস্টের সেরা ব্যাটসম্যান বলা যায় তাকে। প্রথম ইনিংসে দারুণ এক ফিফটিতে দলকে এনে দিয়েছিলেন ভালো রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও আরেকটি অসাধারণ ফিফটিতে করে দলকে নিয়ে গেছেন দুশর ঠিকানায়। শ্রীলঙ্কার লিড হয়ে গেছে ৩১২।
কিন্তু কাজটা কতটা কঠিন ছিল, এটা ফুটে ওঠে রোশেনের কৌতুকময় উত্তরেই, “এখানে ব্যাট করতে যাওয়ার আগে, সবচেয়ে ভালো প্রয়োজন প্রার্থনা করা…!” পর মুহূর্তে অবশ্য ক্রিকেটীয় উপায়ও বলেছেন, “স্রেফ মজা করছিলাম। এই উইকেটে আসলে ভালো বল পেলে কিছু করার থাকে না। একটি-দুটি উইকেট দ্রুত চলে যেতে পারে। আলগা বল পেলে তাই সেটিকে কাজে লাগাতেই হবে।”
রোশেন সেই কাজ খুব ভালো করেছেন। শুধু দুই ইনিংসে ফিফটি করেছেন বলেই নয়, উইকেটে তাকেই মনে হয়েছে ভুগেছেন সবচেয়ে কম। ২৯ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান জানালেন, তার প্রস্তুতিটা ছিল এরকম কিছুর জন্যই।
“উপমহাদেশে স্পিন ও রিভার্স সুইংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতেই হবে। এখানে আসার আগে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমরা জানতাম এখানে কন্ডিশন কেমন হবে ও কোন ধরনের বোলারদের খেরতে হবে। আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম।”