ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ

তিনটি সেঞ্চুরি আর দুটি ফিফটিতে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে শ্রীলঙ্কা। নিয়েছে ২০০ রানের লিড। চতুর্থ দিনের শেষ বেলায় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের তিন উইকেট। ম্যাচ বাঁচাতে স্বাগতিকদের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন লড়াই।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Feb 2018, 03:37 AM
Updated : 3 Feb 2018, 10:57 AM

বাংলাদেশের সামনে কঠিন পরীক্ষা
 
দুইশ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ চতুর্থ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৮১ রানে। শেষ বেলায় তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমকে হারিয়ে চাপে দলটি।
 
প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল হক অপরাজিত ১৮ রানে।
 
পঞ্চম দিনে রঙ্গনা হেরাথ, লাকশান সান্দাকান ও দিলরুয়ান পেরেরার স্পিন সামলানোর পরীক্ষা মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহদের সামনে। 
 
উইকেটে স্পিনারদের জন্য চতুর্থ দিন শেষেও খুব একটা সহায়তা নেই। বল খুব একটা গ্রিপ করছে না। নেই অসমান বাউন্স। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচ বাঁচানো অসম্ভব নয়।  
 
চতুর্থ দিন শেষে স্কোর:
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৬.৫ ওভারে ৮১/৩ (তামিম ৪১, ইমরুল ১৯, মুমিনুল ১৮*, মুশফিক ২; হেরাথ ১/২২, লাকমল ০/১৬, ধনঞ্জয়া ০/২০, দিলরুয়ান ১/২০, সান্দকান ১/৩)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৭১৩/৯, ইনিংস ঘোষণা
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১৩

মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
 
সিলি পয়েন্টে কুসল মেন্ডিসের দারুণ ক্যাচে ফিরে গেলেন মুশফিকুর রহিম। তাকে হারিয়ে চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
 
রঙ্গনা হেরাথের বল পা অনেকটা বাড়িয়ে খেলেন মুশফিক। বল ব্যাট ছুঁয়ে জুতায় লেগে ক্যাচ যায় সিলি পয়েন্টে। তৎপর মেন্ডিস ক্যাচ মুঠোয় নিতে কোনো ভুল করেননি।
 
২০ বলে ২ রান করে ফিরে যান মুশফিক। তার বিদায়ের সময় দলের স্কোর ৮১/৩।

সান্দাকান ফেরালেন তামিমকে
 
আক্রমণে এসেই আঘাত হেনেছেন লাকশান সান্দাকান। বাঁহাতি রিস্ট স্পিনার ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বড় ব্যাটিং ভরসা তামিম ইকবালকে।
 
পা অনেকটা বাড়িয়ে পুশ করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। স্কিড করা বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে নিরোশান ডিকভেলার গ্লাভসে। ৬২ বলে ছয়টি চারে ৪১ রান করে ফিরে যান তামিম। 
 
২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৬ রান। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। স্বাগতিকরা এখনও পিছিয়ে ১২৪ রানে।

ইমরুলের বিদায়ে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি
 
পানি বিরতির পর প্রথম ওভারে উইকেট হারাল বাংলাদেশ। দিলরুয়ান পেরেরার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ইমরুল কায়েস। 
 
অফ স্পিনারের বলে প্যাডেল সুইপ করতে চেয়েছিলেন ইমরুল। ঠিক মতো শট খেলতে পারেননি। স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ যায় দিনেশ চান্দিমালের কাছে। 
 
৪৮ বলে ১৯ রান করে ফিরেন ইমরুল। ভাঙে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ক্রিজে তামিম ইকবালের সঙ্গী মুমিনুল হক।

তামিম-ইমরুল জুটির পঞ্চাশ
 
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। টানা দুই ইনিংসে তাদের জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। 
 
১৪তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে জুটির রান পঞ্চাশে নিয়ে যান ইমরুল।
 
১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫০/০। তামিম ৩১ ও ইমরুল ১৮ রানে ব্যাট করছেন। স্বাগতিকরা এখনও পিছিয়ে ১৫০ রানে।

বাংলাদেশের ভালো শুরু
 
দুইশ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছে শুরুর জুটি। আস্থার সঙ্গে খেলছেন তামিম ইকবাল। রঙ্গনা হেরাথকে একটি রিভার্স সুইপ করা ছাড়া নিজের মতো করে খেলছেন ইমরুল কায়েস। সঙ্গ দিচ্ছেন সতীর্থকে।
 
১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮/০। তামিম ২৪ ও ইমরুল ১৩ রানে অপরাজিত। স্বাগতিকরা পিছিয়ে ১৬২ রানে।

২০০ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা
 
চা-বিরতির পর ১৫ বল খেলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৭১৩ রান করে অতিথিরা। দলটি নেয় ২০০ রানের লিড। 
 
টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি রান আছে আর একটিই। ২০১৪ সালে ঢাকা টেস্টে ৬ উইকেটে ৭৩০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
 
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৫০৪/৩) ১৯৯.৩ ওভারে ৭১৩/৯ ডিক্লে. (করুনারত্নে ০, মেন্ডিস ১৯৬, ধনঞ্জয়া ১৭৩, রোশেন ১০৯, চান্দিমাল ৮৭, ডিকভেলা ৬২, দিলরুয়ান ৩২, হেরাথ ২৪, লাকমল ৯, কুমারা ২*; মুস্তাফিজ ৩২-৬-১১৩-১, সানজামুল ৪৫-২-১৫৩-১, মিরাজ ৪৯-০-১৭৪-৩, তাইজুল ৬৭.৩-১৩-২১৯-৪, মোসাদ্দেক ৩-০-২৪-০, মুমিনুল ২-০-৬-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৭-০)

তাইজুলের চতুর্থ শিকার হেরাথ
 
চা-বিরতির পর টানা দুই ওভারে উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। আগের ওভারে সুরঙ্গা লাকমলকে বিদায় করা বাঁহাতি স্পিনার এবার ফেরালেন রঙ্গনা হেরাথকে। 
 
অফ স্টাম্পের বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি হেরাথ। বলে-ব্যাটে করতে পারনেনি। ফিরে যান এলবিডব্লিউ হয়ে। তাইজুল পান তার চতুর্থ উইকেট।
 
১৯৯.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৭১৩/৯।

সবচেয়ে বেশি ওভার তাইজুলের
 
টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন তাইজুল ইসলাম। পেছনে ফেলেছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসানকে। 
 
২০১০ সালে মিরপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৬ ওভার বোলিং করেন সাকিব। আঁটসাঁট বোলিংয়ে দেন মাত্র ১২৪ রান।
 
চা-বিরতির পর প্রথম ওভারটি করে সাকিবকে পেছনে ফেলেন তাইজুল। ৬৭.৩ ওভারে ২১৯ রানে ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

লাকমলকে ফেরালেন তাইজুল
 
তৃতীয় সেশনের শুরুতে আঘাত হানলেন তাইজুল ইসলাম। ফিরিয়ে দিলেন সুরঙ্গা লাকমলকে। 
 
চা-বিরতির পর প্রথম ওভারেই সাফল্য পান তাইজুল। লেগ স্টাম্পের বলে চড়াও হতে চেয়েছিলেন লাকমল। বলে-ব্যাটে করতে না পেরে ফিরেন বোল্ড হয়ে। 
 
১৯৮ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৭০৮ রান। ক্রিজে রঙ্গনা হেরাথের সঙ্গী লাহিরু কুমারা।

দ্বিতীয় সেশনে ২৯ ওভারে ৯৩ রান
 
বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশনে তুলে নিয়েছে দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকভেলা ও দিলরুয়ান পেরেরা। তবে ২৯ ওভারে ৯৩ রান যোগ করে দুইশ রানের লিডের দ্বারপ্রাপ্তে পৌঁছে গেছে শ্রীলঙ্কা।
 
চতুর্থ দিনের চা-বিরতিতে যাওয়ার সময় ১৯৭ ওভারে অতিথিদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৭০৫ রান। দলটি এগিয়ে ১৯২ রানে।

শ্রীলঙ্কার সাতশ
 
টেস্টে এক ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো সাতশ রান হল। দুইবারই প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ২০১৪ সালে ঢাকা টেস্টে ৬ উইকেটে ৭৩০ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দলটি। এবার চট্টগ্রামে ৭ উইকেট হারিয়ে সাতশ পেরিয়েছে দলটি। 
 
১৯৫ ওভার শেষে অতিথিদের স্কোর ৭০১/৭। রঙ্গনা হেরাথ ১৫ ও সুরঙ্গা লাকমল ৮ রানে অপরাজিত। অতিথিরা এগিয়ে ১৮৮ রানে।

পেরেরাকে ফিরিয়ে সানজামুলের প্রথম
 
প্রথম উইকেটের জন্য সানজামুলের দীর্ঘ অপেক্ষার অবশেষে অবসান। নিজের ৪২তম ওভারে পেলেন প্রথম টেস্ট উইকেটের দেখা। ফেরালেন দিলরুয়ান পেরেরাকে।
 
বলটি এমন আহামরি কিছু না। স্টাম্পে থাকা সোজা বলে মিড উইকেটের দিকে খেলতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি পেরেরা। বল লাগে পায়ে। রিভিউ নিয়ে রক্ষা হয়নি।
 
৩২ রানে আউট হলেন দিলরুয়ান পেরেরা। শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ৬৮৭।

ডিকভেলাকে থামালেন মিরাজ
 
রিভার্স সুইপ তার প্রিয় শট। প্রচুর রান পেয়েছেন এই শটে, আউটও হয়েছেন অনেকবার। আরও একবার রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে আউট হলেন নিরোশান ডিকভেলা। 
 
তাইজুল ইসলামকে আগের ওভারেই রিভার্স সুইপ করে বাউন্ডারি তুলে নেন ডিকভেলা। মেহেদী হাসান মিরাজকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লাইন বুঝতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ফিরে যান লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হয়ে। 
 
১৮১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬৬৪/৬। ক্রিজে দিলরুয়ান পেরেরার সঙ্গী রঙ্গনা হেরাথ। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ১৫১ রানে।

রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি তাইজুলের
 
বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে রান দেওয়ার ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে গেছে তাইজুল ইসলামের। বাঁহাতি স্পিনারের ৬৪তম ওভারে রান যায় দুইশতে। 
 
৬৪ ওভারে ১৩টি মেডেনসহ ২০৩ রানে দুটি উইকেট নেন তাইজুল। 

ডিকভেলার ফিফটি
 
শুরু থেকে শট খেলা নিরোশান ডিকভেলা আটটি চারে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন ৪৭ বলে। তার ব্যাটে সাতশ রানের দিকে ছুটেছে শ্রীলঙ্কা। 
 
টেস্টে নিজের অষ্টম ফিফটি পেলেন ডিকভেলা। চলতি টেস্টে শ্রীলঙ্কার পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ছুঁলেন পঞ্চাশ। 
 
১৭৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬৫১/৫। ডিকভেলা ৫৫ ও দিলরুয়ান পেরেরা ১৩ রানে ব্যাট করছেন।

চান্দিমালকে ফেরালেন তাইজুল
 
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারে আঘাত হানলেন তাইজুল ইসলাম। ফিরিয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালকে। 
 
বাঁহাতি স্পিনারের আর্ম বলে কাভার দিয়ে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন চান্দিমাল। অফ স্টাম্পের একটু বাইরে পড়ে ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটে পাননি। ফিরে যান বোল্ড হয়ে। ভাঙে নিরোশান ডিকভেলার সঙ্গে তার ৬৩ রানের জুটি।
 
১৮৫ বলে তিনটি চারে লঙ্কান অধিনায়ক করেন ৮৭ রান। 
 
১৬৯ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬১৩/৫। ডিকেলা ৩০ ও দিলরুয়ান পেরেরা শূন্য রানে ব্যাট করছেন। অতিথিরা এগিয়ে ১০০ রানে।
 
রান দেওয়ার রেকর্ড তাইজুলের
 
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার পেছনে ফেলেছেন মোহাম্মদ রফিক ও সোহাগ গাজীকে।
 
বাঁহাতি স্পিনার রফিক ও অফ স্পিনার সোহাগ দিয়েছিলেন ১৮১ রান করে। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৪৫ ওভারে প্রথম ওই রান দেন রফিক। ২০১৪ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪৮ ওভার বোলিং করা সোহাগ বসেন তার পাশে।
 
২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে তাদের রেকর্ড খুব কাছে গিয়েছিলেন তাইজুল। ৫১ ওভার বোলিং করে দিয়েছিলেন ১৭৯ রান।

প্রথম সেশনে ১ উইকেট
 
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে ৩০ ওভার বোলিং করে মাত্র একটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা যোগ করেছে ১০৮ রান।  লাঞ্চে যাওয়ার সময় অতিথিদের স্কোর ৬১২/৪। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ৯৯ রানে। 
 
অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল ৮৭ ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিরোশান ডিকভেলা ২৯ রানে ব্যাট করছেন। পঞ্চম উইকেটে তাদের রান ৬২।
 
মেহেদী হাসান মিরাজের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ফিরে যান দলের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি পাওয়া রোশেন সিলভা। তৃতীয় নতুন বলের সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। নতুন বল নেওয়ার পর বরং দ্রুত রান তুলে লাঞ্চের আগেই ছয়শ রানে পৌঁছে যায় অতিথিরা।

শ্রীলঙ্কার আরেকটি পঞ্চাশ রানের জুটি
 
টানা চারটি জুটিতে পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি পেল শ্রীলঙ্কা। পঞ্চম উইকেটে নিরোশান ডিকভেলা ও দিনেশ চান্দিমাল ৬৭ বলে জুটির রান নিয়ে গেছেন পঞ্চাশে।
 
জুটিতে অগ্রণী বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ডিকভেলা। পঞ্চাশ ছোঁয়ার সময় জুটিতে ২৮ বলে তার অবদান ২৯ রান। ৩৯ বলে চান্দিমালের অবদান ২১ রান।

শ্রীলঙ্কার ছয়শ
 
চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টায় সতর্ক ব্যাটিং করা শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ঘণ্টায় এগোচ্ছে দ্রুত। তাইজুল ইসলামকে টানা তিন চার হাঁকিয়ে দলকে ছয়শ রানে নিয়ে গেছেন নিরোশান ডিকভেলা। ছয়শ রান পেতে শ্রীলঙ্কা খেলেছে ১ হাজার ৪ বল।
 
১৬৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৬০২/৪। দিনেশ চান্দিমাল ৮২ ও ডিকভেলা ২৯ রানে অপরাজিত। অতিথিরা এগিয়ে ৮৯ রানে।

তৃতীয় নতুন বল
 
৮১তম ওভারে দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছিল বাংলাদেশ। ১৬২তম ওভারে তৃতীয় নতুন বল নিল স্বাগতিকরা। 
 
১৬২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫৭৩/৪। দিনেশ চান্দিমাল ৭৬ ও নিরোশান ডিকভেলা ৭ রানে ব্যাট করছেন।

অবশেষে উইকেট
চতুর্থ দিন ১৭ ওভার বোলিং করে প্রথম ঘণ্টায় কোনো উইকেট নিতে পারেনি বাংলাদেশ। এই সময়ে সতর্ক ব্যাটিংয়ে ৪৬ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা। 
দ্বিতীয় ঘণ্টার শুরুতেই আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম থেকে এক প্রান্তে টানা বল করে যাওয়া অফ স্পিনার ফেরান রোশেন সিলভাকে। ১ রানে জীবন পাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ২৩০ বলে ৬টি চার ও একটি ছক্কায় করেন ১০৯।  
অফ স্পিনারের স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করে উইকেটরক্ষক লিটন দাসকে ক্যাচ দেন সিলভা। এবার কোনো ভুল করেননি লিটন। গ্লাভসে জমান ক্যাচ। ভাঙে ১৩৫ রানের জুটি। 
১৫৬ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫৫২/৪। ক্রিজে দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গী নিরোশান ডিকভেলা।

চান্দিমালের ফিফটি
 
রোশেন সিলভা সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ওভারে ফিফটি তুলে নিলেন অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল। টেস্ট ক্যারিয়ারে তার ষোড়শ।
 
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশে পৌঁছান চান্দিমাল। ১২১ বলে পাওয়া ফিফটিতে চার দুটি। 
 
১৫০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫৩৮/৩। সিলভা ১০৩ ও চান্দিমাল ৫৫ রানে ব্যাট করছেন।

রোশেন সিলভার প্রথম সেঞ্চুরি
চতুর্থ দিনের সকালে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন রোশেন সিলভার। তার দুই ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারে প্রথম। 
ফিরতে পারতেন ১ রানে। লিটন দাস স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করায় বেঁচে যান রোশেন। তৃতীয় দিন শেষ করেন ৮৭ রানে। চতুর্থ দিন পৌঁছলেন তিন অঙ্কে।
১৯৭ বলে নিজের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে ৬টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান সিলভা।

শ্রীলঙ্কার আরেকটি শতরানের জুটি
 
শুধু শুরুর জুটিতেই নেই রান। পরের তিনটি জুটিতেই তিন অঙ্কের রান পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে ২২৩ বলে একশ রানের জুটি গড়েছেন রোশেন সিলভা।
 
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৩০৮ রানের জুটি গড়েছিলেন কুসল মেন্ডিস। এই ওপেনার তৃতীয় উইকেটে সিলভার সঙ্গে গড়েন ১০৮ রানের আরেকটি জুটি।

বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে শ্রীলঙ্কা
 
চতুর্থ দিনের শুরুতে সতর্ক শ্রীলঙ্কা। ৯ রানে পিছিয়ে থেকে দিন শুরু করা অতিথিরা তৃতীয় ওভারে ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশে সংগ্রহ।
 
এক প্রান্তে মুস্তাফিজুর রহমান, আরেক প্রান্তে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। 
 
১৪১ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫১৪/৩।  রোশেন সিলভা ৯২ ও দিনেশ চান্দিমাল ৪২ রানে ব্যাট করছেন।

বোলিং নিয়ে অসন্তুষ্টি

উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ। তাই বলে এমন নখদন্তহীন বোলিংকেও গ্রহণযোগ্য মনে করছেন না খালেদ মাহমুদ। টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের মতে, পরিকল্পনা অনুযায়ী বোলিং করতে পারেনি বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫১৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে ব্যাটিংয়ের সেই আনন্দ উবে গেছে বোলিংয়ে। ধারহীন বোলিং খেলে রান উৎসবে মেতেছে শ্রীলঙ্কা।

শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ৩০৮ রানের জুটি গড়েছেন কুসল মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। সেঞ্চুরির পথে আছেন রোশেন সিলভা। জমে গেছেন দিনেশ চান্দিমাল। ১৩৮ ওভারে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে কেবল ৩ উইকেট, শ্রীলঙ্কা করেছে ৫০৪ রান।

ওভারপ্রতি সাড়ে তিনের বেশি রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলাররা মাঝেমধ্যে ভালো বল করলেও চাপটা ধরে রাখতে পারেনি টানা ভালো জায়গায় বল করে। বাউন্ডারি বল দিয়েছে প্রচুর।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হবে চতুর্থ দিনের খেলা।

প্রথম সেশন বলে দেবে গতি পথ?

অনুজ্জ্বল বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে বাংলাদেশ। মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ প্রায় ছুঁয়ে ফেলা শ্রীলঙ্কার সামনে বড় লিডের হাতছানি। তবে বাংলাদেশের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ মনে করছেন, ম্যাচে এখনও দুই দলের জন্যই সুযোগ রয়েছে।

মাহমুদের মতে ম্যাচে এখন চালকের আসনে শ্রীলঙ্কা। অতিথিরা কতক্ষণ ব্যাট করে তার দিকে তাকিয়ে স্বাগতিকরা। মাহমুদ মনে করেন, চতুর্থ দিনের সকালের সেশন বলে দেবে ম্যাচে গতিপথ।

ম্যাচের যা পরিস্থিতি তাতে মাহমুদ হলে চিন্তা করতেন এক ইনিংস ব্যাটিং করার। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা দিলেন সেই ইঙ্গিত। জানালেন, চতুর্থ দিন যতটা সম্ভব নিজেদের ইনিংস বড় করতে চান তারা। তাদের প্রথম লক্ষ্য লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাটিং করা।

তৃতীয় দিন শেষে স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ১৮৭/১) ১৩৮ ওভারে ৫০৪/৩ (করুনারত্নে ০, মেন্ডিস ১৯৬, ধনঞ্জয়া ১৭৩, রোশেন ৮৭*, চান্দিমাল ৩৭*; মুস্তাফিজ ২৫-৫-৮৮-১, সানজামুল ৩৭-২-১২৮-০, মিরাজ ১৯-০-৯৭-১, তাইজুল ৫১-১৩-১৪৪-১, মোসাদ্দেক ৩-০-২৪-০, মুমিনুল ২-০-৬-০, মাহমুদউল্লাহ ১-০-৭-০)

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৫১৩