সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নয়, আউটের হতাশা সাকিবের

তিন নম্বরে প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নিজের প্রথম ফিফটিকে সেঞ্চুরির রূপ দেওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল এই অলরাউন্ডারের সামনে। আসেলা গুনারত্নকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় অনেক আগেই। আউটের পর সাকিবের শরীরী ভাষায় হতাশা ছিল স্পষ্ট।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Jan 2018, 03:32 PM
Updated : 19 Jan 2018, 04:13 PM

২০১৪ সালে প্রথম তিন নম্বরে ব্যাট করেন সাকিব। সেবার পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফিরেন তিনে। ভালো খেলতে খেলতে আউট হন ৪৫ বলে ২৯ রান করে।

ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরু থেকে পান তিনে স্থায়ী হওয়ার নিশ্চয়তা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দলের প্রথম ম্যাচে ৪৬ বলে করেন ৩৭। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচে ৬৩ বলে ৬৭।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার লঙ্কানদের বিপক্ষে যেভাবে খেলছিলেন সাকিব তাতে সেঞ্চুরি পাওয়া খুব অসম্ভব ছিল না। আউট হন ৩৮তম ওভারে। হাতে যথেষ্ট বল ছিল, সাকিব রানও তুলছিলেন দ্রুত।

দুই থিতু ব্যাটসম্যান নিয়ে ডেথ ওভারে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাকিবের পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি ভাঙতে মরিয়া ছিলেন দিনেশ চান্দিমাল। প্রথম তিন ওভারে খরুচে বোলিং করা গুনারত্নে অধিনায়ককে এনে দেন সাফল্য।

মিডিয়াম পেসার গুনারত্নের বলে গতির অভাব প্রায় সময়ই ভোগায় ব্যাটসম্যানদের। গতি কম থাকায় বাউন্ডারি তুলে নেওয়া কঠিন। তাই হয়তো সাকিব গায়ের জোরে পাঠাতে চেয়েছিলেন বোলারের মাথার ওপর দিয়ে। কিন্তু বল অতটা উঠেনি। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে সাকিবকে ফেরান গুনারত্নে।

আউট হওয়ার পর সাকিবকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজের প্রতিক্রিয়ার ব্যাখ্যা দেন এই অলরাউন্ডার।

“পুরো ব্যাটিং করলে তো সেঞ্চুরি অবশ্যই হতো। সুযোগও ছিল। অবশ্যই আউট হলে সবার মধ্যেই হতাশা কাজ করে। যে যত রানই করুক। সেটাই ছিল..তেমন কিছু না।”

গত জুনে ওয়ানডেতে নিজের শেষ সেঞ্চুরি পান সাকিব। দেশের মাটিতে এই সংস্করণে শেষ তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিলেন ২০১৪ সালে।