প্রথম ম্যাচের মানসিকতায় নামবে বাংলাদেশ

হারটা অস্বাভাবিক নয়। তাই বলে ৮২ রানেই গুটিয়ে গিয়ে ১০ উইকেটের হার! ফাইনালের আগে ফাইনালের প্রতিপক্ষের কাছেই এমন হার হয়ে আসতে পারে বড় ধাক্কা। তবে দলের আত্মবিশ্বাসে সেই চোট লাগতে দিতে চান না মাশরাফি বিন মুর্তজা। অধিনায়কের বিশ্বাস, প্রথম ম্যাচের মতো মানসিকতা নিয়ে নামবে দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Jan 2018, 12:50 PM
Updated : 26 Jan 2018, 04:34 PM

টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে বোনাস পয়েন্টসহ জয়ে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে মাটিতে নামিয়ে আনে শ্রীলঙ্কা। প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে লঙ্কানরা।

দুদলের প্রথম দেখায় রেকর্ড ব্যবধানে হেরেছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু পরের ম্যাচে ১০ উইকেটের জয়ে আগের হারের ক্ষতে অনেকটাই প্রলেপ দিয়েছে লঙ্কানরা। ফাইনালের জন্য আত্মবিশ্বাসের রসদও জমা করে নিয়েছে। বাংলাদেশের জন্য তাই শঙ্কার জায়গা আছেই। তবে সেই শঙ্কাকে কাছে ঘেষতে দিতে চান না মাশরাফি। ড্রেসিং রুমে সেই বার্তাই দিয়েছেন অধিনায়ক।

“দলের সঙ্গে অবশ্য কথা তো হয়েছেই। সবার কাছে বার্তা ছিল, ইতিবাচক থাকতে। প্রথম ম্যাচে যে মানসিকতা ছিল, কালও সেটা নিয়ে মাঠে নামতে। এমন না যে একটা ম্যাচ খারাপ গেছে বলে নেতিবাচক চিন্তা করব। কিংবা যে পরিকল্পনা ছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে আসব। প্রথম ম্যাচে যেভাবে খেলেছি, ওটা নিয়েই খেলার চেষ্টা করব।”

“জিম্বাবুয়ে-শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবাই প্রত্যাশা করছিল যে আমরা সব ম্যাচই জিতব। আমি বলে আসছিলাম, এ রকম টুর্নামেন্টে যে কোন দলেরই ওঠা-নামা থাকতে পারে। কালকে একটা বাজে দিন গিয়েছে, আমি চাই না যে এটা নিয়ে আমার দলে খুব বেশি আলোচনা হোক।”

অধিনায়কের চাওয়া, ভুলগুলোর পুনরাবৃত্তি যেন ফাইনালে না হয়।

“প্রতিটা ম্যাচই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কালকের ম্যাচটা আমরা হেরেছি, সেটাও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেটা জিততে পারিনি। আমরা প্রথম-দুইটা ম্যাচ জিতেই যেহেতু ফাইনালে গিয়েছি, ফাইনাল আমাদের সামনে এসে গেছে। আমাদের এখন ফাইনাল আরেকটা ম্যাচ হিসেবেই খেলতে হবে।”

“শুধু খেয়াল রাখতে হবে গতকালের ম্যাচে যে সব ভুল করেছিলাম, আগামীকালের ম্যাচে যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। ভুল তো হবেই অবশ্যই, ভুলের সংখ্যা যেন অনেক কমে আসে। তাহলে হয়তো এই ম্যাচে যে চাপ থাকবে, সে নিজে থেকেই কমে যাবে। শুরুটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং বা বোলিং যাই করি না কেন, শুরুতে খেলাটা কিছুটা ধরতে পারলে কিছুটা হলেও চাপ ধীরে ধীরে কমে আসে।”

তবে চাপ কিছুটা থাকাকেও খারাপ মনে করেন না মাশরাফি। আগের ম্যাচের হারেও খুঁজে পাচ্ছেন ইতিবাচক দিক।

“যেভাবে আমরা হেরেছি ওটা অবশ্যই খুব স্বস্তির বিষয় ছিল না। তবে গতকাল জিতলেও ফাইনালে এমনিতেই চাপ থাকত। ফাইনালের আগে হারায় ওইদিক থেকে সমতায় এসেছে। সবাই মাঠে আরেকটু চিন্তায় থাকতে পারে। এটাকে আমি ভালোভাবে দেখি; কারণ এতে সবাই আরও সতর্ক থাকবে। মানুষ সব সময় চায় না রিলাক্স থাকতে। রিলাক্স থাকা কিন্তু অনেক সময় পারফর্ম করতে অসুবিধাও করে। টেনশনে থাকা অনেক সময় কাজে দেয়। সেদিক থেকে কালকের হারটা আমাদের কাছে ইতিবাচক হিসেবে এসেছে।”