সহ-অধিনায়কত্ব হারানোয় অভিযোগ নেই তামিমের

গত রোববার সংবাদ সম্মেলনে যখন বাংলাদেশের নতুন টেস্ট অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের নাম ঘোষণা করছেন বিসিবি প্রধান, তামিম ইকবাল তখন খেলছেন বিপিএলের ম্যাচ। বাঁহাতি ওপেনার জানতেনও না, হারিয়েছেন দায়িত্ব। পরে জানতে পারেন, তিনি আর টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক নন। তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2017, 02:35 PM
Updated : 14 Dec 2017, 02:35 PM

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যখন কেড়ে নেওয়া হয়েছিল সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্ব, তখন সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সহ-অধিনায়ক তামিমকেও। সরিয়ে দেওয়া হলো এই দফায়ও।

একজন সিনিয়র ক্রিকেটার ও দলের অন্যতম সেরা পারফরমারকে আলোচনা না করেই সরিয়ে দেওয়ায় তার খারাপ লাগাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে মনে যেটাই থাকুক, মুখে কোনো অভিযোগ নেই তামিমের। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বললেন, পূর্ণ সমর্থন দেবেন নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের।

“এটা আসলে পুরোপুরিই বোর্ডের ওর নির্ভর করে। আমি যখন টেস্টের সহ-অধিনায়ক ছিলাম, তখন আমাকে যোগ্য মনে করেছিল বলেই দায়িত্ব দিয়েছিল। এখন আরেকজনকে দিয়েছে। হয়তো আমার চেয়ে যোগ্য বলেই তাকে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব।”

“এসব নিয়ে আমার অভিযোগ নেই। আমি সিনিয়র ক্রিকেটার। নতুন অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক যারা হয়েছে, চেষ্টা করব তাদেরকে পূর্ণ সমর্থন দিতে। আমি প্রস্তুত আছি।”

নতুন অধিনায়ক ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল তামিমকে সহ-অধিনায়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ। বোর্ড প্রধান তখন পাশের এক বোর্ড পরিচালককে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “তামিম সহ-অধিনায়ক ছিল নাকি?”

পরে বিসিবি প্রধান বলেন, “তামিম টি-টোয়েন্টিতে আছে (সহ-অধিনায়ক), টি-টোয়েন্টিতেই থাকবে।”

গত এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে মাশরাফি বিন মুর্তজা টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের পর টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক করা হয়েছিল সাকিবকে। কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে যে তামিম সহ-অধিনায়ক, সেটি আগে কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বিসিবি।