দুই দল মিলিয়ে শুক্রবার ব্যাট করেছে ৪৪ ওভার। বৃষ্টির বাধায় ভেসে গেছে চতুর্থ দিনের অর্ধেক সময়ের খেলা। দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২ উইকেটে ১০৩ রান। ওয়ার্নার ৪০ ও স্মিথ ২৫ রানে অপরাজিত।
চতুর্থ টেস্টে এখনও ৬১ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। পঞ্চম ও শেষ দিন খেলা শুরু হবে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগে।
১৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা অস্ট্রেলিয়া ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায়। প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করা ক্যামেরন ব্যানক্রফট এবার ফিরেন ২৭ রান করে।
দুই অঙ্ক ছুঁয়ে ফিরেন উসমান খাওয়াজা। জেমস অ্যান্ডারসনের বলে ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর গ্লাভসে।
মেলবোর্নে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রান বা তারচেয়ে বেশি রানে পিছিয়ে থেকে ২১বার হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। হার এড়াতে পেরেছে মাত্র সাতবার। চতুর্থ দিন দলকে আশা দেখিয়েছেন ওয়ার্নার-স্মিথ। ২২.৪ ওভারে দুই জনে গড়েছেন ৩৮ রানের জুটি।
সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটিং ভুলে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন বিস্ফোরক ওপেনার ওয়ার্নার। ১৪০ বলে ৪০ রান করতে হাঁকিয়েছেন তিনটি চার। স্মিথের ৬৭ বলের ইনিংসে চার দুটি।
২৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন কুক। ২০ বছরের মধ্যে প্রথম ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ‘ক্যারি ব্যাট থ্রু দ্য ইনিংস ইন টেস্ট’ এর কীর্তি গড়েন। বাঁহাতি এই ওপেনার কেড়ে নেন ১৯৭২ সালে গড়া গ্লেন টার্নারের গড়া ২২৩ রানের রেকর্ড। এতদিন টেস্টে কোনো ইনিংসে আদ্যন্ত ব্যাটিং করে সর্বোচ্চ রান ছিল নিউ জিল্যান্ডের এই ক্রিকেটারের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৩২৭
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৪৯১/৯) ১৪৪.১ ওভারে ৪৯১ (কুক ২৪৪*, স্টোনম্যান ১৫, ভিন্স ১৭, রুট ৬১, মালান ১৪, বেয়ারস্টো ২২, মইন ২০, ওকস ২৬, কুরান ৪, ব্রড ৫৬, অ্যান্ডারসন ০; হেইজেলউড ৩/৯৫, বার্ড ০/১০৮, লায়ন ৩/১০৯, কামিন্স ৪/১১৭, মিচেল মার্শ ০/৪২, স্মিথ ০/১১)
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৪৩.৫ ওভারে ১০৩/২ (ব্যানক্রফট ২৭, ওয়ার্নার ৪০*, খাওয়াজা ১১, স্মিথ ২৫*; অ্যান্ডারসন ১/২০, ব্রড ০/১৮, ওকস ১/২৪, কুরান ০/২৬, মইন ০/১৫)