অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা বাঁহাতি ওপেনার জুনায়েদ।
রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে ৪২৯ রান নিয়ে বুধবার চতুর্থ ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণাঞ্চল। তাদের ইনিংস টিকে মাত্র ৭ বল।
দিনের দ্বিতীয় বলে তুষার ইমরানকে ফিরিয়ে দেন শফিউল ইসলাম। খানিক পর কামরুল ইসলাম রাব্বিকে বিদায় করেন তাইজুল ইসলাম। ৪ রান যোগ করে ৪৩৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল।
শফিউল ও তাইজুল নেন চারটি করে উইকেট।
২৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা উত্তরাঞ্চল ৫ উইকেটে করে ৩৫৬ রান। এরপর ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
৪৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি উত্তরাঞ্চলের। ওপেনিংয়ে ফেরা জহুরুল ইসলামকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন রাব্বি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্ত এবারও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ব্যাটিংয়ে অনুজ্জ্বল সৌম্য সরকার দ্রুত বিদায় করেন ফরহাদ হোসেনকে।
চতুর্থ উইকেটে ১০৯ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন জুনায়েদ-নাঈম ইসলাম। পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফিরেন নাঈম। রাজ্জাককে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে হন স্টাম্পড।
পঞ্চম উইকেটে আরিফুলের সঙ্গে ১৬০ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান জুনায়েদ। ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ১৭০ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ফিরেন ১৫০ রান করে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে করেন ১৩৭ রান।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন আরিফুল। ৮৩ বলে ৬টি করে ছক্কা-চারে এই অলরাউন্ডার করেন ১০৩ রান।
প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে ৬ উইকেট নেওয়া অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার রাজ্জাক দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯.৩ ওভারে ১৭৫ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪০৮
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ৪৩৩ (শাহরিয়ার ১৪, সৌম্য ২৯, ইমরুল ১১৮, তুষার ১৪৮, মোসাদ্দেক ৮, আল আমিন জুনিয়র ৪৬, নুরুল ৩৫, রাজ্জাক ১৯, দেলোয়ার ৪, রাব্বি ০, আল আমিন ৪*; শফিউল ৩/৫৮, শুভাশিস ১/১০৩, তাইজুল ৪/১৩৬, নাঈম ০/৪৪, আরিফুল ১/৮১, শান্ত ০/৩)
উত্তরাঞ্চল: ২য় ইনিংস: ৭১.৩ ওভারে ৩৫৬/৫ (জহুরুল ১৮, জুনায়েদ ১৫০, শান্ত ০, ফরহাদ ২, নাঈম ৬১, আরিফুল ১০৩*, ধীমান ১২*; রাব্বি ১/৩১, আল আমিন ১/১৬, রাজ্জাক ১/১৭৫, সৌম্য ১/২৬, মোসাদ্দেক ১/৫৪, আল আমিন জুনিয়র ০/৩০, তুষার ০/১৫)