উদযাপনে ‘ওরকম’ কিছু বোঝাননি মুমিনুল

দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে যেমন মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন, তেমনি আলোচনার খোরাক জুগিয়েছেন সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর উদযাপনেও। তবে মুমিনুল হকের দাবি, তার সেঞ্চুরি উদযাপনে কারও প্রতি কোনো জবাব ছিল না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2018, 01:20 PM
Updated : 1 Feb 2018, 01:20 PM

ব্যক্তিগত জীবনে অন্তর্মুখী ও শান্ত স্বভাবের মুমিনুলকে মাঠের ভেতরেও বরাবর দেখা গেছে একই রূপে। দারুণ কোনো ব্যক্তিগত অর্জনেও আবেগের প্রকাশ খুব দেখা যায়নি। উদযাপন সবসময়ই ছিল সাদামাটা।

সেই মুমিনুল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে চমকে দিলেন সেঞ্চুরির উদযাপনে। মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ছুড়েছেন বাতাসে। ব্যাট-হেলমেট উঁচিয়ে ধরা তো ছিলই, খ্যাপাটে হয়ে ছুটে গেছেন ড্রেসিং রুমের দিকে। মুখে ছিল কাঠিন্য।

অনেকেই সেটিকে মনে করছেন চন্দিকা হাথুরুসিংহের প্রতি জবাব। এখনকার শ্রীলঙ্কার কোচ যখন ছিলেন বাংলাদেশের কোচ, সেই সময় টেস্ট দলে জায়গা হারিয়েছিলেন মুমিনুল। নানা সময়ে মুমিনুলের নানা দুর্বলতার কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে। মনে করা হয়, সেই সময়ে বেশ বঞ্চনার শিকার হয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। অনেকেরই ধারণা, সেসব ক্ষোভ ও অভিমানই ফুটে উঠেছে উদযাপনে।

তবে দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সেই উদযাপনের আলোচনায় মুমিনুল দিতে চাইলেন ভিন্ন হাওয়া।

“সুনিদিষ্ট কোনো কারণ ছিল না। আপনারা যেভাবে মনে করছেন, ও রকম কিছু না। চ্যালেঞ্জটা নিজের কাছে ছিল। অনেক দিন ধরে সেঞ্চুরি করতে পারছিলাম না। এটা করতে পারায় অনেক ভালো লেগেছে।”

তার উদযাপন নিয়ে আগের দিন তামিম ইকবাল বলে ঘিয়েছিলেন, “ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মুমিনুলের কিছু প্রমাণ করার ছিল এবং সে সেটা দারুণভাবে করেছে। দেখে আমারও ভালো লাগছে। আমি জানি কেন ও এটা (খ্যাপাটে উদযাপন) করেছে।”

মুমিনুলের যা ধরন, তাতে এত আলোচনায় তার একটু বিব্রতই হওয়ার কথা। খুব বেশি আলোয় থাকার চেয়ে আড়ালই তার সবসময় পছন্দ। উদযাপনের ব্যাখ্যাতে থাকতে পারে সেই চেষ্টাই। তবে চ্যালেঞ্জ নিজের কাছে হোক বা যেটাই হোক, জিততে পেরে খুশি মুমিনুল। ধন্যবাদ জানালেন সংবাদকর্মীদেরও।

“আগে যেসব টেস্ট খেলেছি, ৬০-৭০-৮০ করে আউট হয়েছি বার বার। আমার নিজের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল আমি বড় স্কোর করব। সবাই পাশে ছিল। দলের সবাই সমর্থন দিয়েছে, আপনারাও সমর্থন দিয়েছেন।”