নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টির শীর্ষে পাকিস্তান

৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড হওয়া পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়েছে টি-টোয়েন্টিতে। পিছিয়ে পড়েও নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে প্রথমবারের মতো জিতেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তৃতীয় ম্যাচে ১৮ রানের জয় সরফরাজ আহমেদের দলকে নিয়ে গেছে র‌্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Jan 2018, 10:49 AM
Updated : 28 Jan 2018, 10:49 AM

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারা পাকিস্তান টানা দুই জয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতল সিরিজ। তাতে নিউ জিল্যান্ডকেই সরিয়ে উঠল আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

অতিথিদের ১৮১ রান তাড়ায় নিউ জিল্যান্ড থামে ১৬৩ রানে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটাই স্বাগতিকদের প্রথম পরাজয়।

বে ওভালে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ফখর জামান। আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে ৩০, বাবর আজমের সঙ্গে ৩৬ আর সরফরাজের সঙ্গে তার ৪০ রানের তিনটি জুটিতে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান।

৩৬ বলে ৪৬ রান করা ফখরকে বিদায় করেন মিচেল স্যান্টনার। বাঁহাতি স্পিনারের আরেক শিকার ২১ বলে ২৯ রান করা সরফরাজ।

ইশ সোধির এক ওভারে তিন ছক্কা হাঁকানো উমর আমিন ফিরেন ৭ বলে ২১ রান করে। সোধির হাতে একবার জীবন পাওয়া হারিস সোহাইল অপরাজিত থাকেন ২০ রানে। শেষ দুই বলে ছক্কা-চার হাঁকানো আমির ইয়ামিন করেন অপরাজিত ১৫ রান। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৪ ওভারে ৫৮ রান তুলে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে পাকিস্তান।

২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের সেরা বোলার স্যান্টনার। তিনি ছাড়া ওভার প্রতি আটের নিচে রান দেননি স্বাগতিকদের কেউ।

বোলিংয়ে লড়াই করেন স্যান্টনার একা, রান তাড়ায় দলকে কক্ষপথে রাখতে একাই লড়েন মার্টিন গাপটিল। অন্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি এই ওপেনার।

৯ রান করে ফিরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। আনারু কিচেনের সঙ্গে দলকে ১ উইকেটে ৮৪ রানে নিয়ে যান গাপটিল। সেখান থেকে ম্যাচ পাকিস্তানের দিকে ঘুরিয়ে দেন শাদাব খান। ৫ বলের মধ্যে কিচেন ও গাপটিলকে ফিরিয়ে দেন এই লেগ স্পিনার। ৪৩ বলে ৪টি ছক্কা ও দুটি চারে ৫৯ রান করে ফিরেন গাপটিল।

দ্রুত কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে হারিয়ে নিউ জিল্যান্ডের বিপদ আরও বাড়ান ইয়ামিন। তিনটি ছক্কায় শুরু করেছিলেন রস টেইলর। তবে রিভিউ নিয়ে তাকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণেই রাখেন মোহাম্মদ আমির। তিন ম্যাচে দারুণ বোলিং করা বাঁহাতি এই পেসার জেতেন সিরিজ সেরার পুরস্কার। বরাবরের মতো এদিনও করেন আঁটসাঁট বোলিং।

শেষের দিকে স্যান্টনারের ১২ বলে অপরাজিত ২৪ রান নিউ জিল্যান্ডের পরাজয়ের ব্যবধান কমায়।

১৯ রানে ২ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাদাব। ম্যাচে সবচেয়ে হিসেবি বোলিং করে এই লেগ স্পিনার জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। অতিথিদের চার পেসার নেন একটি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৮১/৬ (ফখর ৪৬, শেহজাদ ১৯, বাবর ১৮, সরফরাজ ২৯, সোহাইল ২০*, আমিন ২১, আশরাফ ৮, ইয়ামিন ১৫*; সাউদি ০/৩৯, বোল্ট ১/৩৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৩৬, সোধি ২/৪৭, স্যান্টনার ২/২৪)

নিউ জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৬৩/৬ (গাপটিল ৫৯, উইলিয়ামসন ৯, কিচেন ১৬, ব্রুস ২২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১, টেইলর ২৫, ব্লানডেল ৩*, স্যান্টনার ২৪*; ইয়ামিন ১/২৫, রাইস ১/৪১, আমির ১/২৩, আশরাফ ১/৫৫, শাদাব ২/১৯)

ফল: পাকিস্তান ১৮ রানে জয়ী

সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাদাব খান

ম্যান অব দ্য সিরিজ: মোহাম্মদ আমির