২০০৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ওয়ানডে অভিষেক হয় তামিমের। এ পর্যন্ত ১৭৬ ইনিংস খেলা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উদ্বোধনী জুটিতে পেয়েছেন ১৩ জন সঙ্গী। তাদের কারো কারো সঙ্গে জুটি স্থায়ী হয়েছে এক-দুই ম্যাচ।
তামিমের সঙ্গে ১০ ম্যাচের বেশি জুটি বেঁধে খেলেন ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, এনামুল, জুনায়েদ সিদ্দিক ও শাহরিয়ার নাফীস। এক ম্যাচের জুটিগুলো বাদ দিলে তামিমের সঙ্গে গড়ের দিক থেকে সেরা জুটিতে সঙ্গী সৌম্য। তাদের ২৩ ইনিংসে আছে তিনটি করে সেঞ্চুরি, ফিফটি।
ছন্দ হারিয়ে এবারের সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন সৌম্য। ঘরোয়া ক্রিকেটের ভালো পারফরম্যান্স দলে ফেরায় এনামুলকে। ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচে খেলে ডানহাতি এই ওপেনার করেন ৫৫ রান।
প্রায় তিন বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে এনামুল প্রথম ম্যাচে করেন ১৯ রান। পরেরটিতে দুইবার জীবন পেয়ে ৩৫। তৃতীয় ম্যাচে ১, সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য।
যে ধারাবাহিকতার আশায় এনামুলকে দলে ফেরানো সেটা পুরোপুরি অনুপস্থিত তার ব্যাটিংয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০ উইকেটে পরাজয়ের ম্যাচে এনামুলের আউটের ধরনে একাদশে তার জায়গা নিয়ে উঠে প্রশ্ন। মাশরাফি জানান, এ নিয়ে ভাবার সুযোগ রয়েছে।
“(আবার সুযোগ পাবে কি না?) আসলে নিশ্চিত না। এখন তো কেবল ম্যাচটা শেষ করে এলাম। এটা নিয়ে ভাবার বিষয় আছে। (এনামুল) বিজয়কে নিয়ে তো অনেক কথা হয়েছে, ও ঘরোয়া সব পর্যায়ে রান করেছে, বিপিএল বলেন, প্রথম শ্রেণি বলেন।”
“আপনারাই তাকে ‘এক্সপোজ’ করেছেন। তার উপর পূর্ণ আস্থা ছিল। তাকে নিয়মিত খেলিয়ে যাচ্ছি। ও যতক্ষণ (দলে) আছে অবশ্যই আমরা তাকে ‘ব্যাক আপ’ করছি। কঠিন সময় যেতে পারে। এমন না যে, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রান করে এসেই আপনি আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান করবেন। আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের সঙ্গে একটা গ্যাপ অবশ্যই আছে।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচে তৃতীয় ওভারে ফিরেন এনামুল। উইকেট ছুড়ে আসার যে শুরু তা এই ওপেনারকে দিয়েই শুরু। সুরঙ্গা লাকমলের বেশ বাইরের সাদামাটা সোজা বল আড়াআড়ি খেলে স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন তিনি।