মুমিনুল-লিটনের দৃঢ়তায় চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র

চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিন ৭ উইকেট নিয়ে কাটিয়ে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের সামনে। দুই উইকেট হারিয়ে দিন পার করে দিয়েছে স্বাগতিকরা। শুরুতে পথ দেখিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক ও লিটন দাস। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে শেষ করেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন। দারুণ লড়াই করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র করেছে বাংলাদেশ।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Feb 2018, 03:34 AM
Updated : 4 Feb 2018, 10:01 AM

মুমিনুল, লিটনের দারুণ ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র
 
দারুণ ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট বাঁচিয়েছে বাংলাদেশ। দিনের খেলা ১৭ ওভার বাকি থাকতে ড্র মেনে নিয়েছেন দুই অধিনায়ক। 
 
দ্বিতীয় ইনিংসে ১০০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান করে বাংলাদেশ। সে সময় ১০৭ রানে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২৮ ও মোসাদ্দেক হোসেন ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। দুই জনে অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ১৭.৪ ওভারে তুলেন ২৮ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১০০ ওভারে ৩০৭/৫ (তামিম ৪১, ইমরুল ১৯, মুমিনুল ১০৫, মুশফিক ২, লিটন ৯৪, মাহমুদউল্লাহ ২৮*, মোসাদ্দেক ৮*; হেরাথ ২/৮০, লাকমল ০/২৫, ধনঞ্জয়া ১/৪১, দিলরুয়ান ১/৭৪, সান্দকান ১/৬৪, কুমারা ০/১৬, মেন্ডিস ০/২)
 
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৭১৩/৯, ইনিংস ঘোষণা
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১৩
 
ফল: ২ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র

বাংলাদেশের তিনশ
 
দিলরুয়ান পেরেরাকে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিনশ রানে নিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। সেই সঙ্গে দলের লিড ছুঁয়েছে একশ।
 
৯৫তম ওভারে তিনশ স্পর্শ করে বাংলাদেশের সংগ্রহ। 
 
রান করার চেয়ে উইকেটে সময় কাটানোর দিকে বেশি মনোযোগ দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক। নড়বড়ে শুরুর পর জমে গেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ১৯তম বলে রানের খাতা খোলা মোসাদ্দেক গুটিয়ে রেখেছেন নিজেকে। 
 
৯৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৩/৫। মাহমুদউল্লাহ ২৬ ও মোসাদ্দেক ৬ রানে ব্যাট করছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ এগিয়ে ১০৩ রানে।

দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেটে ৯৪ রান
 
উইকেটশূন্য প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুই থিতু ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক ও লিটন দাসকে হারিয়ে যোগ করেছে ৯৪ রান। 
 
পঞ্চম ও শেষ দিনের চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২৮১/৫। মাহমুদউল্লাহ ১২ ও মোসাদ্দেক হোসেন শূন্য রানে অপরাজিত। 
 
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ফিরে যান মুমিনুল। বাজে শটে নিজের উইকেট বিলিয়ে আসা লিটন হারান নিজের প্রথম সেঞ্চুরির সুযোগ। ফিরেন ৯৪ রান করে। 
 
নতুন দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন ভুগছেন স্পিনে। দুই থিতু ব্যাটসম্যানের বিদায়ে আশা দেখছে শ্রীলঙ্কা। এখনও বাংলাদেশের লিড খুব একটা বড় নয়। ম্যাচ বাঁচাতে এখনও কাজ বাকি স্বাগতিকদের।

উইকেট বিলিয়ে ফিরলেন লিটন
 
মুমিনুল হকের বিদায়ের পর বাজে শটে নিজের উইকেট দিয়ে এসেছেন লিটন দাস। 
 
রঙ্গনা হেরাথকে বেরিয়ে এসে উড়াতে চেয়েছিলেন লিটন। টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে টাইমিং করতে পারেননি। ক্যাচ উঠে যায় লং অনে। মিড অন থেকে অনেকটা দৌড়ে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন দিলরুয়ান। মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা নিয়ে ফিরেন লিটন।
 
১৮২ বলে খেলা লিটনের ৯৪ রানের ইনিংসটি গড়া ১১টি চারে। 
 
৮৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৮০/৫। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন। স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে ৮০ রানে।

মুমিনুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন ধনঞ্জয়া
দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হককে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভেঙেছেন অফ স্পিনার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। 
সাদামাটা ডেলিভারিতে ভাঙল ১৮০ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বল পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন মুমিনুল। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন দিমুথ করুনারত্নে। ১৭৪ বলে ৫টি চার ও দুটি ছক্কায় ১০৫ রান করে ফিরে যান মুমিনুল।   
৭৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৬৩/৪। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা এগিয়ে ৬৩ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসেও শতকে ইতিহাস মুমিনুলের

বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হক। তার দারুণ ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ।

লাকশান সান্দাকানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে তিন অঙ্কে যান মুমিনুল। ১৫৪ বলে সেঞ্চুরি পেতে হাঁকান ৫টি চার ও দুটি ছক্কা।

১৩ টেস্টের সেঞ্চুরি খরা কাটান প্রথম ইনিংসে। খেলেন ১৭৬ রানের দারুণ ইনিংস। পরের সেঞ্চুরির জন্য মোটেও অপেক্ষা করতে হল না। পেয়ে গেলেন দ্বিতীয় ইনিংসেই।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটি পেলে সেটাকে সেঞ্চুরিতে পরিণত করার অভ্যাস ধরে রেখেছেন মুমিনুল। চট্টগ্রামের এই মাঠে তার কোনো ফিফটি নেই, সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি!

টেস্টে মুমিনুলের চেয়ে বাংলাদেশের হয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল তামিম ইকবালের। ৮ সেঞ্চুরি বাঁহাতি এই ওপেনারের।

মুমিনুল ২৬ টেস্টে পেয়ে গেলেন ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ৬১ টেস্টে তার সমান সেঞ্চুরি মোহাম্মদ আশরাফুলের। প্রথম সেঞ্চুরিতে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমকে স্পর্শ করেছিলেন মুমিনুল। পরেরটিতে ছাড়িয়ে গেলেন তাদের।

মুমিনুল-লিটনের দেড়শ
 
বড় জুটিতে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুমিনুল হক ও লিটন দাস। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে দুই জনে গড়েছেন দেড়শ রানের জুটি। 
 
তাদের জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে ৮০ বলে। তিন অঙ্কে যায় ১৫৯ বলে। দেড়শ হলো ২৫৩ বলে।  
 
৬৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৩৪ রান। মুমিনুল ৯৯ ও লিটন ৬৫ রানে অপরাজিত। স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে এগিয়ে ৩৪ রানে।

বাংলাদেশের দুইশ
 
দুইশ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন মুমিনুল হক ও লিটন দাস। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬০তম ওভারে দুইশ রানে গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ। 
 
১৮৮ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিল স্বাগতিকদের সংগ্রহ। দুইশ হয়েছে ৩৬১ বলে।
 
৬০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০০/৩। মুমিনুল ৭৪ ও লিটন ৫৬ রানে অপরাজিত।

লিটনের ফিফটি
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে লাকশান সান্দাকানের ফুলটসে দারুণ কাভার ড্রাইভে বাউন্ডারিতে পঞ্চাশে যান লিটন। ৯৩ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি করার পথে হাঁকান ছয়টি চার।
৫৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৯৫/৩। মুমিনুল হক ৭২ ও লিটন ৫৩ রানে অপরাজিত।

জীবন পেলেন মুমিনুল
 
রঙ্গনা হেরাথের বলে কঠিন ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন মুমিনুল হক। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে যাওয়া ক্যাচ গ্লাভসে নিতে পারেননি উইকেট কিপার নিরোশান ডিকভেলা। ৭১ রানে জীবন পান মুমিনুল।

মুমিনুল-লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশের সেশন
 
মুমিনুল হক ও লিটন দাসের দৃঢ়তায় উইকেটশূন্য প্রথম সেশনে ১০৬ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। পঞ্চম ও শেষ দিনের লাঞ্চে যাওয়ার আগে ২৮.১ ওভার বোলিং করে কোনো সাফল্য পায়নি শ্রীলঙ্কা।
 
প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৭ রান। মুমিনুল ৭০ ও লিটন ৪৭ রানে অপরাজিত। স্বাগতিকরা এখনও ১৩ রানে পিছিয়ে। 
 
প্রথম আধ ঘণ্টায় উইকেট থেকে কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন স্পিনাররা। সেই সময়টা ভুগিয়েছে লিটনকে। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান তখন উইকেট পড়েছিলেন মাটি কামড়ে।
 
কঠিন সময়টা পার করে দিয়ে নিজের সব শট খেলেছেন লিটন। কিছু রিভার্স সুইপও করেছেন তিনি। 
 
স্পিন খুব একটা ভোগাতে পারেনি মুমিনুলকে। ক্রিজ ব্যবহার করে খেলছেন বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এক টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করা মুমিনুলের সামনে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির হাতছানি।

মুমিনুল-লিটনের শতরানের জুটি
 
মুমিনুল হক ও লিটন দাসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে লড়ছে বাংলাদেশ। তাদের ব্যাটে দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের প্রথম শতরানের জুটি পেয়েছে স্বাগতিকরা।
 
১৫৯ বলে তিন অঙ্কে যায় চতুর্থ উইকেট জুটির রান। এতে দুই ব্যাটসম্যানেরই অবদান সমান- ৪৭ করে। বাকি ছয় রান আসে অতিরিক্ত থেকে। 
 
৫৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৮২/৩। মুমিনুল ৬৫ ও লিটন ৪৭ রানে ব্যাট করছেন।

তামিমকে ছাড়িয়ে মুমিনুল
 
এক টেস্টে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন মুমিনুল হক। বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবালকে। 
 
২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৩১ রান করেছিলেন তামিম। প্রথম ইনিংসে ২৫ রান করা বাঁহাতি ওপেনার দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২০৬ রান। তার দারুণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট বাঁচায় বাংলাদেশ।
 
চট্টগ্রাম টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মুমিনুল করেন ১৭৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ফিফটি পাওয়া ব্যাটসম্যান ছাড়িয়ে যান তামিমকে। 
 
৬১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭২/৩। মুমিনুলের রান তখন ৬১। সব মিলিয়ে প্রথম টেস্টে এখন পর্যন্ত বাঁহাতি টপ অর্ডার তুলেছেন ২৩৭ রান।

মুমিনুলের ফিফটি
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ক্যারিয়ারের ত্রয়োদশ।
দিলরুয়ান পেরেরার বল মিডউইকেটে দিয়ে খেলে ৩ রান নিয়ে পঞ্চাশে যান মুমিনুল। ৭৮ বলে ফিফটি পেতে হাঁকান দুটি চার ও একটি ছক্কা।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৫০/৩। মুমিনুল ৫০ ও লিটন দাস ৩৩ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এখনও পিছিয়ে ৫০ রানে।
উইকেটশূন্য প্রথম ঘণ্টায় ৬৫ রান
ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ১৫.১ ওভারে মুমিনুল হক ও লিটন দাস তুলে নিয়েছেন ৬৫ রান। 
মুমিনুল ডিফেন্সের পাশাপাশি শট খেলছেন বেরিয়ে এসে। শুরুর কঠিন সময়টা কাটিয়ে উইকেটে জমে গেছেন লিটন দাস। বাজে তুলে নিচ্ছেন বাউন্ডারি।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৭/৩। মুমিনুল ৪৮ ও লিটন ৩২ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশ এখনও ৫৩ রানে পিছিয়ে।
মুমিনুল-লিটন জুটির পঞ্চাশ
প্রথম ইনিংসে দুই জনের জুটি টিকেছিল মাত্র এক বল। শূন্য রানে ভেঙেছিল জুটি। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধ গড়েছেন দুই জনে। অচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে ৮০ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছে মুমিনুল হক ও লিটন দাসের রান।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমনিুল হক খেলছেন দারুণ। শুরুর কঠিন সময়টা পার করে দেওয়া লিটন দাস খেলছেন নিজের মতো করে। 
৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৮/৩। মুমিনুল ৪৬ ও লিটন ২৬ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এখনও পিছিয়ে ৬২ রানে।

বাংলাদেশের একশ পার
 
পঞ্চম ও শেষ দিনের সকালে উইকেট থেকে সহায়তা পাচ্ছেন স্পিনাররা। বল টার্ন করছে, খানিকটা বাউন্সও করছে। দুই স্পিনার নিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা।
 
আস্থার সঙ্গে খেলছেন মুমিনুল হক। রঙ্গনা হেরাথকে বেরিয়ে এসে মাথার ওপর দিয়ে হাঁকিয়েছেন ছক্কা। প্রথম ইনিংসে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া লিটন দাস সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুলকে। তাদের ব্যাটে একশ পেরিয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।
 
৩২ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১০৩/৩। মুমিনুল ৩৩ ও লিটন ৪ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশ এখনও পিছিয়ে ৯৭ রানে।

ম্যাচ বাঁচানোর আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশের
 
পঞ্চম দিনের উইকেটে ব্যাটিং সব সময়ই কঠিন। ৭ উইকেট নিয়ে সেই দিনটি কাটিয়ে দেওয়া আরও বড় চ্যালেঞ্জ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে তেমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা রেখে তাইজুল ইসলাম মনে করেন, ম্যাচ বাঁচাতে পারবেন তারা।
 
চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮১ রান। স্বাগতিকরা এখনও পিছিয়ে ১১৯ রানে। 
 
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়।  
 
টেস্ট জেতার আত্মবিশ্বাস শ্রীলঙ্কার
 
উইকেটে স্পিনারদের জন্য এখনও খুব বেশি সহায়তা নেই। তবে রঙ্গনা হেরাথ, দিলরুয়ান পেরেরা ও লাকশান সান্দাকানের ওপর আস্থা রেখে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী নিরোশান ডিকভেলা। 
 
বোলিং ফুটমার্কে বল পড়লে বেশ টার্ন করছে। এক জায়গায় টানা বল করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখে উইকেট তুলে নিতে চায় অতিথিরা।     
 
চতুর্থ দিন শেষে স্কোর:
 
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৬.৫ ওভারে ৮১/৩ (তামিম ৪১, ইমরুল ১৯, মুমিনুল ১৮*, মুশফিক ২; হেরাথ ১/২২, লাকমল ০/১৬, ধনঞ্জয়া ০/২০, দিলরুয়ান ১/২০, সান্দকান ১/৩)
 
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৭১৩/৯, ইনিংস ঘোষণা
 
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১৩