অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে বিব্রত তাইজুল

৩৯ রানে ৮ উইকেট, টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড তার। ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন অভিষেক ওয়ানডেতে হ্যাটট্রিক। তবে সব রেকর্ডের স্বাদই যে মধুর নয়, সেটিও জেনে গেলেন তাইজুল ইসলাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে এমন এক রেকর্ডে নাম উঠেছে, যেটি না হলেই তিনি খুশি হতেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2018, 12:46 PM
Updated : 3 Feb 2018, 12:46 PM

উইকেট পেয়েছেন চারটি; সেদিক থেকে প্রথম ইনিংসে দলের সফলতম বোলার তাইজুলই। কিন্তু চার উইকেটের জন্য তাকে রান খরচ করতে হয়েছে ২১৯, হাত ঘোরাতে হয়েছে ৬৭.৩ ওভার। শ্রীলঙ্কার ৭১৩ রানের প্রায় ৩১ শতাংশই এসেছে তাইজুলের বোলিংয়ে।

তার করা ওভার, তার খরচ হওয়া রান, দুটিই বাংলাদেশের রেকর্ড। এক ইনিংসে সাকিব আল হাসানের করা ৬৬ ওভার ছাড়িয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে করেছেন রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি। চতুর্থ দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ উঠতেই বিব্রত তাইজুল।

“খুব যে একটা ভালো রেকর্ড, তা মনে হচ্ছে না। আরও ভালো বোলিং করলে হয়ত এই রেকর্ডের দিকে যেতে হতো না। হয়তবা অনেক ভালো বোলিং করতে পারিনি, যেজন্য রেকর্ডটি হয়েছে।”

শুধু তাইজুল নন, ভালো বোলিং করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলারই। দলের একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংই ছিল সম্ভবত সেরা। স্পিনাররা সবাই বিবর্ণ। অভিষেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড গড়ে ১৫৩ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন সানজামুল। ৪৯ ওভার বোলিং করে ১৭৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

মোসাদ্দেকও হোসেন ৩ ওভারে এত খরুচে ছিলেন যে অধিনায়ক তাকে আর বোলিংয়ে আনার সাহস পাননি।

উইকেট ব্যাটিং সহায়ক হলেও নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করতে না পারার দায়টুকু নিলেন সানজামুল।

“এটা সত্যি যে, এটা ব্যাটিং উইকেট ছিল। তবে এটাও সত্য, আমরা প্রত্যাশিত মাত্রার বোলিং করতে পারিনি। ওদেরকে সাড়ে পাঁচশ-ছয়শর মধ্যে রাখতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। অবশ্যই ভালো ব্যাটিং উইকেট ছিল। তবে আমার মনে হয় অন্তত ১০০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি।”