প্রথম ইনিংসে জাকির হাসানের ডাবল সেঞ্চুরি আর লিটন দাস, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও অলক কাপালীর সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৭৩৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে পূর্বাঞ্চল। সোহাগ গাজীর ৭ উইকেটে মধ্যাঞ্চলকে বুধবার ৪২৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে দলটি নেয় ৩০৭ রানের বিশাল লিড।
মেহেদী মারুফের সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংস উদ্বোধন করেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান তাসামুল হক। সেঞ্চুরি তুলে নেন দুই ব্যাটসম্যানই। ৫২ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২২৬ রান তুলে পূর্বাঞ্চল। এরপর এনসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া ওপেনার মারুফ অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। তার ১৫৩ বলের ইনিংসটি গড়া ১০টি চার ও দুটি ছক্কায়।
প্রথম ইনিংসে ফিফটি পাওয়া তাসামুল তুলে নেন তার ১২তম সেঞ্চুরি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১৬০ বলে ১২টি চারে অপরাজিত থাকেন ১০৮ রানে।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ৩৫২ রান নিয়ে মধ্যাঞ্চল চতুর্থ ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে। ৭৬ রান যোগ করে দলটি গুটিয়ে যায় ৪২৮ রানে।
আগের দিন পাঁচ উইকেট নেওয়া সোহাগ গাজী হানেন প্রথম আঘাত। ফিরিয়ে দেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরকে। ফিফটি পাওয়া তানবীর হায়দারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন খালেদ আহমেদ। আবু হায়দারকে বোল্ড করে মধ্যাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন সোহাগ। ১৪১ রানে ৭ উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলের সেরা বোলার এই অফ স্পিনারই।
বোলাররা ম্যাচ জেতার একটা চেষ্টা করার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। কিন্তু পূর্বাঞ্চল সেই পথে হাঁটেনি। ১১ জনকে দিয়ে বোলিং করিয়ে মধ্যাঞ্চলও কম প্রশ্নের জন্ম দেয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৭৩৫/৬ ডিক্লে.
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১২১.১ ওভার ৪২৮ (রবি ১৭, সাদমান ৫৬, মেহরাব জুনিয়র ১০, রকিবুল ৮৫, মার্শাল ৬৫, শুভাগত ৭৩, তানবীর ৫৬, মোশাররফ ০, ইরফান ৩০, হায়দার ২০, তাসকিন ০*; খালেদ ১/৫৬, সোহাগ ৭/১৪১, নাজমুল ০/১১৭, এনামুল জুনিয়র ২/১০৬, মুমিনুল ০/৪)
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৫২ ওভারে ২২৬/০ (তাসামুল ১০৮*, মারুফ ১১১*; তাসকিন ০/২৫, হায়দার ০/১৪, মোশাররফ ০/৩৬, তানবীর ০/৪২, শুভাগত ০/৭, মেহরাব জুনিয়র ০/২৬, রবি ০/১৪, রকিবুল ০/২৪, ইরফান ০/১৪, সাদমান ০/১০, মার্শাল ০/৯)
ফল: ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জাকির হাসান