পয়েন্ট টেবিলের নিচের দুই দলের লড়াইয়ে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে চিটাগংয়ের ব্যাটিং। রিস, লুক রনকি আর রাজার তিনটি ঝড়ো ইনিংসে দুইশ রানের কাছাকাছি স্কোর গড়া দলটি জিতেছে সহজেই। রাজশাহীর হয়ে যা একটু লড়েছেন সামিত প্যাটেল।
টর্নেডো এক ইনিংসের সঙ্গে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে শেষটা রাঙিয়েছেন রাজা। দুইবার জাগিয়েছিলেন হ্যাটট্রিকের আশা, তবে দুইবার হতাশ হতে হয়েছে তাকে।
৪৫ রানে জিতেছে তলানিতে থাকা চিটাগং। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চিটাগংয়ের ১৯৪ রান তাড়ায় রানে থামে ১৪৯ রাজশাহী।
১২ ম্যাচে তৃতীয় জয় পাওয়া দলটির পয়েন্ট ৭। সমান ম্যাচে অষ্টম পরাজয়ের স্বাদ পাওয়া রাজশাহীর পয়েন্ট ৮। গতবারের রানার্সআপ দলটি টুর্নামেন্ট শেষ করেছে ষষ্ঠ স্থানে থেকে।
রাজশাহীর দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও রনি তালুকদারকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল হক। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন সামিত। ৬ চার আর ৫ ছক্কায় ২৬ বলে ৬২ রান করা অলরাউন্ডারকে ফিরিয়ে রাজশাহীকে বড় ধাক্কা দেন রিস।
মুশফিকুর রহিম ও উসামা মিরকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান রাজা। তার হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের বাধা উপড়ে ফেলেন তাসকিন আহমেদ।
নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ দুই বলে মোহাম্মদ সামি ও জাকির হাসানকে ফিরিয়ে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিকের আশা জাগান রাজা। পরের ওভারের প্রথম বলে তাকে হতাশ করেন কাজী অনিক। সেই ওভারের শেষ পাঁচ বল ঠেকিয়ে রাজশাহীকে অলআউটের হাত থেকে বাঁচান মুস্তাফিজ!
১৬ রানে ৪ উইকেট নেন অফ স্পিনার রাজা। জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডারের আগের সেরা ছিল ৩/৯। ১৪ রানে দুই উইকেট নেন সানজামুল।
এর আগে রনকির সঙ্গে ৬৯ রানের জুটিতে চিটাগংকে ভালো শুরু এনে দেন সৌম্য সরকারের জায়গায় ওপেন করতে নামা রিস। জুটিতে অগ্রণী ছিলেন অধিনায়ক।
২০ রানে ফিরতে পারতেন রনকি। মুস্তাফিজের বলে তার ক্যাচ ছেড়ে ছক্কা বানিয়ে দেন রনি তালুকদার। শেষ পর্যন্ত রনকি ফিরেন ৩০ বলে ৪২ রান করে। টুর্নামেন্ট শেষেও অনুজ্জ্বল সৌম্য। তিন নম্বরে নেমে দুটি চারে ১৬ বলে ফিরেন ১৭ রান করে।
শুরুতে রনকিকে সঙ্গ দিয়ে যাওয়া রিস শেষটায় তুলেন ঝড়। সেখানে তার সঙ্গী রাজা। দুই জনে ৪৩ বলে গড়েন ৮৬ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। ৪২ বলে পঞ্চাশে যাওয়া রিস ৫৬ বলে ৪টি চার ও তিনটি ছক্কায় অপরাজিত ৮০ রানে।
মাত্র ২০ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন রাজা।
মেহেদী হাসান মিরাজ (২/১৮) ছাড়া রাজশাহীর আর সব বোলার ছিলেন খরুচে। মুস্তাফিজ ৪১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। সামি খরচ করেন ৪৯ রান। ২ ওভারে ২৭ রান দেন আরেক পেসার অনিক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চিটাগং ভাইকিংস: ২০ ওভারে ১৯৪/২ (রনকি ৪২, রিস ৮০*, সৌম্য ১৭, রাজা ৪২*; মুস্তাফিজ ০/৪১, সামি ০/৪৯, মির ০/৩২, অনিক ০/২৭, মিরাজ ২/১৮, সামিট ০/৮, ফ্র্যাঙ্কলিন ০/১২)
রাজশাহী কিংস: ২০ ওভারে ১৪৯/৯ (মুমিনুল ৯, রনি ৬, সামিট ৬২, মুশফিক ১৫, জাকির ১৯, মির ০, ফ্র্যাঙ্কলিন ১৭, মিরাজ ৬, সামি ১, অনিক ৩*, মুস্তাফিজ ১*; সানজামুল ২/১৪, তাসকিন ১/২৯, এমরিট ১/২৮, তানবীর ০/১৫, আল আমিন ০/২২, রিস ১/২১, রাজা ৪/১৬)
ফল: চিটাগং ভাইকিংস ৪৫ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: লুইস রিস