মাশরাফির পরই রুবেল

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এই দুজনের। এবার আরেকটি জায়গাতেও মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে এখন রুবেল হোসেনের নাম। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে উইকেটের সেঞ্চুরি করা পেসার এই দুজনই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2018, 10:11 AM
Updated : 15 Jan 2018, 03:13 PM

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে সোমবার ১০০ ওয়ানডে উইকেট স্পর্শ করেছেন রুবেল। এতদিন বাংলাদেশের হয়ে ১০০ উইকেট নেওয়া একমাত্র পেসার ছিলেন মাশরাফি।

মাইলফলক ছুঁতে এদিন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে রুবেলের প্রয়োজন ছিল দুই উইকেট। পরপর দুই বলে পিটার মুর ও তেন্দাই চাতারাকে ফিরিয়ে পৌঁছে যান কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায়।

৮১ ম্যাচে ১০০ উইকেট হলো রুবেলের। মাশরাফি শততম উইকেট পেয়েছিলেন ৭৮ ম্যাচে।

২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে এরকম একটি ত্রিদেশীয় সিরিজেই অভিষেক রুবেলের। অভিষেকের প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের দারুণ জয়ের ম্যাচে সেদিন ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন রুবেল। অভিষেকে যা বাংলাদেশের কোনো বোলারের ৪ উইকেট ছিল সেটিই প্রথম।

পরের ম্যাচেই অবশ্য পেতে হয়েছিল উল্টো স্বাদ। ফাইনালে শেষ দিকে তাকে তুলোধুনো করে তার ২ ওভারে ৩২ রান নিয়েছিলেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। জয়ের হাতছানি থাকলেও বাংলাদেশ হেরে যায় ম্যাচ।

তবে সেই ম্যাচকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান রুবেল। ওয়ানডেতে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের বোলিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হোয়াইটওয়াশে রাখেন বড় অবদান। ২০১৩ সালে নিউ জিল্যান্ডকে আরেকবার হোয়াইটওয়াশ করার সিরিজে প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিকসহ ৬ উইকেট নেন ২৬ রানে। স্পর্শ করেন মাশরাফির ২৬ রানে ৬ উইকেটের রেকর্ড।

২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তার দুটি গোলায় ইংল্যান্ড হারায় শেষ দুই উইকেট। বাংলাদেশ ওঠে কোয়ার্টার-ফাইনালে।

এই পথচলায় ছিল উত্থান-পতন। মাঠের ভেতরে-বাইরে নানা বিতর্ক। ফর্ম হারিয়েছেন। চোট পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ছিটকে পড়েছেন। আবার ফিরেছেন চুক্তিতে ও ফর্মে। এখন আবার রঙিন পোশাকে উজ্জ্বল তার ভূমিকা।