টিম ম্যানেজমেন্টের নানা সূত্র থেকে যা জানা গেছে, তাতে সানজামুলকে একাদশে রাখার সিদ্ধান্ত ম্যাচের আগের দিন একরকম চূড়ান্তই হয়ে গেছে। ম্যাচের দিন কন্ডিশনে খুব বেশি বদল না হলে দলের ভাবনায়ও বদল আসার সম্ভাবনা নেই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে সোমবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু দুপুর ১২টায়।
বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের ভোগান্তির ইতিহাসই দুজন বাঁহাতি স্পিনার খেলানোর মূল কারণ। স্কোয়াডে থাকা আরেক স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজকে তাই প্রথম ম্যাচে থাকতে হবে একাদশের বাইরে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাকিবের সম্ভাব্য স্পিন সঙ্গী হিসেবে সানজামুলকে বেশ আগেই ভেবে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। শ্রীলঙ্কা দলে অনেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলে যেমন তাদের বিপক্ষে সাকিবের স্পিন সঙ্গী হিসেবে ভেবে রাখা হয়েছে অফ স্পিনার মিরাজকে।
তবে গত কয়েক দিনে প্রচণ্ড শীত ও রাতের শিশিরের কথা ভেবে দুই বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলানো নিয়ে আবার ভেবেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। স্পিনার দুইজন না খেলিয়ে চার পেসার খেলানোর ভাবনাও এসেছে ঘুরেফিরে। চতুর্থ পেসার হিসেবে বিপিএলে দারুণ সব স্লোয়ার বল দিয়ে নজরকাড়া আবুল হাসানের দিকে ঝুঁকে ছিল পাল্লা।
তবে সেই ভাবানায় আবার বদল হয়েছে কুয়াশার কারণে। গত কয়েক দিনে ঢাকায় কুয়াশা পড়েছে প্রচণ্ড। কুয়াশা বেশি থাকলে ঘাসের শিরি জমে কম। স্পিনারদের নিয়ে শঙ্কাও তাই কমে যায়। বাকি সব দিক ভেবে বাঁহাতি স্পিনে জিম্বাবুয়ের বরাবরের দুর্বলতাকেই বাংলাদেশের বড় সম্ভাবনা মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
বাংলাদেশের একাদশও তাই মোটামুটি চূড়ান্ত। আঙুলের চোট কাটিয়ে উঠতে না পারায় আগেই বিবেচনার বাইরে ইমরুল কায়েস। তামিম ইকবালের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী হয়ে ফিরছেন তাই এনামুল হক।
তিন সাকিব আল হাসানের খেলার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিল দল। রোববার সেটি জানিয়েও দিয়েছেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ। চারে মুশফিকুর রহিম। পাঁচ ও ছয়ে মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির রহমান।
সাতে অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভালো করতে না পারলেও দেশের কন্ডিশনে তার ওপর অনেক আশা টিম ম্যানেজমেন্টের।
দ্বিতীয় বিশেষজ্ঞ স্পিনার সানজামুল। তিন পেসার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান। রুবেলের আঙুলে চোট থাকলেও টেকনিক্যাল ডিরেক্টর নিশ্চিত করেছেন, এই পেসার তা কাটিয়ে উঠেছেন।