নতুন ভূমিকা উপভোগ করছেন মুশফিক

সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে এর চেয়ে ভালো সময় হয়তো আর পেতেন না মুশফিকুর রহিম। নেতৃত্ব হারানোর পর প্রথম যে দিন সংবাদ সম্মেলনে এলেন, সেদিন তার বড় পরিচয় নতুন বাবা। ছেলের জন্য চাইলেন দোয়া।

সাকিব আল হাসানকে নতুন টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণার সময় থাইল্যান্ডে ছিলেন মুশফিক। নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি সেই সময়ে। দেশে ফিরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হননি তিনি।

গত সোমবার জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি-মুশফিকের ঘর আলো করে আসে এক পুত্র সন্তান। তার পরদিন সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসেন মুশফিক। নেতৃত্ব হারানোর পর প্রথমবার।

“খুব ভালো লাগছে। বাবা হওয়ার অনুভূতিটা আসলে কথা বলে বোঝানো যাবে না। সবাই দোয়া করবেন, সে যেন সুস্থ থাকে এবং আমার সহধর্মিনীও যেন সুস্থ থাকে। সে যাতে মানুষের মতো মানুষ হয়, আমি দেশবাসীর কাছে সেই দোয়া চাই।”

“ছেলের নাম নিয়ে একটু দ্বিধায় আছি। সাত দিনের মধ্যে আকিকা হবে। তখন নাম রাখা হবে।”

ব্যক্তিগত জীবনে দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে মুশফিকের। মাঠে দায়িত্ব কমেছে কিছুটা। এখন আর টেস্ট দলের নেতৃত্ব নেই তিনি। দাঁড়াতে হচ্ছে না উইকেটে পিছনেও। খেলছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান। নিজের নতুন ভূমিকা উপভোগ করছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

“অধিনায়ক হলে দলে অটোমেটিক চয়েজে থাকা যায়। সেখানে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে খেললে অবশ্যই পারফরম্যান্স করতে হবে। গত টেস্টে আমি চেষ্টা করেছি আমার দলকে সেরাটা দিতে। দ্বিতীয় ইনিংসে আনলাকি বলব। সামনের ম্যাচে চেষ্টা করব আরও বেশি রান করার।”

“আগে দায়িত্ব ছিল কয়েকটা এখন একটা। অধিনায়ক থেকে কিপিং করেও অনেক সময় রান পেয়েছি, আবার অনেক সময় শূন্য রানে আউট হয়েছি। আবার একটি দায়িত্বে থেকেও তেমন কিছু করতে পারিনি। যখন যে পরিস্থিতি আসবে, তার মুখোমুখি হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেটাই এখন চেষ্টা করছি। আমার ভালোই লাগছে। আমি খুব উপভোগ করছি।”

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২ রানে করে আউট হন মুশফিক।