গত ২ ডিসেম্বর বিপিএলে রংপুর রাইডার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী পর্বে তামিম উইকেটকে বলেছিলন, ‘হরিবল’। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টির জন্য এই উইকেট ‘জঘন্য’।
তামিমের সমালোচনার ধরন পছন্দ হয়নি বিসিবির। তাকে শুনানিতে ডেকে চিঠি পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সকালে হয়েছে সেই শুনানি। পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম শোনালেন শুনানিতে তার দেওয়া ব্যাখ্যা।
“আমাদের শুনানিতে ডাকা হয়েছিল। তাদের আপত্তির জায়গাটা তারা আমাকে জানিয়েছেন। আমারও মনে হয়েছে, বর্ণনার ক্ষেত্রে হয়ত আরও ভালো কোনো শব্দ বেছে নিতে পারতাম আমি। হয়তো ভালোভাবে বলতে পারিনি।”
“তারা বলেছেন, আমি যেহেতু বাংলাদেশের হয়ে খেলি, আর উইকেট ও মাঠ আমাদেরই সম্পদ। আমি ভালোভাবে বলতে পারতাম। আমারও সেটি মনে হয়েছে। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকব।”
তামিমের বিশ্বাস, বিসিবি তার ব্যখ্যায় সন্তুষ্ট।
“আমার মনে হয়েছে তারা বুঝতে পেরেছেন। সুন্দরভাবেই নিয়েছেন ব্যাপারটি। ফলাফল কি হবে, সেটি সামনে বোঝা যাবে। তবে আশা করি, সবকিছু ঠিকঠাকই হবে।”
শুনানিতে থাকা বিসিবি পরিচালক ও গ্রাউন্ডস কমিটির নতুন চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানালেন, তামিম দায়টুকু মেনে নিয়েছেন।
“শুনানির বিস্তারিত আমরা বলতে পারি না, একান্তই গোপনীয়। তবে এটুকু বলতে পারি যে তামিম দুঃখপ্রকাশ করেছে।”
শুধু তামিম নয়, সেই ম্যাচ শেষে উইকেটের সমালোচনা করেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক বলেছিলেন, “টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট গ্রহণযোগ্য নয়।” পরে আরেক ম্যাচে সেই উইকেটে খেলার পর রংপুরের ব্রেন্ডন ম্যাককালামও কড়া সমালোচনা করেছিলেন উইকেটের।
উইকেটের আচরণ সত্যিই বাজে হওয়ার পরও তামিমকে চিঠি দেওয়া, কিংবা শুধু তামিমকেই কাঠড়ায় দাঁড় করানো, দুটি নিয়েই আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। চিঠি দেওয়ার পর বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, বিসিবির আপত্তি তামিমের ভাষা নিয়ে। মাহবুব আনামও এদিন বললেন একই কথা।
“সমালোচনার সুযোগ অবশ্যই আছে। নিজের মতামত ওরা দিতে পারে। তবে সেটির সঠিক পথ আছে। কেউ যদি সীমা ছাড়িয়ে যায়, সেটি আচরণ বিধির লঙ্ঘন। তামিম সেটি লঙ্ঘন করেছে।”
শুনানির কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-১০ ক্রিকেটের প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারেনি তামিম। পরের ম্যাচগুলো খেলতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার ঢাকা ছাড়ার কথা।
টি-১০ ক্রিকেটে খেলতে বিপিএল শেষেই ঢাকা ছেড়েছেন সাকিব আল হাসান। তবে এই টুর্নামেন্টে দল পাওয়া বাংলাদেশের আরেক ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমানকে অনাপত্তিপত্র দেয়নি বিসিবি। তার বিশ্রামটাকেই জরুরি মনে করেছে বোর্ড।