মার্শ ভাইদের সেঞ্চুরির পর বিপদে ইংল্যান্ড

সিডনির কোনো কোনো জায়গায় তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৭.৩ ডিগ্রি। সেই ১৯৩৯ সালের পর এতটা উত্তপ্ত হয়নি সিডনি। সেই উত্তাপ সবচেয়ে বেশি টের পেল যেন ইংলিশরা। উসমান খাওয়াজার পর সেঞ্চুরি করলেন শন ও মিচেল মার্শ। বোলিং দৈন্যর পর ব্যাটিংয়ে নেমেও দুর্দশা ইংল্যান্ডের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2018, 11:54 AM
Updated : 7 Jan 2018, 11:54 AM

সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। রোববার ১ম ইনিংস ঘোষণা করেছে তারা ৭ উইকেটে ৬৪৯ রানে। ইংল্যান্ড দিন শেষ করেছে ৪ উইকেটে ৯৩ রানে।

ইনিংস পরাজয় এড়াতেই ইংল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ২১০ রান। হাতে উইকেট কেবল ৬টি।

৯৮ রানে দিন শুরু করা শন মার্শ দিনের পঞ্চম বলেই বাউন্ডারিতে ছুঁয়ে ফেলেন সেঞ্চুরি। দুই ভাই পরস্পরকে জড়ান আলিঙ্গনে। সিরিজে শনের দ্বিতীয় আর ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি।

পরে আবারও সেই আলিঙ্গনের পুনরাবৃত্তি। এবার উপলক্ষ্য ছোট ভাইয়ের সেঞ্চুরি। আবেগের তীব্রতায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করা রানটিই নিতে ভুলে গিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। মাঝ উইকেটে বড় ভাইয়ের আলিঙ্গন ছেড়ে পরে দ্বিতীয় রান নিয়ে স্পর্শ করেন সেঞ্চুরি। সিরিজে দ্বিতীয়, ক্যারিয়ারেও।

মার্শ ভাইদের জন্য এই সিরিজ হয়ে থাকবে দারুণ স্মরণীয়। সিরিজের আগে দুজনের কেউই ছিলেন না দলে। সিরিজের শুরুতে দলে ঢুকলেন শন, মাঝপথে মিচেল। দুজনই করলেন দুটি করে সেঞ্চুরি। দলে জায়গাও মোটামুটি পাকা।

মিচেল মার্শ ফিরে যান সেঞ্চুরির পরই। ১০১ রানে তার বিদায়ে ভাঙে দুই ভাইয়ের ১৬৯ রানের জুটি। 

শন মার্শ এগিয়ে যান আরও, ছাড়িয়ে যান দেড়শ। শেষ পর্যন্ত রান আউট ১৫৬ রানে। অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ঘোষণা করে ৩০৩ রানের লিড নিয়ে।

১৯৩ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন অভিষিক্ত লেগ স্পিনার ম্যাসন ক্রেইন। অভিষেকে যা ইংল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড।

বড় রানের চাপে ভেঙে পড়ে ইংলিশ ব্যাটিং। মার্ক স্টোনম্যানকে শূন্য রানে ফেরান মিচেল স্টার্ক। নিজের প্রথম ওভারেই নাথান লায়ন অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন অ্যালেস্টার কুককে।

জেমস ভিন্স আরও একবার আউট হয়েছেন থিতু হয়ে। সিরিজে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান ডাভিড মালানকেও ফিরিয়ে দেন লায়ন।

স্রোতের বিপরীতে লড়ছেন কেবল জো রুট। দিন শেষ করেছেন ৪২ রানে। সিরিজ তো হাতছাড়া আগেই। ৪-০ ব্যবধানের পরাজয় এড়াতে ইংলিশদের ভরসা এখন অধিনায়কই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৪৬

অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১৯৩ ওভারে ৬৪৯/৭ (ডি.) (আগের দিন ৪৭৯/৪) (শন মার্শ ১৫৬, মিচেল মার্শ ১০১, পেইন ৩৮*, স্টার্ক ১১, কামিন্স ২৪*; অ্যান্ডারসন ১/৫৬, ব্রড ১/১২১, মইন ২/১৭০, কারান ০/৮২, ক্রেইন ১/১৯৩, রুট ০/২১)।

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৪৬ ওভারে ৯৩/৪ (কুক ১০, স্টোনম্যান ০, ভিন্স ১৮, রুট ৪২*, মালান ৫, বেয়ারস্টে ১৭*; স্টার্ক ১/১৭, হেইজেলউড ০/২৬, লায়ন ২/৩১, কামিন্স ১/১২, স্মিথ ০/৬)।