বাংলাদেশের ৮ উইকেটের জয়
উইকেট একটু মন্থর ছিল। বল ব্যাটে একটু দেরিতে আসার সঙ্গে ছিল হঠাৎ নিচু হওয়ার বিপদও। তবে লক্ষ্যটা ছোট বলে একটুও ভাবতে হল না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী এই ব্যাটসম্যানের অপরাজিত ফিফটিতে বাংলাদেশ পেল ৮ উইকেটের জয়।
জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য ১২৯ বল বাকি থাকতে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। শুভ সূচনা করে ত্রিদেশীয় সিরিজে।
তামিমের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন এনামুল হক। তিন নম্বরে নেমে ৭৮ রানের জুটি গড়ে ফিরেন সাকিব আল হাসান। মুশফিককে নিয়ে বাকিটা সারেন তামিম।
৯৩ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৮৪ রানে অপরাজিত থাকেন তামিম। একটি করে ছক্কা-চারে ১৪ রানে অপরাজিত মুশফিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: (লক্ষ্য ১৭১ রান) ২৮.৩ ওভারে ১৭১/২ (তামিম ৮৪*, এনামুল ১৯, সাকিব ৩৭, মুশফিক ১৪*; জার্ভিস ০/১৫, চাতারা ০/২৬, রাজা ২/৫৩, মুজারাবানি ০/৩১, ক্রিমার ০/৪৬)
টানা তিন ‘নো’ বল
অভিষিক্ত পেসার ব্লেজিং মুজারাবানি ২৮ ওভারে পরপর তিনটিসহ চারটি ‘নো’ বল করেন। অবশ্য একটি ফ্রি হিটও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় বলে প্রথম ‘নো’ বল করেন মুজারানি। সেটির ফ্রি-হিট কাট করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুশফিকুর রহিম।
চতুর্থ বলে মুজারাবানি করেন টানা তিনটি ‘নো’। প্রথম দুটি ফ্রি-হিটে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি তামিম। পরেরটিতে ডিপ কাভারে পাঠিয়ে নেন ২ রান। ১০ বলের সেই ওভারে বাংলাদেশ নিতে পারে ১১ রান।
ছক্কায় শুরু মুশফিকের
ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম ছক্কা।
অফ স্পিনার সিকান্দার রাজার বল একটু এগিয়ে এসে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠান মুশফিক। এই ছক্কায় নবম বলে খুলেন রানের খাতা।
২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩২/২। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন আরও ৩৯ রান।
তামিমের ফিফটি
একটু মন্থর উইকেটে নিজেকে সামলে রেখে খেলছেন তামিম ইকবাল। চোট কাটিয়ে ওয়ানডেতে ফেরা বাঁহাতি ওপেনার তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
অফ স্পিনার সিকান্দার রাজাকে পরপর দুই চার হাঁকিয়ে পঞ্চাশের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান তামিম। এক বল বিরতিতে সিঙ্গেল নিয়ে পৌঁছান ক্যারিয়ারের ৩৯তম ফিফটিতে। ৬৬ বলে পাঁচটি চারে আসে তার পঞ্চাশ।
রিভিউ নিয়ে সাকিবকে ফেরাল জিম্বাবুয়ে
আগের ওভারেই রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। পরের ওভারে উল্টো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। রিভিউ নিয়ে সাকিব আল হাসানকে ফেরাল জিম্বাবুয়ে।
অফ স্টাম্পে পিচ করে আরও ভেতরে ঢোকা বল সাকিবের ব্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে সাকিবের প্যাডে আঘাত হানে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন অতিথি অধিনায়ক। বল ট্র্যাকিংয়ে দেখা যায় লেগ স্টাম্পে লাগত অফ স্পিনার সিকান্দার রাজার বল।
৪৬ বলে ৫টি চারে ৩৭ রান করেন সাকিব। তার বিদায়ে ভাঙে ১৫.১ ওভার স্থায়ী ৭৮ রানের জুটি। ১৯.১ ওভারে সাকিব ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১০৮/২। জয়ের জন্য দলটির চাই আরও ৬৩ রান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন তামিম
ক্রিমারের করা ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আরও বাইরে যায়। সেবার লেগ স্পিনারের আবেদনে সাড়া দেননি শরফুদ্দৌলা। পরের বলটি প্রায় ছিল একই রকম। এবার আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন তামিম। বল ব্যাট স্পর্শ না করায় বেঁচে যান বাঁহাতি ওপেনার। সে সময়ে ৩৬ রানে ব্যাট করছিলেন তামিম।
বাংলাদেশের একশ
তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটে দ্রুত এগোচ্ছে বাংলাদেশ। অষ্টাদশ ওভারে তিন অঙ্কে গেছে স্বাগতিকদের সংগ্রহ। ১৭১ রানের রান তাড়ায় দলকে দৃঢ় ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছেন দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০২ রান। জয়ের জন্য আরও ৬৯ রান চাই তাদের।
তামিম-সাকিবের পঞ্চাশ রানের জুটি
মন্থর উইকেটে দ্রুত রান তুলছেন টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেটে এরই মধ্যে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন তামিম। দ্বিতীয় ওভারে একটি চার হাঁকানোর পর আর বাউন্ডারি মারেননি। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো তিনে নামা সাকিব খেলছেন নিজের মতো করে। অভিষিক্ত ব্লেজিং মুজারাবানিকে পরপর তিন বলে হাঁকিয়েছেন চার। তেন্দাই চাতারাকে হাঁকিয়েছেন একটি বাউন্ডারি।
৫৯ বলে এসেছে তামিম-সাকিব জুটির পঞ্চাশ। ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৮১/১। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের চাই আরও ৯০ রান।
প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে শুরুটা দারুণ করেছিলেন এনামুল হক। কিন্তু নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি এই ওপেনার। ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় ফিরেন সীমানায় ক্যাচ দিয়ে।
লেগ সাইডে সীমানায় থাকা একমাত্র ফিল্ডারকে খুঁজে পান এনামুল। সিকান্দার রাজার অফ স্পিন স্লগ সুইপে উড়াতে চেয়েছিলেন। ঠিক মতো টাইমিং হয়নি, ক্যাচ চলে যায় অপেক্ষায় থাকা ক্রেইগ আরভিনের কাছে।
১৪ বলে চারটি চারে ১৯ রান করে ফিরেন এনামুল। তার বিদায়ের সময় ৪ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩০/১। জয়ের জন্য বাংলাদেশের চাই আরও ১৪১ রান।
এনামুলের দারুণ শুরু
প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডেতে ফিরে প্রথম বলেই চার হাঁকান এনামুল হক। কাইল জার্ভিসের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে দারুণ এক স্ট্রেইট ড্রাইভে রানের খাতা খুলেন এই ওপেনার। পরের বলে এক রান নিয়ে থাকেন স্ট্রাইকে।
তেন্দাই চাতারাকে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্বাগত জানান এনামুল। পরের বলটি ছিল ‘নো’ বল। কাভার দিয়ে পাঠিয়ে দেন সীমানার বাইরে। ফ্রি-হিট অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি এনামুল। ডিপ স্কয়ারে লেগে পাঠিয়ে দেন এক রান।
১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উড়ন্ত সূচনা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ২ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৩ রান।
জিম্বাবুয়েকে হারাতে বাংলাদেশের চাই ১৭১ রান
প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে পথ দেখালেন সাকিব আল হাসান। একে একে উইকেট শিকারে যোগ দিলেন অন্য বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ পেল ১৭১ রানের ছোট লক্ষ্য।
এক ওভার বাকি থাকতে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফিফটি মাত্র একটি, সিকান্দার রাজা ফিরেন ৫২ রান করে। পঞ্চাশ রানের জুটিও মাত্র একটি পিটার মুরের সঙ্গে রাজার ৫০।
একটু মন্থর উইকেটে শুরুতে আঁটসাঁট বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের বেঁধে রাখেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়মিত উইকেট হারানোয় অতিথিদের ইনিংস সেভাবে গতি পায়নি কখনও।
৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব। দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। একটি করে উইকেট নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সানজামুল ইসলাম। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার নাসির উইকেট না পেলেও ৫ ওভারে করেন মিতব্যয়ী বোলিং।
প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে পথ দেখালেন সাকিব আল হাসান। একে একে উইকেট শিকারে যোগ দিলেন অন্য বোলাররা। তাদের নৈপুণ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশ পায় ১৭১ রানের ছোট লক্ষ্য।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে: ৪৯ ওভারে ১৭০ (মাসাকাদজা ১৫, মিরে ০, আরভিন ০, টেইলর ২৪, রাজা ৫২, ওয়ালার ১৩, মুর ৩৩, ক্রিমার ১২, জার্ভিস ৪*, চাতারা ০, মুজারাবানি ১; সাকিব ৩/৪৩, সানজামুল ১/২৯, মাশরাফি ১/২৫, মুস্তাফিজ ২/২৯, রুবেল ২/২৪, নাসির ০/১৫)
জিম্বাবুয়েকে ১৭০ রানে থামালেন মুস্তাফিজ
জিম্বাবুয়ের ইনিংসের লেজটুকু দ্রুত ছেঁটে দিল বাংলাদেশ। ৯ রানের মধ্যে স্বাগতিকরা তুলে নিল অতিথিদের শেষ ৪ উইকেট।
নিজের কোটার শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমান উড়িয়ে দেন অভিষিক্ত ব্লেজিং মুজারাবানির স্টাম্প। এক ওভার বাকি থাকতে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
রুবেলের শততম শিকার চাতারা
পরপর দুই বলে দুই বোল্ডে ওয়ানডেতে নিজের শততম উইকেট পেয়ে গেলেন রুবেল হোসেন। ডানহাতি এই পেসারের উইকেট সংখ্যা তিন অঙ্কে যেতে লাগল ৮১ ম্যাচ।
ইয়র্কার লেংথের বল স্টাম্পে টেনে আনেন জিম্বাবুয়ের ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান তেন্দাই চাতারা। জিম্বাবুয়ের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি ফিরেন শূন্য রানে। ৪৭.৪ ওভারে চাতারার বিদায়ের সময়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৬৭/৯।
মুরকে বিদায় করলেন রুবেল
আক্রমণে ফিরেই আঘাত হানেন রুবেল হোসেন। ফিরিয়ে দেন জিম্বাবুয়ের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান পিটার মুরকে।
সংগ্রহটা দুইশ রানে নিয়ে যেতে পিটার মুরের দিকে তাকিয়ে ছিল জিম্বাবুয়ে। অতিথিদের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে ইয়র্কারে বোল্ড করে দেন রুবেল।
দুটি চারে ৫৮ বলে ৩৩ রান করে ফিরেন মুর। ৪৭.৩ ওভারে তার বিদায়ের সময়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৬৭/৮।
সাকিবের তৃতীয় শিকার ক্রিমার
নিজের প্রথম ওভারে জোড়া উইকেট নেওয়া সাকিব আল হাসান শেষ ওভারে পেলেন গ্রায়েম ক্রিমারের উইকেট।
অফ স্টাম্পের বাইরের ফুল লেংথের বল লং অফ দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন ক্রিমার। টাইমিং করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। সামনে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ মুঠোয় নেন রুবেল হোসেন।
২০ বলে ১২ রান করে ফিরেন ক্রিমার। তার বিদায়ের সময় ৪৫.৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৬১/৭।
রাজার রান আউটে ভাঙল প্রতিরোধ
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পরপরই ফিরে গেলেন সিকান্দার রাজা। সাকিব আল হাসানের দারুণ ফিল্ডিংয়ে হলেন রান আউট।
নাসির হোসেনের বল স্কয়ার লেগে পাঠিয়ে দ্রুত একটি রান নিতে চেয়েছিলেন। একদমই সাড়া দেননি নন স্ট্রাইকার পিটার মুর। খানিকটা এগিয়ে যাওয়া সিকান্দার রাজা ফেরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সাকিবের থ্রো পেয়ে তার আগেই স্টাম্প ভেঙে দেন মুশফিকুর রহিম।
৯৯ বলে দুটি বলে ছক্কা-চারে ৫২ রান করে ফিরেন রাজা। তার বিদায়ের সময় ৩৯.১ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ১৩১/৬।
রাজার ফিফটি
নিয়মিত উইকেট হারানো জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে নিচ্ছেন সিকান্দার রাজা। কদিন আগেই বিপিএলে খেলে যাওয়া মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেছেন ফিফটি।
নাসির হোসেনকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে চার হাঁকিয়ে ৯২ বলে পঞ্চাশে পৌঁছান রাজা। দায়িত্বশীল ইনিংসে আছে আরও দুটি ছক্কা। একটি ছক্কা হাঁকান মুস্তাফিজুর রহমানকে, অন্যটি সাকিব আল হাসানকে।
জিম্বাবুয়ের একশ
বাংলাদেশের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের। নিয়মিত উইকেট হারানোয় রানে গতি পাচ্ছে না অতিথিদের ইনিংসে।
সপ্তদশ ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া জিম্বাবুয়ের ইনিংস তিন অঙ্কে যায় ৩০তম ওভারে। ৩০ ওভারে অতিথিদের সংগ্রহ ১০১/৫।
২ বার জীবন পাওয়া ওয়ালারকে ফেরালেন সানজামুল
দুইবার জীবন পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ম্যালকম ওয়ালার। ৪ রানে নাসির হোসেন ও ১৩ রানে সানজামুল ইসলাম ছাড়েন তার ক্যাচ।
ওয়ালারের ফিরতি ক্যাচ ছাড়ার এক বল পরেই তার উইকেট পেয়ে যান সানজামুল। বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ওয়ালার স্লিপে ধরা পড়েন সাব্বির রহমানের হাতে।
৩০ বলে একটি চারে ১৩ রান করে ফিরেন ওয়ালার। তখন ২৫.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৮১/৪।
আবার বেঁচে গেলেন ওয়ালার
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে দারুণ বোলিং করা সানজামুল ইসলাম হতাশায় পুড়েন নিজের ব্যর্থতায়। নিতে পারেননি ম্যালকম ওয়ালের ফিরতি ক্যাচ।
অফ স্টাম্পে ফুল লেংথের বল সজোরে হাঁকান ওয়ালার। দুই হাতে ক্যাচ নিয়েও ছেড়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল। ওয়ালারের রান তখন ১৪, দলের রান ৪ উইকেটে ৮১।
উইকেটের পেছনে ছাতা!
টেইলর আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান ম্যালকম ওয়ালারের জন্য উইকেটের পেছনে ছাতা সাজিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। মুস্তাফিজের বোলিংয়ে রেখেছেন ৩ স্লিপ, ২ গালি! পরে একজন কমিয়ে সেটা করা হয়েছে ৩ স্লিপ, ১ গালি।
বেঁচে গেলেন ওয়ালার
মন্থর উইকেটে বোলিং পেতে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে রুবেল হোসেনকে। বল হাতে পেয়েছেন ২১তম ওভারে। অপেক্ষার অবসান হতে পারত উইকেটের আনন্দে। কিন্তু তাকে বঞ্চিত করলেন নাসির হোসেন।
রুবেলের বলে স্লিপে ওয়ালারের সহজ ক্যাচ ছাড়লেন নাসির। ওয়ালারের রান তখন ৪, দলের রান ৪ উইকেটে ৫৮।
টেইলর বাধা সরালেন মুস্তাফিজ
রানের জন্য কিছুক্ষণ ধরে ছটফট করছিলেন টেইলর। রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টাতেই হয়তো মুস্তাফিজের ওপর চড়াও হতে চেয়েছিলেন এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে ফেরা জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। আগের বলটি ছিল কাটার, একটুর জন্য কানা নেয়নি। পরের বলটি ছিল স্টক ডেলিভারি, এবার কানা ছুঁয়ে গেল মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে।
৪৫ বলে দুটি চারে ২৪ রান করে ফিরেন টেইলর। তার ফেরার সময়ে ১৬.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৫১/৪।
মাশরাফির ফাঁদে ধরা মাসাকাদজা
অফ স্টাম্পের বাইরে টানা বল করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে প্রলুব্ধ করছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফাঁদ পেতে সফল হলেন অধিনায়ক। কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান জিম্বাবুয়ের ওপেনার।
অফ স্টাম্পের বাইরে পড়ে আউট সুইং করে আরও বাইরে যাচ্ছিল মাশরাফির বল। জায়গায় দাঁড়িয়ে তাড়া করতে চেয়েছিলেন মাসাকাদজা। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম।
২৪ বলে দুটি চারে ১৫ রান করে মাসাকাদজা ফেরার সময়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩০/৩।
সাকিবের জোড়া আঘাত
প্রথম উইকেটের রেশ না কাটতেই উইকেট আরও একটি। জিম্বাবুয়ের একাদশের একমাত্র বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ক্রেইগ আরভিনকে বাঁহাতি স্পিনে ফেরান সাকিব আল হাসান।
বলটি এমন আহামরি কিছু ছিল না। বরং অনেকটা ছিল স্টাম্পে হাফভলির মতো। সেটিই হাফ শটে মিড উইকেটে ক্যাচ অনুশীলন করালেন আরভিন। মিরের মত তার বিদায়ও শূন্য রানে। প্রথম ওভারেই সাকিবের উইকেট দুটি।
শূন্য রানে মিরের ফেরা
সাকিব আল হাসানের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে গ্ল্যান্স করতে গিয়েছিলেন মিরে। বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। কিন্তু পা চলে আসে ক্রিজের বাইরে। বল ধরে চোখের পলকে বেলস ফেলে দেন মুশফিক। তৃতীয় আম্পায়ার নিশ্চিত করেন আউট।
বলটি ছিল ওয়াইড। মিরে তাই স্টাম্পড শূন্য বলে শূন্য রানে।
একাদশে ফিরলেন এনামুল, সানজামুল
প্রায় তিন বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামছেন এনামুল হক। আট মাস পর দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলছেন সানজামুল ইসলাম।
দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ দলে এসেছে পাঁচটি পরিবর্তন। স্কোয়াডেই নেই সৌম্য সরকার, লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ। চোটের জন্য একাদশের বাইরে আছেন ইমরুল কায়েস। বাদ পড়েছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
চোট কাটিয়ে ফেরা তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করবেন এনামুল। ডানহাতি এই ওপেনার শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চে। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, সানজামুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন
টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
কুয়াশার জন্য আগে ব্যাটিং না বোলিং কী করবেন তা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। গত কয়েক দিনের সোমবারই সারাদিন ধরে কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে ঢাকা। তবে রোদ উঠাতেই হয়তো আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।