উইকেটের সমালোচনা করায় তামিমকে চিঠি

শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে তামিম ইকবালের সমালোচনার ধরণ পছন্দ হয়নি বিসিবির। বাংলাদেশের টেস্ট সহ-অধিনায়ক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ককে শুনানিতে ডেকে চিঠি পাঠিয়েছে বোর্ড।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2017, 01:40 PM
Updated : 4 Dec 2017, 01:41 PM

চিঠি পাঠানো নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিসিবি। তামিম ইকবালও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিসিবির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র ও তামিমের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের একটি সূত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছে চিঠি পাঠানোর খবর।

দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার ও চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার হিসেবে তামিমের মন্তব্যে বোর্ডের আপত্তির কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক অবশ্য চিঠি দেওয়ার খবর জানেন না বলেই দাবি করলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে। তবে তার কথায় কিছুটা আভাসও মিলল চিঠি পাঠানোর।

“চিঠি পাঠানো সম্পর্কে আমার জানা নেই। এটা তো গভর্নিং কাউন্সিলের ব্যাপার নয়। বোর্ড চাইলে চিঠি পাঠাতে পারে। তবে আমি কালকে (রোববার) শুনেছি, তামিমের মন্তব্য বোর্ডের অনেকের ভালো লাগেনি। এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।”

বিপিএলে শনিবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সের ম্যাচ শেষে দুই অধিনায়কই সমালোচনা করেছিলেন উইকেট নিয়ে। উইকেট ছিল ভীষণ মন্থর, ছিল অসমান বাউন্স। ৯৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল রংপুর। সেই রান তাড়ায় কুমিল্লা জিতেছে শেষ ওভারে।

রংপুর অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেছিলেন, টি-টোয়েন্টিতে এই ধরনের উইকেট গ্রহণযোগ্য নয়। তামিম ইকবাল ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী তামিম ইকবাল উইকেটকে বলেছিলেন, ‘হরিবল’। পরে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন টি-টোয়েন্টির জন্য জঘন্য উইকেট এটি।

তামিমের মন্তব্য নিয়ে বোর্ডের আপত্তি তার সমালোচনার ধরনটিতেই। তামিমকে চিঠি পাঠানো হলেও পাঠানো হয়নি মাশরাফিকে। সেটির পেছনের কারণ অনেকটা পরিষ্কার হলো গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের কথায়।

“বিস্তারিত তো জানি না। তবে বোর্ডের সবাই যা আলোচনা করছিল, সেটুকু বলতে পারি আমি। মাশরাফির সমালোচনার ধরনটি নিয়ে বোর্ডের আপত্তি নেই। তবে তামিম যেভাবে বলেছে, সেটা ঠিক ভালো লাগেনি অনেকের।”

উইকেট যে টি-টোয়েন্টির জন্য খুব ভালো নয়, সেটি মানছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবও। রোববার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে সেটি বলেছেনও এই বোর্ড পরিচালক। তবে উইকেট জঘন্য মানতে রাজি ছিলেন না। সেই কথা বললেন আরও একবার।

“এর আগে কুমিল্লার রশিদ খান যখন বিশাল টার্ন পাচ্ছিলেন, তার বল খেলতে পারছিলেন না কেউ। তখন তো কারও সমস্যা ছিল না। এখন কেন এত সমস্যা? উইকেটের ধরনটা বুঝতে হবে।”

“আমি আবারও বলছি, অবশ্যই আদর্শ টি-টোয়েন্টি উইকেট নয় এটি। তবে ‘জঘন্য’ মানতেও রাজি নই আমরা। একটু সেন্সিবলি খেললে এখানে ১৫০-১৬০ রান করা যায়। এর পরও আমরা কিউরেটরকে বলেছি, গ্রাউন্ডস কমিটিকে বলেছি যেন আরও ভালো ব্যাটিং উইকেট করা হয়।”