অ্যাডিলেডে দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ২০৯ রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।
কয়েক দফায় বৃষ্টি বাধায় খেলা হয়েছে ৮১ ওভার। অস্ট্রেলিয়ার রান রেটকে আধুনিক ক্রিকেটের বিবেচনায় বলা যায় মন্থর। তবে ক্রিকেট বিরক্তিকর ছিল না এতটুকুও। বরং ব্যাট-বল আর কথার লড়াই মিলিয়ে দিন ছিল উত্তেজনাপূর্ণ।
এই টেস্ট দিয়ে দিন-রাতের টেস্ট যুগে প্রবেশ করল অ্যাশেজ। একটি জায়গায় প্রথম হয় গেলেন জো রুটও। দিন-রাতের টেস্টে টস জিতে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে নিলেন বোলিং।
মূলত মেঘলা আকাশের কারণেই রুটের এই সিদ্ধান্ত। শুরুতে সুইং ও সিম মুভমেন্টও পেয়েছে ইংলিশ পেসাররা। মুভমেন্ট মিলেছে রাতে কৃত্রিম আলোতেও। তবে উইকেট মূলত ছিল ব্যাটিং সহায়কই।
সেদিক থেকে বলতে গেলে সুযোগ হাতছাড়া করেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের তিন জন ব্যাটসম্যান থিতু হয়েও গড়তে পারেনি বড় স্কোর। টস জিতে বোলিং নিয়ে সারা দিনে ৪ উইকেটে খুব খুশি হ্য়ার কথা নয় ইংল্যান্ডেরও।
অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটির সময় দুই দফায় হানা দিয়েছে বৃষ্টি। তবে হানা দিতে পারেনি ইংলিশ বোলাররা। ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফট আলাদা হলেন নিজেদের ভুলে। ১০ রানে রান আউট ব্যানক্রফট।
নিজের সহজাত ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আপোশ করে সতর্কতায় খেলতে থাকা ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন ক্রিস ওকস। ১০২ বলে বাঁহাতি ওপেনার করেছেন ৪৭।
স্টিভেন স্মিথ উইকেটে যাওয়ার পর বেড়ে যায় স্লেজিংয়ের তোড়। সঙ্গে ব্রড-অ্যান্ডারসনের দারুণ বোলিং। স্মিথ ও খাওয়াজা সামালও দিয়েছেন দারুণ। কিন্তু ওয়ার্নারের মতো এই দুজনও আউট হয়েছেন থিতু হয়ে।
৫৩ রানে খাওয়াজাকে ফিরিয়েছেন অ্যান্ডারসন। অভিষিক্ত পেসার ক্রিস ওভারটনের প্রথম শিকার স্মিথ (৪০)। ডিফেন্স করতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক বল টেনে এনেছেন স্টাম্পে।
পঞ্চম উইকেটে পিটার হ্যান্ডসকম ও শন মার্শ গড়েছেন ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। প্রথম দিন শেষে কোনো এক দলকে এগিয়ে রাখা মুশকিল। এই জুটি যেমন পারে অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে দিতে, দ্রুত একটি উইকেট নিয়ে তেমনি খেলায় ফিরতে পারে ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ৮১ ওভারে ২০৯/৪ (ব্যানক্রফট ১০, ওয়ার্নার ৪৭, খাওয়াজা ৫৩, স্মিথ ৪০, হ্যান্ডসকম ৩৬*, মার্শ ২০*; অ্যান্ডারসন ১/৪৫, ব্রড ০/৩৯, ওকস ১/৫০, ওভারটন ১/৪৭, মইন ০/২৫)।