প্রথম ইনিংসে ভারতকে ১৮৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ১৯৪ রানে। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা অতিথিরা দিন শেষ করে ১ উইকেটে ৪৯ রানে।
মুরালি বিজয়ের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেন পার্থিব প্যাটেল। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান রান তুলেন দ্রুত গতিতে। তিনটি চারে ১৬ রান পার্থিবকে ফিরিয়ে ১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ভার্নন ফিল্যান্ডার।
দিনের বাকি সময়টা লোকেশ রাহুলের সঙ্গে কাটিয়ে দেন বিজয়। বৃহস্পতিবারের খেলা শেষে অতিথিরা এগিয়ে ৪২ রানে।
ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে ১ উইকেটে ৬ রানে দিন শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের দিন এইডেন মারক্রামকে ফিরিয়ে দেওয়া ভুবনেশ্বর কুমার শুরুতেই ফিরিয়ে দেন আরেক ওপেনার ডিন এলগারকে।
তৃতীয় উইকেটে রাবাদার সঙ্গে ৬৪ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন আমলা। লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে রাবাদাকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইশান্ত শর্মা।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই এবি ডি ভিলিয়ার্সকে বোল্ড করে বিদায় করেন ভুবনেশ্বর। বুমরাহর উইকেট শিকার শুরু অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিকে বোল্ড করে।
১২১ বলে ৭টি চারে ৬১ রান করে আমলার বিদায়ে লিডের আশা জাগে ভারতের। ৫৫ বলে ৫টি চারে ৩৫ রান করা ফিল্যান্ডারকে ফিরিয়ে সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেন মোহাম্মদ শামি।
তবে আন্দিলে ফেলুকওয়ায়ো ও মর্নে মর্কেলের ব্যাটে ৭ রানের ছোট্ট লিড নিয়ে নেয় স্বাগতিকরা। তিন বলের মধ্যে ফেলুকওয়ায় ও লুঙ্গি নগিডিকে বিদায় করে দুইশ রানের আগেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে থামিয়ে দেন বুমরাহ। সঙ্গে তৃতীয় টেস্টে এসে প্রথমবারের মতো পান পাঁচ উইকেট।
৫৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতের সেরা বোলার বুমরাহ। ভুবনেশ্বর ৩ উইকেট নেন ৪৪ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ১৮৭
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৬৫.৫ ওভারে ১৯৪ (এলগার ৪, মারক্রাম ২, রাবাদা ৩০, আমলা ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৫, দু প্লেসি ৮, ডি কক ৮, ফিল্যান্ডার ৩৫, ফেলুকওয়ায়ো ৯, মর্কেল ৯*, নগিডি ০; ভুবনেশ্বর ৩/৪৪, বুমরাহ ৫/৫৪, ইশান্ত ১/৩৩, শামি ১/৪৬, পান্ডিয়া ০/৩)
ভারত ২য় ইনিংস: ১৭ ওভারে ৪৯/১ (বিজয় ১৩*, পার্থিব ১৬, রাহুল ১৬*; ফিল্যান্ডার ১/১১, রাবাদা ০/১৯, মর্কেল ০/৯, নগিডি ০/৬)