বিপিএলে সম্প্রচার ও ধারাভাষ্যের মান বাড়ানোয় নজর দেবে বিসিবি

বিপিএলে টিভি সম্প্রচার ও ধারাভাষ্যের মান নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিসিবি। পরের আসর থেকে মানের উন্নয়নে নজর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বোর্ড। এজন্য ‘প্রোডাকশন’ রাখতে চায় নিজেদের কাছেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2017, 03:26 PM
Updated : 14 Dec 2017, 04:17 PM

বিপিএলে টিভি সম্প্রচার ও ধারাভাষ্যের মান বরাবরই তুমুল সমালোচিত। এবারের বিপিএলের সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান বদলালেও পরির্বতন আসেনি মানে। ছবি, শব্দ, প্রযুক্তির ব্যবহার, ক্যামেরার কাজ, গ্র্যাফিক্স, প্রশ্নবিদ্ধ প্রায় সবই।

এবার সমালোচনা বেশি হওয়ার বড় কারণ, বিপিএলের পাঁচ আসরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তারকা ক্রিকেটার খেলেছে এবারই। প্রতি দলে পাঁচজন করে বিদেশি ক্রিকেটার খেলানোর নিয়ম, দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি লিগ পিছিয়ে যাওয়া মিলিয়ে এবারের মত তারকার হাট বিপিএলে আগে বসেনি। মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার এবার ছিল অনেক বেশি।

কিন্তু টিভি সম্প্রচারের নিম্নমানে টুর্নামেন্ট জৌলুস হারিয়েছে অনেকটা। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানালেন, সম্প্রচারের ব্যাপারটি ভাবাচ্ছে তাদেরকেও।

“মানের আসলে সীমা-পরিসীমা নেই। এই বছর সম্প্রচারের যে মান ছিল, আমরা বলছি না যে তাতে আমরা সন্তুষ্ট। এর চেয়ে যেন ভালো হয়, সেই চেষ্টা করব। ছোট-খাটো ভুল-ত্রুটি যেসব ছিল, সেগুলোর ব্যাপারে আমাদের পর্যবেক্ষণ থাকবে। পরেরবার এর থেকে ভালো মানের সম্প্রচার যেন দিতে পারি, সেদিকে আমরা নজর দেব।”

সম্প্রচারের মত নিম্নমানের ছিল ধারাভাষ্যও। ক্রিকেট মাঠ তারকায় ঠাসা থাকলেও ধারাভাষ্য দল ছিল একদমই তারকাশূন্য। এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটে মাঝারি মানের ধারাভাষ্যকার বলেও পরিচিতি আছে যাদের, তাদের কাউকেও দেখা যায়নি। ধারাভাষ্যকার হিসেবে যারা ছিলেন, তারা কেউই তেমন জনপ্রিয় নন।

এবার ধারাভাষ্য দলে ছিলেন বাংলাদেশের আতহার আলি খান, শামীম আশরাফ চৌধুরী, আমির সোহেল, টিনো মায়োয়ো, গৌতম ভিমানি ও রোশান অবয়সিংহে। এর আগে ধারাভাষ্য কক্ষের প্রাণ ড্যানি মরিসনকে দেখা যায়নি এবার।

পাকিস্তানের আমির সোহেল অনেক দিন ধরেই ধারাভাষ্যে সেভাবে ছিলেন না। মায়োয়ো এখনও নবীন। অবয়সিংহে শ্রীলঙ্কার ম্যাচের বাইরে সেভাবে ডাক পাননা। ভিমানি যতটা না ধারাভাষ্যকার, তার চেয়ে অনেক বেশি উপস্থাপক। তবে এবার তিনিই যা একটু প্রাণের সঞ্চার করেছিলেন ধারাভাষ্যে।

ধারাভাষ্যের পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে টিভির প্রেজেন্টারদের নিয়েও। তাদের প্রশ্নের ধরনের কারণে সরাসরি সম্প্রচারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে ক্রিকেটারদের।

অভিযোগগুলো এরকম মেনেই নিচ্ছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব। পরের আসর থেকে তই প্রোডাকশনের ব্যাপারটি স্বত্ব কেনা সংস্থাকে না দিয়ে নিজেরাই দেখতে চায় বোর্ড।

“একটা আলোচনা আমাদের নিজেদের মধ্যেই আছে, পরের বার থেকে প্রোডাকশন আমরা নিজেদের হাতে রাখব। প্রোডাকশন আমাদের হাতে রাখলে কমেন্টেটর থেকে শুরু করে সম্প্রচার, ধারাভাষ্য সব ঠিক করা সম্ভব।”

“ধারাভাষ্যকার এক ব্যাপার, প্রেজেন্টার আরেক ব্যাপার। কমেন্টেটর হয়ত আমরা ভালো আনতে পারব। প্রেজেন্টারের ক্রিকেট জ্ঞান না থাকলে, যাকেই আনেন…এরকম হতেই পারে। ধারাভাষ্যকার ভালো আনার দায়িত্ব অবশ্যই আমরা নেব। পরের আসর থেকে প্রোডাকশন আমরা যদি নিয়ে আসতে পারি, সম্প্রচারের মান ও ধারাভাষ্য ভালো মানের করা সম্ভব।”