মাশরাফি মনে করেন, দুই হাঁটুতে সাতটি বড় অস্ত্রোপচারের পরও তার ক্রিকেট খেলতে পারায় সবচেয়ে বড় অবদান অস্ট্রেলিয়ার এই চিকিৎসকের।
বাংলাদেশ অর্থোপেডিক সোসাইটির আমন্ত্রণে তিন দিনের একটি কর্মশালায় অংশ নিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় আসেন ডা. ইয়াং। গত রোবববার শেষ হয় কর্মশালা। ফিরে যাবেন আগামী বুধবার। তার আগে মঙ্গলবার মিরপুরে বিসিবির চোট পুনর্বাসন ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
বরাবরই ডা. ইয়াংয়ের মুগ্ধ ভক্ত মাশরাফি। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক আরেকবার প্রশংসায় ভাসান তার চিকিৎসককে।
“আমার ছয়টি বড় অস্ত্রোপচার উনার হাত দিয়ে হয়েছে। ওপরে আল্লাহ আছেন, তবে এটা বলতে পারি, এখনও যে আমি খেলছি তার উছিলা হয়তো উনি। উনিই আমার সব কিছু করেছেন। অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন কিভাবে কি করতে হবে (সেই দিক নির্দেশনা সব সময় দিয়েছেন)।”
“এখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে, হাঁটুর চোটের ব্যাপারে অন্য কারো কাছ গেলে তেমন আত্নবিশ্বাস পাওয়া যায় না। কেবল আমি না, আমাদের অধিকাংশ ক্রিকেটারের হাঁটু ও পিঠের চোটের অস্ত্রোপচার তিনি করেছেন। আমি বলতে পারি, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন অদৃশ্য বন্ধু। একজন অকৃত্রিম বন্ধু।”
“যদি দেখেন, চোট পাওয়া বেশিরভাগ ক্রিকেটার ওর অস্ত্রোপচারের পর মাঠে ফিরেছে। আমারটা ছিল সবচেয়ে কঠিন। ও ছয়বার আমার অস্ত্রোপচার করেছে। আর প্রতিবারই তা খুব জটিল ছিল। একের পর এক অস্ত্রোপচারে খুব জটিল হয়ে পড়েছিল। সবশেষে ২০১১ সালের অস্ত্রোপচারের পর আর কোনো সমস্যা হয়নি।”
একজন পেশাদার চিকিৎসক হিসেবে চোট পাওয়া সব ক্রিকেটারকেই চিকিৎসা দেন ডা. ইয়াং। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের জন্য তার মধ্যে বাড়তি একটা ভালোবাসা দেখতে পান মাশরাফি।
মাশরাফি তার খেলে যাওয়ার জন্য কৃতিত্ব দেন ডা. ইয়াংকে। তবে বিনয়ী এই চিকিৎসক মাশরাফির ছুটে চলায় নিজের অবদান খুব একটা দেখেন না।
“এমনটা জীবনে একবারই ঘটে। মাশরাফির ব্যাপারে আমি যা সবচেয়ে পছন্দ করি, ও খুব ভালো একজন মানুষ। ও দানশীল, কাছের মানুষ আর সতীর্থদের জন্য খুব দায়িত্বশীল। মাশরাফির জন্য বাংলাদেশের গর্বিত হওয়া উচিত। দেশ ও খেলাধূলার জন্য ও দারুণ একজন দূত।”
মাশরাফির ফিটনেস এখন দারুণ অবস্থায় আছে। তার টেস্ট খেলতে না পারার কোনো কারণ দেখেন না ডা. ইয়াং।
“প্রত্যেক দলের একজন নেতা প্রয়োজন। ও সব সময়ই একজন নেতা। আর টেস্ট দলে সব সময়ই ওর জন্য একটা জায়গা থাকবে। ওর (টেস্ট) খেলার সামর্থ্য সম্পর্কে আমার উত্তর হ্যাঁ, ও পারবে।”