‘আরও অনেক সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল আমার’

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। সেটি হয়নি। তা নিয়ে আক্ষেপও নেই তামিম ইকবালের। তবে হতাশা জাগে তার নিজের ক্যারিয়ার রেকর্ডে। সেঞ্চুরি যদি করতে পারতেন আরও বেশি!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2018, 11:17 AM
Updated : 22 Jan 2018, 04:18 PM

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই তামিম ফিরেছেন ৮৪ রানে। প্রথমবার অপরাজিত থেকে, দলকে জিতিয়ে। সেঞ্চুরির উপায় ছিল না। পরের ম্যাচে দারুণ খেলতে খেলতেই হলেন আউট। আকিলা দনঞ্জয়ার যে বলে আউট হলেন, সম্ভবত ইনিংসের সেরা বল ছিল সেটিই।

দুই ম্যাচে সেঞ্চুরির কাছে থমকে যেতে হওয়ায় খারাপ লাগা স্বাভাবিক। তবে তামিম শুধু রান সংখ্যাই দেখছেন না। তাকে তৃপ্তি দিচ্ছে নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন।

“দ্বিতীয় ম্যাচে আমি যেভাবে ব্যাট করছিলাম…শুরু করেছিলাম খুব ধীরে, কিন্তু তার পরও পরে তাড়াহুড়ো করিনি। নিজের কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে উইকেট ছুঁড়ে আসিনি। অপেক্ষা করেছি, একটা বোলারকে টার্গেট করে পুষিয়ে নিতে চেয়েছি। ইনিংসটা খুব ভালো গড়েছি, খুব নিয়ন্ত্রিত ছিল।”

“দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভালো একটি বল পেয়ে গেলাম। খুব ভালো বল ছিল। কিছু বলার নেই। এটা ভালো দিক যে আমি উইকেট উপহার দিয়ে আসিনি। এই কারণে আমি খুশি।”

এমনিতেও এখন তামিমের ব্যাটিংয়ের ধরন এমনটিই। আগের মতো শুরু থেকে খ্যাপাটে হয়ে ওঠেন না। থাকেন না অতি আগ্রাসী। সময় নিয়ে ইনিংস গড়েন। অভিজ্ঞতাই তামিমকে করছে পরিণত।

“চেষ্টা করব যতটা ম্যাচ খেলব, প্রতিটা ম্যাচেই এরকম করে খেলার। অনেকসময় সম্ভব হয় না। কখনও হবে না। আমি যেটা সবসময় টার্গেট করি, ৩০-৪০ বল খেলে সেট হওয়ার পর যতটা বড় করা যায়। যে কোনো পজিশনেই প্রথম ২০ বল সবসময়ই কঠিন। তাই আমি সবমময় চেষ্টা করি ২০-৩০ বল ভালোভাবে সামলে, যখন সেট হয়ে যাই চেষ্টা করি ইনিংস যতটা বড় করা যায়।”

ইনিংস বড় করার এই কাজ ক্যারিয়ারের শুরুর অনেক কটা বছর সেভাবে পারেননি তামিম। ১৭৬ ম্যাচে ৪৯ বার পঞ্চাশ ছুঁয়ে তাই সেঞ্চুরি মাত্র ৯টি। এই ৯ সেঞ্চুরির ৫টিই সবশেষ তিন বছরে।

সেঞ্চুরি সংখ্যায় এরপরও তামিম বাংলাদশে সবার ওপরে। শীর্ষে তিনি রানেও। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬ হাজার ওয়ানডে রানের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। নিজের সেঞ্চুরি সংখ্যা তবু পোড়ায় তাকে।

“সত্যি আমার নিজের কাছে খারাপও লাগে। আমার আরও অনেক সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্কে যত দ্রুত নেওয়া যায়, সেটা আমার লক্ষ্য থাকবে। ডাবল ফিগার দেখতেও ভাল লাগে, শুনতেও ভাল লাগে। কিন্তু দিনশেষে বলতে গেলে ১৭০টার বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। ৪০টির মতো ফিফটি করেছি। সেদিকে থেকে চিন্তা করলে এটা হতাশাজনক যে ৯টি মাত্র সেঞ্চুরি। আমার আরও সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল।”