সবশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম ওয়ানডের পর জায়গা হারিয়েছিলেন একাদশে। এবার বাদ পড়েছেন স্কোয়াড থেকেই। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের বাংলাদেশ দলে জায়গা হয়নি এই বাঁহাতি ওপেনারের।
সবশেষ ৬টি ওয়ানডেতে একবার মাত্র দুঅঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন সৌম্য। করেছিলেন ২৮ রান। বাকি ৫ ইনিংসের রান ০, ৩, ৩, ০ ও ৮। বাদ পড়ার জন্য সংখ্যাগুলি যথেষ্ট। প্রধান নির্বাচক যদিও ‘বাদ’ উচ্চারণ না করে বললেন বিরতি।
“সৌম্য সব ফরম্যাটেই কিছুদিন ধরে খেলে যাচ্ছে। ওর প্রতিভা নিয়ে কোন রকম কোন প্রশ্ন নেই। যেহেতু একটু ধারাবাহিকতার মধ্যে নেই, এইজন্য আমরা একটু বিরতি দিয়েছি। সৌম্য আমাদের পরিকল্পনার মধ্যেই আছে। যেহেতু আমাদের পুলভুক্ত খেলোয়াড়। আমরা আশা করি ও আবার ফর্মে ফিরে আসবে।”
গত বছরের শুরুটা সৌম্যর খারাপ ছিল না। নিউ জিল্যান্ড সফরে টেস্ট একাদশে ফিরেছিলেন ইমরুল কায়েসের চোটের সৌজন্যে। ফেরার টেস্টে ক্রাইস্টচার্চে করেছিলেন ৮৬ ও ৩৬। ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদ টেস্টে ১৫ ও ৪২। শ্রীলঙ্কা সফরে চার টেস্ট ইনিংসে তিন ফিফটি। কিন্তু এরপর অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ ইনিংসে ফিফটি নেই।
ওয়ানডেতেও অনেকটা একইরকম। মে মাসে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে পরপর দুই ম্যাচে ৬১ ও ৮৭ রানের ম্যাচ জেতানো দুটি ইনিংস খেলেছিলেন। এরপর ৬ ইনিংসে ফিফটি নেই।
টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দুই ম্যাচে ছিলেন আপন চেহারায়। করেছেন ৩১ বলে ৪৭ ও ২৭ বলে ৪৪। রান পেয়েছেন তার আগের চার ম্যাচেও। তবে বিপিএলে আবার ছিলেন ভীষণ বিবর্ণ।
প্রধান নির্বাচক বললেন সৌম্যর সেই ধারাবাহিকতার অভাবের কথাই।
“সবকিছু মিলিয়েই তাকে একটা বিরতি দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করেছি। বিপিএলে আমরা ওকে কাছ থেকে দেখেছি। মনে হয়েছে, মানসিক ভাবে নিজেকে ফিরে পাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওর কিছুটা বিরতি প্রয়োজন। ধারাবাহিকতা রক্ষা করা খুব কঠিন জিনিস। একবার যদি ব্রেক ডাউন হয় তাহলে এটা ফিরে পাওয়া খুব কঠিন।”
“ ও যথেস্ট প্রতিভাবান খেলোয়াড়। বেশ কিছু ভালো ইনিংস দেশের জন্য খেলেছে। আমি আশা করি খুব দ্রুত সে ফিরে আসতে পারবে।”