শনিবার যে উইকেটে খেলেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স, সেখানেই বুধবার মুখোমুখি হলো রংপুর ও ঢাকা ডায়নামাইটস। আগের দিন উইকেটে ছিল ভীষণ অসমান বাউন্স। ম্যাচ শেষে রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বলেছিলেন, “টি-টোয়েন্টিতে এমন উইকেট গ্রহণযোগ্য নয়।” তামিমের মতে উইকেট ছিল ‘জঘন্য’। সমালোচনার ধরনে তামিমকে শুনানিতে ডেকে চিঠি দেয় বিসিবি।
বুধবারের ম্যাচের আগের দিনের মত অতটা বেশি না হলেও অসমান বাউন্স ছিল কিছুটা। দুই রকম গতির মন্থর উইকেটে শট খেলা ছিল কঠিন।
যথারীতি ধুঁকেছে দুই দলের ব্যাটসম্যানরা। ঢাকা প্রথম ৫ উইকেট হারিয়েছিল ৪৮ রানে। রংপুর ৪০ রানে। ৩৩ বলে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ঢাকাকে ১৩৭ রানের পুঁজি এনে দেন সাকিব। রংপুর পায়নি তেমন কাউকে, তাই থমকে যায় ৯৪ রানে।
মাশরাফির বিশ্রামে এই ম্যাচে রংপুরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ম্যাককালাম। সাবেক নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কও কোনো রাখঢাক না রেখেই সমালোচনা করলেন উইকেটের। পাশাপাশি কৃতিত্ব দিলেন সাকিবকেও।
“শুরুতে এবং সবার আগে বলতেই হবে, সাকিব খুব ভালো খেলেছে। তবে উইকেট ছিল খুব বাজে। অনেক বিশ্বমানের ক্রিকেটার খেলছে এখানে। আশা করি, উইকেটের ধরন বদলানো হবে। কারণ সার বিশ্বের লোক খেলা দেখছে।”
“সাকিব দুর্দান্ত খেলেছে। তাকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। কিন্তু উইকেট আসলেই ছিল গড়পড়তা। লোকে মাঠে আসে বিশ্বসেরা কিছু ক্রিকেটারের রোমাঞ্চকর ক্রিকেট দেখতে। কিন্তু আমার মনে হয় না আজকে তেমন কোনো ম্যাচ ছিল। আজকে যে রকম উইকেটে খেলা হয়েছে, তার চেয়ে ভালো উইকেটে খেলা হলে টুর্নামেন্টেরই লাভ।”
ঢাকার উইকেটের যেমন সমালোচনা হচ্ছে, বিপিএলে আম্পায়ারিংয়ের মান প্রশ্নবিদ্ধ ছিল টুর্নামেন্ট জুড়েই। ম্যাককলাম খোলামেলা মন্তব্য জানালেন আম্পায়ারিং নিয়েও।
“চাপের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এখন যত সব বড় বড় ম্যাচ। আজকে আমাদের জনসন চার্লস যেমন খুব ভালো খেলছিল, কিন্তু তার সিদ্ধান্তটি অন্যরকম হতে পারত। টুর্নামেন্টে এমন অনেক সিদ্ধান্তই ছিল যেগুলো অন্যরকম হতে পারত। সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।”