গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের মাঝপথে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন হাথুরুসিংহে। সফরের পর বোর্ডের সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ বাদ দিয়ে দেন। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান সংবাদমাধ্যমকে জানান, বোর্ডের অসংখ্যবার যোগাযোগের চেষ্টায় কোনো সাড়া দেননি কোচ।
পরে অবশ্য সাড়া দেন হাথুরুসিংহ। ডিসেম্বরে দুই দিনের জন্য বাংলাদেশে এসে সেরে যান চুক্তি শেষের আনুষ্ঠানিকতা। তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি।
এবার তিনি বাংলাদেশে এসেছেন শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে। বাংলাদেশের দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথমবার বাংলাদেশের গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন রোববার।
পেশাদারী জগতে এক দলের দায়িত্ব ছেড়ে আরেক দলের দায়িত্ব নেওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু হাথুরুসিংহের বিদায়ের প্রক্রিয়া জাগিয়েছিল বিস্ময়। জন্ম দিয়েছে অনেক প্রশ্নের, যেগুলোর উত্তর অজানা। হাথুরুসিংহকে সরাসরি প্রশ্ন করেও উত্তর অজানাই থাকল।
“দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার পেশাদারী দায়িত্ব নিয়ে বা বিসিবির সঙ্গে কিভাবে ডিল করেছি, সেটির নিয়ে বিস্তারিত গভীরে যেতে চাই না। আগেও করিনি, এখনও করব না। এই প্রশ্নের উত্তর তাই দিতে পারছি না।”
পদত্যাগের আগের বছরই হাথুরুসিংহের দায়িত্বের মেয়াদ বাড়ানো হয় তিন বছর। বাড়ানো হয় তার বেতন ও সুযোগ-সুবিধা। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া কোচদের একজন ছিলেন তিনি। তাকে ঘিরেই সাজানো হচ্ছিলো ২০১৯ বিশ্বকাপ ঘিরে বাংলাদেশের পরিকল্পনা।
সেই পথচলা হুট করেই থামিয়ে অন্য শিবিরে চলে যাওয়াটা ঠিক হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নে অবশ্য নিজের মনোভাব খানিকটা জানালেন হাথুরুসিংহে, “আমি তা মনে করি না। নাহলে চলে যেতাম না…।”