এনামুল এখন আরও ‘অভিজ্ঞ’

২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লেন। সেই থেকে ছিলেন ওয়ানডে দলেরও বাইরে। ওই বছরই নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ সেটিই সবশেষ। মাঝে লম্বা বিরতি। অথচ এই বিরতির সময়টিতেই নাকি আরও অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন এনামুল হক!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2018, 02:45 PM
Updated : 8 Jan 2018, 02:45 PM

দাবি তার নিজেরই। প্রায় তিন বছর পর ফিরেছেন ওয়ানডে দলে। জায়গা পেয়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজের বাংলাদেশ দলে। তবে দলের বাইরে থাকলেও মাঝের সময়টি তাকে করেছে আরও সমৃদ্ধ। নিজের দাবির পক্ষে ব্যাখ্যাও দিলেন এনামুল।

“মাঝের সময়টায় অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০-২৫টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছি। ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছি ৩৫-৪০টির মতো ম্যাচ। এটা বড় অভিজ্ঞতা।”

“এছাড়া দলকে শিরোপা জেতানো, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দলকে চ্যাম্পিয়ন করা, ঢাকা লিগে চ্যাম্পিয়ন দলে থাকা, এসব দারুণ অভিজ্ঞতা। ছোটখাটো আরও অনেক ব্যাপার আছে।”

অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে আলো ছড়ানোর পর ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসেই আলো ছড়িয়েছেন। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। প্রথম ২০ ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনটি, যেটি বাংলাদেশের রেকর্ড।

এরপর লম্বা সময় দলের বাইরে থাকা কঠিন। হতাশা ঘিরে ধরাও স্বাভাবিক। তবে এনামুলের দাবি, হতাশা তার ছিল না, বরং নিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ।

“হতাশার চেয়ে বেশি ছিল চ্যালেঞ্জ। আমার জন্য ঘরোয়া পর্যায়ের প্রত্যেকটা আসরই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রিমিয়ার লিগেই যেমন, শেষ হলেই কথা উঠতো বিজয় কত রান করল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও একই কথা। বিপিএলেও সবাই দেখেছে কত করলাম। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ।”

“চেয়েছি নিজেকে আরও ভালো কিছুর জন্য অনুপ্রাণিত করতে। আগেরবার ৫০০ রান করলে পরের মৌসুমে ৬০০ করতে। জাতীয় দলে সবাই যখন ভালো খেলে, তখন আসলে নিজের জন্য হতাশ লাগে না। বরং দেশ ভালো খেললে ভালো লাগে। আমি সব সময় বড় স্বপ্ন দেখি। এ কারণে হয়তো হতাশ লাগে না।”

শোনা যায়, তার ব্যাটিংয়ের ধরন পছন্দ ছিল না সাবেক কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের। লম্বা সময় তার বাইরে থাকার অন্যতম কারণ মনে করা হয় এটিকেও। এনামুল অবশ্য সেই গুঞ্জনের পালে বাড়তি হাওয়া দিলেন না।

“ওইভাবে কখনও ভাবিনি। একজন একজনকে অপছন্দ করতেই পারে। এটা জোর করে কিছু হয় না। আমার জন্য পারফর্ম করে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। তাই বিশ্বাস ছিলই। কোচের বিষয়ে চিন্তা ছিল না। কোচ কেউ আসবে, কেউ যাবে। কিন্তু আমাকে খেলে যেতেই হবে।”

মাঝের সময়টায় নিজের ক্রিকেটে উন্নতিটাও টের পাচ্ছেন তিনি নিজেই।

“ব্যাটিংয়ের দক্ষতা বাড়ানো, কিপিংয়ে কিছু কাজ করা, এসব হয়েছে। আসলে নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকলে উন্নতির সুযোগটাই বেশি থাকে। আমার কাছে মনে হয়, উন্নতি অনেক বেশি হয়েছে। ইনিংসগুলো বড় হচ্ছে। জাতীয় লিগে এবার দুইটা ডাবল সেঞ্চুরি করেছি। সব কিছুতেই নিজেকে আগের থেকে ভালো লাগছে।”

“তিন বছরে অনেক কিছুই চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি নতুন কিছু করার। যদি লম্বা রান করতে পারি, যদি দলকে যদি কিছু দিতে পারি, তখন হয়তো বোঝা যাবে কতটা কী করতে পেরেছি।”