বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে তার সম্পর্ক পুরোনো। খেলোয়াড়ি জীবনে জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে খেলতে এসেছেন। আবাহনীর হয়ে খেলেছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে পরে, বাংলাদেশের বোলিং কোচ থাকার সময়।
২০১৪ সালের ২৬ মে মাসে বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দুই বছরের মেয়াদ শেষে ২০১৬ সালের ২৬ মে জানিয়ে দেন, চুক্তি নবায়ন করবেন না আর।
সে সময় ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে বোলিং কোচের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। আশা করেছিলেন, দায়িত্বটা পেয়ে যাবেন। যদিও সেটি পরে হয়নি। কিছুদিন উত্তর প্রদেশ দলকে কোচিং করিয়ে ফিরে যান দেশে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে দায়িত্ব নেন জিম্বাবুয়ের প্রধান কোচ হিসেবে। সেই দায়িত্বে থেকেই বাংলাদেশে ফিরলেন ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে।
বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকার সময় শেষ কয়েক মাস তার কাজে খুব খুশি ছিল না বোর্ড ও দলের পেসাররা। তবে ব্যক্তিগত সম্পর্কে সেসবের প্রভাব পড়েনি। স্ট্রিকের অভ্যর্থনাই বলে দিচ্ছে সেটি।
স্ট্রিক নিজেও পরে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, বাংলাদেশ তার মনে আলাদা জায়গা নিয়ে আছে।
সাবেক বোলিং কোচ জানালেন, দূর থেকেও বাংলাদেশ ক্রিকেটের খোঁজখবর রেখেছেন তিনি।
“বেশ ভালোই খোঁজখবর রেখেছি বাংলাদেশের। বেশ কজন ভালো বন্ধু আছে এখানে আমার-মাশরাফি, মুস্তাফিজ, তাসকিন ও অন্যরা। রুবেলের সঙ্গে কোচিংয়ে অনেক সময় কেটেছে। খবর রেখেছি, আমি চলে যাওয়ার পর ওরা কেমন করছে।”
সাবেক বোলিং কোচ যেমন ফিরেছেন, তেমনি শ্রীলঙ্কার কোচ হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহেও। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই প্রতিপক্ষ কোচই তাই খুব ভালোভাবে জানেন বাংলাদেশ দল সম্পর্কে।
স্ট্রিক অবশ্য তার পরও ত্রিদেশীয় সিরিজকে মনে করছেন দারুণ চ্যালেঞ্জিং।
“এই যুগে অনেক কোচই কখনও একই দলে থাকে, পরে প্রতিপক্ষ হয়ে যায়। চন্দিকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো, বাংলাদেশ দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ সুজনের সঙ্গেও। আমাদের জন্য এটি দারুণ চ্যালেঞ্জের সিরিজ হবে।”
“এখানকার কন্ডিশন ও ক্রিকেটাদের জানা আছে আমাদের, তেমনি জানা আছে চন্দিকারও। শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের অনেকে বিপিএল খেলে। রহস্য বলে তাই খুব বেশি কিছু নেই। এখন পুরো ব্যাপারটি হলে দারুণ পরিকল্পনা ও কৌশল নিয়ে মাঠে নামা ও সেগুলোর বাস্তবায়ন করা।”