অ্যাশেজের পার্থ টেস্টে স্মিথের ব্যাটে ইংলিশদের জবাব দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ডাভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টোর ম্যারাথন জুটির পর অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা ঘুরে দাঁড়ায় দারুণভাবে। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয় ৪০৩ রানে। অস্ট্রেলিয়া শুক্রবার দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ২০৩ রানে।
দিন শেষে স্ট্রোক সমৃদ্ধ ৯২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত স্মিথ। ৫৯ টেস্টে ২২তম সেঞ্চুরি কেবল দুটি শট দূরে।
বেয়ারস্টো তার চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়ে যায় ১৮৫ বলে। তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন প্রায় দেড় বছর পর।
২৩৭ রানের এই জুটি ভাঙার পর ভোজবাজির মত পাল্টে যায় চিত্র। দারুণ দৃঢ়তায় খেলতে থকা মালান হঠাৎ হারিয়ে ফেলেন মনোযোগ। নাথান লায়নকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৪০ রানে আউট হন বদলি ফিল্ডার পিটার হ্যান্ডসকমের দারুণ ক্যাচে।
সেই থেকে ধসের শুরু। মইন আলিকে বাউন্সারে শূন্য রানেই ফেরান প্যাট কামিন্স। স্টার্কের ভেতরে ঢোকা দারুণ বলে ১১৯ রানে বোল্ড বেয়ারস্টো। ছোবল দেন হেইজেলউডও।
৩৫ রানে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে লাঞ্চের আগে অলআউট ইংল্যান্ড। ৯১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে আবার সফলতম বোলার স্টার্ক।
তবে দুজনই ফিরে গেছেন থিতু হওয়ার পর। অ্যান্ডারসন-ব্রডকে সামলে দুজন আউট হয়েছেন নবীন ক্রেইগ ওভারটনের বলে।
তৃতীয় উইকেট জুটিতেই আবার ম্যাচের লাগাম নেয় অস্ট্রেলিয়া। দারুণ সব শটে ওয়ানডের গতি রান তুলে ইংলিশদের চাপে ফেলে দেন স্মিথ। অফ ও কাভার ড্রাইভগুলো ছিল দেখার মত। এক প্রান্ত আগলে অধিনায়কে সঙ্গ দেন উসমান খাওয়াজা।
দিনের শেষ ভাগে ভাঙে ১২৪ রানের এই জুটি। ৫০ করেই আউট হয়ে যান খাওয়াজা। তবে স্মিথ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১২২ বলে অপরাজিত ৯২।
তৃতীয় দিনেও অস্ট্রেলিয়ার ভরসা আর ইংলিশদের মূল বাধা হবেন এই স্মিথই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ১১৫.১ ওভারে ৪০৩ (আগের দিন ৩০৫/৪) (মালান ১৪০, বেয়ারস্টো ১১৯, মইন ০, ওকস ৮, ওভারটন ২, ব্রড ১২, অ্যান্ডারসন ০*; স্টার্ক ৪/৯১, হেইজেলউড ৩/৯২, কামিন্স ২/৮৪, লায়ন ১/৭৩, মিচেল মার্শ ০/৪৩, স্মিথ ০/৮)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৬২ ওভারে ২০৩/৩ (ব্যানক্রফট ২৫, ওয়ার্নার ২২, খাওয়াজা ৫০, স্মিথ ৯২*, শন মার্শ ৭*; অ্যান্ডারমস ০/৩১, ব্রড ০/৫০, ওকস ১/৪২, ওভারটন ২/৪৬, মইন ০/২৮)।