বিসিএলে মুমিনুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংসে করেছে ৫৪৬ রান। প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল বুধবার দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১২৮ রানে।
১৬৯ রানে দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল। ৪৭ রান নিয়ে তার সঙ্গী ছিলেন জাকির হাসান। প্রতিভাবান দুই ব্যাটসম্যান দলকে টেনে নিয়ে যান আরও অনেক দূর।
ষষ্ঠ উইকেটে দুজনের ২৩৩ রানের জুটি ভাঙে জাকিরের বিদায়ে। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ১৬৯ বলে ১১৯ রানে সাকলাইন সজিবের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েন জাকির।
মুমিনুলকে এরপর সঙ্গ দেন সোহাগ গাজী। মুমিনুল ছাড়িয়ে যান প্রথম শ্রেণিতে তার আগের সেরা ২৩৯ রানকে।
৩১ বলে ৩৫ করে আউট হন সোহাগ। এই জুটি ভাঙার পর অষ্টম উইকেট দ্রুত হারায় পূর্বাঞ্চল। মুমিনুলের তিনশর আশা ফিকে হয় আরও। শেষ পর্যন্ত নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। ২৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৪৪ বলে ২৫৮।
ব্যাটিংয়ের সাফল্য বোলিংয়ের শুরুতেও ধরে রাখে পূর্বাঞ্চল। ওয়ানডে দলে জায়গা হারানো সৌম্য সরকারকে ১৯ রানে ফেরান সোহাগ গাজী। এই অফ স্পিনার পরে ফেরান জাতীয় লিগে দারুণ পারফর্ম করা মেহেদি হাসানকে।
অভিজ্ঞ ব্যাটসমান শাহরিয়ার নাফিসকে ২৯ রানে থামান নাজমুল অপু। দক্ষিণাঞ্চলের রান তখন ৩ উইকেটে ৫৯।
সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন তুষার ইমরান ও মোসাদ্দেক হোসেন। চতুর্থ উইকেটে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৬৯। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত মোসাদ্দেক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১২৯.৫ ওভারে ৫৪৬ (আগের দিন ৩৪০/৫) (মুমিনুল ২৫৮, জাকির ১১৯, সোহাগ ৩৫, অপু ৮, শহিদ ০*, আবু জায়েদ ০; কামরুল রাব্বি ০/৭৬, জিয়াউর ০/২৫, রাজ্জাক ৬/১৭৮, সৌম্য ১/৪০, মেহেদি ০/১১৭, সাকলাইন ৩/৯৩, আল আমিন ০/১০, তুষার ০/৩)।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪১ ওভারে ১২৮/৩ (শাহরিয়ার ২৯, সৌম্য ১৯, মেহেদি ৯, তুষার ২২*, মোসাদ্দেক ৪২*; শহিদ ০/১৭, আবু জায়েদ ০/৪৭, সোহাগ ২/৩৯, নাজমুল অপু ১/২১)।