গত ২৮ নভেম্বর বিপিএলে খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের আল আমিনের বোলিং অ্যাকশন। পরে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির কোচ মাসুদ হাসানের সঙ্গে এই পেসার অ্যাকশন শোধরানোর কাজ করেন বিকেএসপিতে।
অ্যাকশন শুধরে গত রোববার মিরপুর একাডেমি মাঠে ক্যামেরার সামনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দে্ই পেসার। বৃহস্পতিবার সেই পরীক্ষার ফলাফল জানান বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
“কোচ সালাউদ্দিন ও বিকেএসপির একজন কোচের সঙ্গে ২৮ দিন কাজ করেছে আল আমিন। পরীক্ষা দেওয়ার পর আমরা তার বোলিংয়ের ভিডিও পর্যালোচনা করেছি। সেখানে ১৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে যে বোলিং করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম আছে।”
তবে ভবিষ্যতের জন্য তাকে সতর্কও করে দিয়েছে রিভিউ কমিটি।
“দুই বছরের মধ্যে দুইবার রিপোর্টেড হলে এক বছর খেলার সুযোগ থাকবে না। সেটা সে ভালো করেই জানে। সে কথা দিয়েছে, আর সমস্যা হবে না। নিজেই স্বীকার করেছে, দু-একটি ডেলিভারিতে তার সমস্যা ছিল। সেগুলো সে কাটিয়ে উঠেছে। মনে হয় না ভবিষ্যতে আর সমসা পড়তে হবে তাকে।”
২৮ দিন কাজ করার কথা বলা হলেও আল আমিন সত্যিকার অর্থে কাজ করতে পেরেছেন দুই সপ্তাহ। বাকি দুই সপ্তাহ তাকে যুদ্ধ করতে হয়েছে ডেঙ্গুর সঙ্গে। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন ডেঙ্গু থেকে উঠেই।
তার সঙ্গে কাজ করার পরই আশাবাদী ছিলেন কোচ সালাউদ্দিন। পরীক্ষার দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, অ্যাকশন শোধরানোর পর গতি বেড়েছে আল আমিনের।
“বেশ ভালো কাজ হয়েছে, আশা করি সে ভালোভাবে উতরে যাবে। অ্যাকশন নিয়ে কাজ করায় ওর জন্য ভালোই হয়েছে। কিছুদিন আগে ওর রান আপ কিছুটা ছোট করে দেওয়া হয়েছিল। তাই ডেলিভারি স্ট্রাইডে একটু বেশি জোর লাগত। সে কারণে অ্যাকশনের সমস্যা হয়ে থাকতে পারে।”
“আমি ওর রান আপ নিয়ে একটু কাজ করেছি। এতে লাভ হয়েছে, ওর গতি বেড়েছে। আর ডেলিভারি স্ট্রাইডে ওর পেছনের পায়ের অবস্থানটা একটু বদলে দিয়েছি।”